news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/06/19/780719 | বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু | নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে স্থানীয় এমপির সাথে ত্রাণ দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ খান রুজেলের (৩৬)। তিনি রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। পরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুজেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন এমপি অসীম কুমার উকিল। তিনি জানান, ছেলেটি হার্ট এটাক হয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করেছে। আমি এখনো বন্যায় দুর্গতদের মাঝে আটপাড়া উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করছি। আমাদের সকলের বড় ক্ষতি হয়ে গেল বলে উল্লেখ করে তিনি শোক প্রকাশ করেছেন। দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। রুজেল উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত মানিক মিয়ার ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা পাবেল আহমেদ খানের ছোট ভাই। তাকে দেখতে হাসপাতাল ও বাট্টা গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিলসহ আরো অনেকেই। বিডি-প্রতিদিন/শফিক | null | আবির আহমেদ খান রুজেল | national |
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/351017/ফেনীতে-ডিবি-পুলিশের-হাতে-আটক-৪-ছাত্রের-সন্ধান-দাবী- | ফেনীতে ডিবি পুলিশের হাতে আটক ৪ ছাত্রের সন্ধান দাবী | ফেনীতে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত সরকারী তিতুমীর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবু জাফর, অনার্স ভর্তিচ্ছুক সালাহ উদ্দীন, ফালাহিয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র হাফেজ দাউদুল ইসলাম ও একই মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্র ছাইদুল হক, ইসলামের সন্ধান দাবী করে বিবৃতি প্রদান করেছে তাদের পরিবার। বিবৃতিতে গ্রেপ্তারকৃতদের অভিভাবকরা বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় হাবিব সুলতান জামে মসজিদের পাশে মনোয়ারা ভবন থেকে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করছে না আদালতেও হাজির করছে না। আমরা বার বার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কাছে শরনাপন্ন হলেও আমাদের সন্তানরা কোথায় আছে কি অবস্থায় আছে তা বলছে না। কিন্তু আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের সন্তানদের ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে। অভিভাবকরা বলেন, আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। তাদেরকে আটক বা গ্রেফতারের কথা অস্বীকার ও আইন অনুযায়ী আদালতে হাজির না করায় আমরা আমাদের সন্তানদের ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছি। আমাদের জানামতে আমাদের ছেলেরা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহীনির কাছে আমাদের আবেদন তাদেরকে যেন আইন অনুযায়ী দ্রুত আদালতে উপস্থাপন করা হয়। দেশের অন্য সকল নাগরীকের মত আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার আমাদেরও আছে। কোন কারণে যেন তাদেরকে সরকারের অত্যাচারের মুখে পড়তে না হয়। আমরা এখন সন্তানদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমরা জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের আইনের আশ্রয় পাবার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। আমাদের ছেলেদের জান মালের কোন ক্ষতি হলে তার দায়ভার সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই নিতে হবে। আমরা এদেশের নাগরীক। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল আইনি সুবিধা গ্রহণ করার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু এখানে আইনি অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। একই সাথে তারা সন্তানদের সন্ধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি | null | ডিবি পুলিশের হাতে আটক ছাত্র | national |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/613309/জনগণের-ভাগ্য-উন্নয়নে-রাজনীতি-করতে-হবে-নিজের-জন্য-নয়-কাদের | জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনীতি করতে হবে, নিজের জন্য নয় : কাদের | আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নাম পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। আজ সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে প্রয়াত সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের স্মরণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহবান জানান। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করতে হবে, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে যায়, যা মোটেই কাম্য নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না । রাজনীতিতে ভালো মানুষদের সাথে রাখার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খারাপ মানুষ দিয়ে রাজনীতি করলে দল নষ্ট হয়ে যাবে। দুঃসময়ে বসন্তের কোকিলরা দলে থাকবে না, ত্যাগীরাই সুখে-দুঃখে দলের পাশে থাকবে। তাই সৎ ও ভালো মানুষদের দলে টানতে হবে। '৭৫ এর পর দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো তার এখনো রেশ রয়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫'র হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিলো? নেপথ্যে কে ছিলো? সেই ইতিহাস সবাই জানে, যা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। ওবায়দুল কাদের প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপনকে একজন সফল রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করে বলেন, একজন নির্লোভ নিরহংকার নেতা ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন স্বপন। তার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান মন্ত্রী। শাহজাদপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার এবং সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, ডা. আবদুল আজিজ, তানভীর ইমাম, আবদুল মমিন মন্ডল, ও শাহজাদপুর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সূত্র : বাসস | রাজনীতি,ওবায়দুল কাদের,আওয়ামী লীগ | ওবায়দুল কাদের | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/20604/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE | দিনের আলো নিভে গেলেই ভাসমান দোকানে ভিড় করে জেলেরা | সাগর মোহনায় এসে আছড়ে পড়ছে ছোট ছোট ঢেউ। মাথার ওপরে খোলা আকাশ। মোহনায় ছোট-বড় মাছের ট্রলারের সারি। এসবের ফাঁকে দেখা মিলছে দুইটি ভাসমান দোকানের। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ ভেসে ভেসে চলে কেনাবেচার কারবার। সাগর মোহনায় ভাসমান এই দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। বিক্রি করতে পেরে দোকানি যেমন খুশি, জেলেরা এই ভাসমান দোকান পেয়ে তারাও অনেক খুশি।উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা সোনারচর ও কলাগাছিয়া চরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগরের মোহনায় ভেসে চলে দুটি দোকান। দিনের আলো শেষ হলেই ধীরে ধীরে দোকানের কোল ঘেঁষে প্রতিদিন নোঙর করে ১০০ টির মতো জেলেদের মাছের ট্রলার। কারণ মূলত জেলেরাই এই দোকানের মূল ক্রেতা। ক্রেতার সঙ্গে যেন রয়েছে দোকানির এক মধুর সম্পর্ক।সাগর মোহনায় ভাসমান দোকান দুটি দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। মনে হবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার মাত্র। কিন্তু কাছে গিয়ে ট্রলারের ভেতরে ঢুকলে চোখে পরবে ভিন্ন চিত্র। নিত্য প্রয়োজনীয়, প্রায় সবকিছুই আছে সেই দোকানে।গতকাল ট্রলারযোগে সোনারচর ভ্রমণে যাওয়ার পথেই হঠাৎ চোখে পড়ে একটি ভাসমান দোকান। অপর দিকে তাকিয়ে দেখা মেলে আরও একটি ভাসমান দোকানের। এ সময় দেখা যায়, জেলেদের একটি ট্রলার নোঙর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছে ভাসমান দোকান থেকে।জেলেরা জানায়, সাগর মোহনায় জেলেদের সুবিধার্থে জিয়া ফরাজী নামের এক ব্যবসায়ী প্রায় তিন বছর আগে ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু করে। তার দেখাদেখি পরের বছরই আরও একটি ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু হয়। এই দোকানের ক্রেতা শুধু ওখানে থাকা জেলেরাই নয়, প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি, সৌন্দর্যে ঘেরা সোনারচর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা প্রকৃতি প্রেমিরাও আসেন এখানে। ভাসমান দোকানে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ তেল, গ্যাস, বিকাশ ফ্লেক্সিলোড, শুকনো খাবার থেকে শুরু করে মোটামুটি জেলেদের এবং পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করার সবকিছুই রয়েছে সেখানে। আছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও।ভাসমান দোকানের ক্রেতা জেলে মিরাজ সরদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'সাগরে মাছ ধরতে গেলে এলাকা দিয়া সাত দিনের বাজার লইয়া যাই। মাঝে মাঝে হঠাৎ তৈল, সদায়, গ্যাস শ্যাষ (শেষ) হইয়া যায়। তহন (তখন) মোরা (আমরা) এই দোকানে আইয়া যা লাগে লইয়া যাই। অসুস্থ হইলে ওষুধ ও নি। এই দোকান দেওয়ায় আমাগো (আমাদের) অনেক ভালো হইছে।'কথা হয় সোনারচর ঘুরতে আসা পর্যটক দোলন কুমারের সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা পটুয়াখালী সদর থেকে বন্ধুরা মিলে সোনারচর ঘুরতে এসেছি। আসার পথে সাগর মোহনায় এই দোকান দেখে রীতিমত আমি অবাক। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাসমান দোকানে নেই এমন কোনো জিনিস।'ভাসমান দোকানের দোকানি (কর্মচারী) নেছার উদ্দিন বলেন, 'আমাদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হয়। তবে সকালে এবং বিকেলে বেশি বেচাকেনা হয়। আমরা এখানে তিন বছর যাবত ব্যবসা করি। আমরা এই সিজন ছাড়া দোকান করিনা। আমাগো দোকানে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়।ভেসে চলা এই ভিন্নধর্মী দোকানের উদ্যোক্তা জিয়া ফরাজী বলেন, 'সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে আসার পর অনেক জেলেদেরই তেল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যায়। তখন তারা বিপাকে পড়ে যায়। এত দূর থেকে তাদের গিয়ে তা ক্রয় করা সম্ভব না তাদের এই দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই আমি এই উদ্যোগ নেই।' | পটুয়াখালী,বরিশাল বিভাগ,জেলে,নৌকা,দোকান | ভাসমান দোকানের পাশে জেলেদের একটি ট্রলার নোঙ্গর করে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসেছে। | national |
https://samakal.com/whole-country/article/210150794/ইট-ছুঁড়ে-শিশু-রিফানকে-হত্যা-করে-শাকিল-পুলিশ | ইট ছুড়ে শিশু রিফানকে হত্যা করে শাকিল: পুলিশ | কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু রিফানুল ইসলাম ওরফেরিফান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অর্ধলগিত লাশ উদ্ধারের তিনদিনের মধ্যেআলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশের সদস্যরা। রিফান ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. শরীফুল ইসলামের ছেলে এবং বৈদ্যনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র। গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল (২২) একই গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ওমরকান্দা ব্রিজ এলাকায় পুরোনো মেঘনা নদী থেকে ওই শিশুর অর্ধলগিত মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এর দশদিন আগে গত ১২ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়েছিলো শিশুটি। সোমবার রাতে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে ঘাতক শাকিলকে গ্রেপ্তার করে মেঘনা থানা পুলিশ। এরপর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিল পুরো হত্যাকাণ্ডের রহস্য পুলিশকে জানায়। পুলিশ সূত্র জানায়, সেদিন শিশুটির দুষ্টুমিতে বিরক্ত হয়ে তার মুখে ইট ছুড়ে মারে শাকিল। এতেই মৃত্যু হয় শিশুটির। হত্যার পর সে শিশুটির লাশ একটি বস্তায় ভরে। এরপর লাশটি লুকিয়ে রাখে ওই গ্রামেই থাকা তাদের একটি অটোরিকশার গ্যারেজে। সেখানে ৭/৮ দিন রাখার পর লাশটি থেকে যখন দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে তখন সেটি নিয়ে ফেলে দেয় নদীতে। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বলেন, মামলাটি ছিলো একেবারেই ক্লু-লেস। এরপরও আমাদের সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তাও নেওয়া হয়। সর্বশেষ আমরা খুনিকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। | হত্যা | শিশু রিফান ও গ্রেপ্তার শাকিল | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/04/13/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%aa/ | ক্ষ্যাপা'র বৈশাখী আড্ডা | করোনাভাইরাসের সংক্রমণে প্রভাবে স্থবির হয়ে গেছে সব কিছু। ঘরবন্দি মানুষের জন্য এই সময়ে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টায় ফেসবুক লাইভ আড্ডার আয়োজন করেছে থিয়েটার পত্রিকা ক্ষ্যাপা। ইতোমধ্যে লাইভ আড্ডায় গান, আবৃত্তি, পাঠ অভিনয় করেছেন সামিউন জাহান দোলা, হুমায়ূন আজম রেওয়াজ, নুশিন আদিবা ও শিশির রহমান। সরকারি নির্দেশনা মেনে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এবার চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন করেছে ক্ষ্যাপা। সোমবার চৈত্রসংক্রান্তির আয়োজনে রয়েছে ধারাবাহিক তিনটি ফেসবুক লাইভ সম্প্রচার। বিকেল ৪টায় পাপেট শো পরিবেশন করবে শিশুশিল্পী শ্রেয়ান, সন্ধ্যা ৭টায় আশরাফুল হাসান বাবু ও কাজী বুশরা আহমেদ তিথির আবৃত্তি এবং রাত সাড়ে ১০টায় গান-আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন সংগীত ও নাট্যশিল্পী চেতনা রহমান ভাষা। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে রয়েছে ধারাবাহিক ৫টি লাইভ সম্প্রচার। সকাল ৯টায় কলকাতার জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপিকা রিনি বিশ্বাস উপস্থিত থাকবেন আবৃত্তি ও আড্ডায়। বেলা ১২টায় পাপেট শো পরিবেশন করবে শিশুশিল্পী চন্দ্রবিন্দু তোতা ও তার আবোলতাবোল পাপেট থিয়েটার, বিকেল ৪টায় আবৃত্তি ও আড্ডায় অংশ নেবেন নন্দিত আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার এবং সবশেষে রাত ১১টায় উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও শিমুল ইউসুফ। এই আড্ডাবাজিতে অংশ নিয়ে ইচ্ছামতো আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন ০১৭১৭৩৮৬৬৪৬ এই বিকাশ নম্বরে (ব্যক্তিগত)। এই টাকা দেয়া হবে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের হাতে। ক্ষ্যাপার ফেসবুক লাইভ সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন পাভেল রহমান, অপু মেহেদী, প্রসেনজিত রায়, মাহফুজ সুমন, শাহনাজ জাহান ও শাকিল মাহমুদ। | আয়োজন,ক্ষ্যাপা,পহেলা,বৈশাখ | বিনোদন প্রতিবেদক | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/08/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7/ | মাস্ক খুলে নিরাপত্তারক্ষীকে পরিচয় দিলেন দীপিকা! | মুম্বাই বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তারক্ষীর অনুরোধে মাস্ক খুলে নিজের পরিচয় দেন তিনি। এত বড় বলি-তারকা হওয়া সত্বেও দীপিকার এই নম্র ব্যবহার মন জয় করেছে নেটিজেনদের। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। শনিবার সকালে বেঙ্গালুরু উড়ে গেছেন দীপিকা পাড়ুকোন।এদিন সাতসকালেই জন্য বাড়ি থেকে মুম্বই বিমানবন্দরের টার্মিনালের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই তাকে ঘিরে শোরগোল শুরু হয় পাপারাৎজিদের মধ্যে। ব্যস্ততা থাকলেও তাঁদের নিরাশ করেননি 'মাস্তানি'। মুখে মাস্ক পরা অবস্থাতেই কোভিড দুরুত্ব মেনে তাদের ক্যামেরার সামনে পোজও দেন পিকু। ঘন ঘন হাত নাড়িয়ে অভিবাদনও জানান। ঢিলেঢোলা পোশাকের সঙ্গে বেজ রঙের ওভারকোট পরে ক্যাজুয়াল অবতারেই বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন 'পিকু'। এরপর পাপারাৎজিদের আবদার মিটিয়ে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকতে যাবেন, এমন সময় নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার দায়িত্বে থাকা এক নিরাপত্তারক্ষী মাস্ক সরিয়ে দীপিকাকে তাঁর মুখ দেখানোর অনুরোধ জানান। বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী। অথচ তার চোখে সামনেই তখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে পাপারাৎজিদের দল, যাঁদের ক্যামেরার লেন্সের সামনে থেকে সদ্য হেঁটে এসেছেন বলি-তারকা। তবে একমুহূর্তের জন্যও কোনও রাগ অথবা নাটক না জুড়ে সঙ্গে সঙ্গে মুখের মাস্ক খুলে নিরাপত্তিরক্ষীকে তাঁর মুখ দেখান 'বলি-ক্যুইন'। এরপর সেই আধিকারিক অনুমতি দিলে বিমানবন্দরের টার্মিনালের দিকে পা বাড়ান বলি-নায়িকা। গোটা ঘটনার ভিডিওটি সামনে আসতেই হু হু করে ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। নেটিজেনরা মুগ্ধ তাঁদের প্রিয় নায়িকার এই নম্র ব্যবহারে। প্রচুর নেট নাগরিকও দীপিকার এই ভদ্র ব্যবহারের অকুন্ঠ তারিফ করেছেন। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। এত বড় বলি-তারকা হওয়া সত্বেও একাধিক জায়গায় বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষদের প্রতি দীপিকার ভদ্র ব্যবহারের ছবি কিংবা খবর উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। | null | নামি বলি-তারকা হওয়া সত্বেও দীপিকার নম্র ব্যবহার সবসময়ই উঠে এসেছে খবরে। হিন্দুস্তান টাইমস | entertainment |
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/জাহাঙ্গীরনগর-বিশ্ববিদ্যালয়-নেবে-প্রভাষক-ও-সহকারী-অধ্যাপক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নেবে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির দুটি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউটে ১০ জন প্রভাষক ও একজন সহকারী অধ্যাপক নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিপদ ও সংখ্যা: সহকারী অধ্যাপক একজন এবং প্রভাষক দুইজন (অস্থায়ী)ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগপদ ও সংখ্যা: প্রভাষক দুইজন (স্থায়ী)পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগপদ ও সংখ্যা: প্রভাষক তিনজন (স্থায়ী) এবং অস্থায়ী তিনজন প্রভাষক সহকারী অধ্যাপক: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকাপ্রভাষক: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা সহকারী অধ্যাপক: এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম বিভাগ/গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ ৫-এর স্কেলে ৪.২৫। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি এবং গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ ৪-এর স্কেলে ৩.৬০ থাকতে হবে। পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে এবং কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। প্রভাষক: এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম বিভাগ/গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ ৫-এর স্কেলে ৪.২৫। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি/ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৪-এর স্কেলে ৩.৬০ থাকতে হবে। পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে প্রভাষক পদে আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম বিভাগ/গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ ৫-এর স্কেলে ৪.২৫। পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস/পরিসংখ্যান/নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৪-এর স্কেলে ৩.৬০ থাকতে হবে। প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম পাওয়া যাবে এ ঠিকানায় ://...। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৬ অক্টোবর ২০২১। | নিয়োগ,চাকরিবাকরি,শিক্ষক,শিক্ষক নিয়োগ,শিক্ষা গবেষণা,সরকারি চাকরি,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,শিক্ষকতা | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/84726/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F | ফের ঘর ভাঙচুর, লুটপাট | সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ১২টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় লতাবাগ ও উপরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।অভিযোগ উঠেছে, শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী জামাল হোসাইনের সমর্থক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ টিপুর সমর্থকেরা লতাবাগ ও উপরগাঁও গ্রামে এই হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবারে গুড়িপাড়া, বাইশরশি ও দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামে হামলা করে ৫০টি ঘর ভাঙচুর করা হয়। পুনরায় হামলার ভয়ে গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন। হামলার ভয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের অনেক সমর্থক বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউপিতে গত ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসাইন। আর মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল হোসাইন জয় লাভ করেন। নির্বাচনে জামাল হোসেনকে সমর্থন করেন ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ টিপু।ভোটে জয়ের পর গত শনিবার সন্ধ্যায় মাহাবুব মোর্শেদ ও জামাল হোসাইনের সমর্থকেরা তুলাসারের লতারবাগ ও উপরগাঁও গ্রামে হামলা করেন। গ্রাম দুটির ১২টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। যাদের বাড়িতে হামলা করা হয়ে তাঁরা সকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থক। এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন সকালে উপরগাঁও গ্রামে ১০টি ঘর ভাঙচুর করা হয়। নির্বাচনের পরের দিন শুক্রবার গুড়িপাড়া, বাইশরশি ও দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামে ৪০টি বসতঘর ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়।স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'নির্বাচনের আগ থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। নির্বাচনে জয়ের পর এখন বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি মিলে হামলা করে এখন আমার সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করছে। তাদের ভয়ে পাঁচটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত, পুরুষেরা এলাকা ছাড়া। কেউ মামলা করারও সাহস পাচ্ছে না।'জানতে চাইলে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ টিপু বলেন, 'আমার সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। এ কারণে অনেকেই তাঁর পক্ষে কাজ করছেন। জাহিদুলের সমর্থকেরা আগে যাঁদের মারধর ও হামলা করেছেন, তাঁরা এখন সুযোগ পেয়ে হামলা করছেন।'তুলাসার ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জামাল হোসাইন বলেন, 'আমার কোনো সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করছেন না। যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে তা নিজেদের পারিবারিক ও এলাকার ঝামেলা। এর মধ্যে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, 'তুলাসারে বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। সব পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। আর যাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, তাঁদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ না পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেব কীভাবে?' | বরিশাল বিভাগ,ইউপি নির্বাচন,ভাঙচুর,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,বরিশাল ৬ | ফের ঘর ভাঙচুর, লুটপাট | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/201038905/পানি-বেড়ে-উত্তরে-বন্যার-অবনতি | পানি বেড়ে উত্তরে বন্যার অবনতি | যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ। পানির তোড়ে কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে বাঁধ। ভেসে গেছে রাস্তা, ফসলসহ হাজারও একর আবাদী জমি। সব মিলিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছে বানভাসি মানুষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। করতোয়ার পানি বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। ফলে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ এবং সদর উপজেলার ৮০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গোবিন্দগঞ্জে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েছে বানের পানি। এ ছাড়া সাদুল্লাপুরের ছয়টি, সুন্দরগঞ্জের দু'টি, সদরের পাঁচটি এবং পলাশবাড়ী উপজেলার একটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ডুবে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপ। উপজেলা পরিষদ চত্বরেও পানি উঠেছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ গাইবান্ধার উপ-পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় জেলায় ১৩ হাজার ১৫ হেক্টর জমির আমন, মাসকলাই এবং শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ১০৮ মেট্রিক টন চাল, শিশুখাদ্যসহ নগদ আড়াই লাখ টাকা এবং ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এদিকে, ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে রংপুরের মিঠাপুকুরে ঘাঘট ও যমুনেশ্বরী নদী তীরবর্তী গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি। পানির তোড়ে কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে শতাধিক বসতঘর। ভারি বর্ষণে ভেঙে পড়েছে ২ শতাধিক মাটির ঘর। এ ছাড়া ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর আমনক্ষেত এবং ৪০০ হেক্টর সবজি পানিতে ডুবে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন উপজেলার পূর্ব এলাকায় ঘাঘট নদ তীরবর্তী মির্জাপুর, বালারহাট, ভাংনী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে পানিবন্দি মানুষের দুর্দশার চিত্র। স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে এসব এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত আছে। গোপীপুর এলাকার কুতুবুজ্জামান চৌধুরী হিরণ বলেন, এবারের মতো বন্যা আর দেখা যায়নি। উঁচু এলাকাতেও পানি উঠেছে। বসতবাড়িতে বুক সমান পানি। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ইউএনও মামুন ভুঁইয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সিরাজগঞ্জে পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর উপজেলা পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। অন্যদিকে ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে গতকাল করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এ ছাড়া পদ্মার পানি বেড়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। | বন্যা,বন্যা পরিস্থিতির অবনতি | সুন্দরগঞ্জ থেকে তোলা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/15/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be/ | রোহিঙ্গাদের কারণে করোনা ঝুঁকিতে উখিয়া-টেকনাফ | ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার কারণে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। করোনা প্রতিরোধে মেডিকেল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের দাবি জানাচ্ছেন তারা। তবে প্রশাসন বলছে, ঝুঁকি থাকলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তাদের। ইতোমধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করতে ক্যাম্প ইনচার্জসহ কর্মরত সংস্থাগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন কর্নার। সম্প্রতি ইতালি ফেরত ৩ বাংলাদেশির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সারাদেশে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। কক্সবাজারেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প, যেখানে গাদাগাদি করে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জেলার উখিয়া ও টেকনাফ এ দুই উপজেলার ৩৪টি শিবিরে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের একটি অংশ গোপনে মিয়ানমারে যাতায়াত করে থাকে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত থাকায় করোনা ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তবে চীন করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে এ ভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া উখিয়া ও টেকনাফে বিভিন্ন দেশের নারী-পুরুষ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করতে এসে চলাচল করছে অবাধে। সব মিলিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় অধিবাসীরা। তাই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে তাদের মাঝে। হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের ছৈয়দুর রহমানের ছেলে রশিদ উল্লাহ ও উনচিপ্রাং ক্যাম্পের মতিউর রহমানের ছেলে দিলদার হোসেন বলেন, আমাদের অনেকেই ক্যাম্পের বাইরে যাতায়াত করে থাকে। যদি তারা ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসে তাহলে সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। এ ছাড়া কোনো মেডিকেল টিম এ ভাইরাসের প্রচার ও প্রচারণা নিয়ে কাজ করছে না বলে জানান তারা। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গারা গোপনে বা কৌশলে মিয়ানমারে যাতায়াত করে থাকে। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের গভীর সম্পর্ক। যার কারণে এ ভাইরাস রোহিঙ্গারা বহন করে নিয়ে এলে তাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝে ভয়াবহতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের অনেকেই এ অঞ্চলে দিনমজুরের কাজ করে থাকে। যার কারণে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ঝুঁকি কমাতে হলে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত মেডিকেল টিম গঠনের দাবি জানান তিনি। এদিকে করোনা প্রতিরোধে টেকনাফ স্থলবন্দরে ডা. শুভ্র দেবের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ টিম। এ বন্দরে মিয়ানমার হয়ে চীনের অনেক পণ্য টেকনাফ স্থলবন্দর ও করিডোর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ফলে বন্দরে আগত ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত। মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্র দেব বলেন, প্রতিদিন বন্দরে গিয়ে জাহাজের নাবিক, মাঝি মাল্লাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় দুইশত লোকজনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ কাজ অব্যাহত রয়েছে। টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ শয্যার একটি করোনা কর্নার খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সবার সুবিধার্থে হটলাইনের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আইসোলেশন কর্র্নার করা হয়েছে। পাশাপাশি এনজিওদের সমন্বয় করে কাজ করছে প্রশাসন। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে এ দুই উপজেলাকে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, এখানে দেশি-বিদেশি অনেক এনজিওকর্মী কাজ করছে। তাই এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে। | করোনা,ঝুঁকি,প্রতিরোধে,রোহিংঙ্গা,স্থানীয় | রোহিঙ্গারা | national |
https://samakal.com/probas/article/1909188/বিএনপির-প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী-পালন | ক্যালিফোর্নিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন | যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিএনপি ক্যালিফোর্নিয়া শাখা সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসের গ্রিফিত পার্কের ক্রিস্টাল স্প্রিং প্রাঙ্গণে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ, আমেরিকা এবং বিএনপির দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিএনপি ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমান, বিএনপি ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুজ্জোহা বাবলু প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জনান। | যুক্তরাষ্ট্র | ক্যালিফোর্নিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতাকর্মীরা | life-health |
https://www.prothomalo.com/opinion/interview/কিছু-বিষয়-প্রধানমন্ত্রীকেই-বলতে-চাই-আরিফুল-হক | কিছু বিষয় প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে চাই: আরিফুল হক চৌধুরী | সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাসভবনে সিলেট নগরীর উন্নয়ন ও নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান। প্রথম আলো: টাকা থাকলেও উন্নয়ন হয় না, ফেরত যায়। আপনি কেন ও কীভাবে সফল? আরিফুল হক চৌধুরী: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এর প্রধান কৃতিত্ব নগরবাসীর। আমার কতগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল। জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা ছিল। প্রথম আলো: আপনি ছিল বলছেন, তাহলে সামনের বর্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম যথারীতি ডুববে, সিলেট ডুববে না? আরিফুল হক: দৈব-দুর্বিপাক ছাড়া আশা করছি, ডুববে না। সিলেট নগরীতে পাহাড়ি ছড়া ও খালের বিরাট প্রভাব। তাই প্রথমেই এর একটা ম্যাপিং করি। জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর সহায়তা নিই। তিনটি বড় সমস্যা চিহ্নিত করি। এক. ছড়াগুলোর গতি পরিবর্তিত হয়েছিল, দুই. ৪০ থেকে ৫০ ফুট প্রশস্ত ছড়া কোথাও এক থেকে দেড় ফুটে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তিন. যেসব ছড়া ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো জলাশয়ে মিশেছে, সেখানে দেয়াল তোলায় ছড়ার গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আবার কোথাও হয়তো কোনো সংবেদনশীল স্থাপনা পড়েছে। সেসব আমরা এলাকা ভিত্তিতে কথা বলে সমাধান বের করেছি। তাই সরকারি প্রশাসনিক বা আদালতের আশ্রয় নিতে হয়নি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এগিয়ে আসেন। একপর্যায়ে আমাকে দুই বছর সরকারি হেফাজতে (কারাগারে) থাকতে হয়। তখন কাজ থেমে ছিল, বের হয়ে তা প্রায় শেষ করতে পেরেছি। দুই মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের নর্দমা তৈরি ২৬২ কিলোমিটার। রোড ডিভাইডার ৫০ কিলোমিটার এবং পিচ ঢালাই রাস্তা ২০০ কিলোমিটার। ১০টি নলকূপ ও ১৯৫ কিলোমিটার পানির পাইপলাইন। এসব পদক্ষেপের ফলে শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর হয়েছে বলা যায়। প্রথম আলো: কিন্তু আপনি অসফল ফুটপাতমুক্ত বা হকার উচ্ছেদে? আরিফুল হক: সফল অ-সফল কতটা জানি না। এখানে একটা লুকোচুরি খেলার মতো চলছে। আনুষঙ্গিক বিষয় যা থাকা দরকার, সেখানে ঘাটতি আছে। এর পেছনে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার পরে এখন সড়ক সম্প্রসারণে হাত দিয়েছি। এরপর বণিক সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে এটায় পুরো নজর দেব। তবে ইতিমধ্যে যে পরিবর্তন দৃশ্যমান, সেটা হলো বেলা দুইটার আগে আপনি সিলেটের সড়কগুলো হকারমুক্ত পাবেন। প্রথম আলো: হকারদের পুনর্বাসন? আরিফুল হক: লালদীঘিতে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল কিন্তু তারা বিক্রি করে দিয়ে চলে এসেছে। আমি আসলে সিলেট শহরে সড়কে ফ্রাইডে এবং স্যাটারডে মার্কেট শুরু করতে চাই। প্রতি সপ্তাহান্তে সড়ক বদলাবে। শর্ত একটাই, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে বা কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসা যাবে না। ব্র্যাকের সহায়তায় বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার বিশেষ প্রকল্প (৩ ওয়ার্ড) সফল হচ্ছে। গত দেড় মাসেই ৩ টন বর্জ্য বেচে পেয়েছি ৭০ হাজার টাকা। প্রাথমিক বিনিয়োগ ছিল মাত্র সোয়া লাখ টাকা। ইউএনডিপি, ইউনিসেফও আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রথম আলো: দেশের অন্যত্র যখন মুখ দেখাদেখি বন্ধ তখন আপনার নেতৃত্বের প্রতি ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা কী মনোভাব দেখাচ্ছেন? আরিফুল হক: এটা একটা সুখবর যে, শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক দলসহ যত দল আছে, এসব বিষয়ে সবাই একত্র হয়েছে। আমার বাসায় তারা সবাই বৈঠকে বসেছে। প্রথম আলো: এত বৈরিতার মধ্যে আপনি তো তাহলে একটা সর্বদলীয় বৈঠকের নজির স্থাপন করেছেন? আরিফুল হক: কিন্তু এতে শুধু শ্রমিকেরাই জড়িত। মেয়র হিসেবে আমি তো সবার মেয়র। সুতরাং আমার কাছে তো এই বিবেচনা নেই যে এখানে শ্রমিক দলের হকাররা বসবেন, শ্রমিক লীগের বসবেন না। তাঁরা শ্রমজীবী। আমি তাঁদের এটুকু বোঝাতে পেরেছি, পুলিশ কেন তাঁদের তাড়া করবে। চাঁদাবাজদের কেন তাঁরা টাকা দেবেন। প্রথম আলো: অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনে কিছু প্রকল্প বন্ধ আছে। আরিফুল হক: কোনো প্রকল্প বন্ধ হতে দিইনি। কিছু মতপার্থক্য দেখা দেয়। ঠিকাদার যেভাবে কাজ করেন, সেটা হয়তো কাউন্সিলরদের মনঃপূত হয় না। আবার অনেক সময় ঠিকাদার কাজ নিয়ে তা বিক্রি করে দেন। আমি পুনর্নির্বাচিত হয়ে বলেছি কোনো ঠিকাদার কোনো কাজ বিক্রি করতে পারবেন না। প্রথম আলো: জেলার সরকারি প্রশাসন থেকে কী রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন? আরিফুল হক: আমি সব রকম সহযোগিতা পাচ্ছি। সাবেক অর্থমন্ত্রীও তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেবের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি। সবেমাত্রই আমরা সাড়ে ১২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছি। সিলেটের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্প। ৮০ ভাগ বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ২০ ভাগের জোগান দেবে সিলেট সিটি করপোরেশন। প্রথম আলো: আপনি এই ২০ ভাগের টাকা কোথায় পাবেন? ট্যাক্স বাড়িয়েছেন কতটা? আরিফুল হক: এর উৎস হচ্ছে রাজস্ব আয়, হোল্ডিং ট্যাক্স। দুই মেয়াদে আমি কোনো ট্যাক্স বাড়াইনি। না বাড়িয়ে বকেয়া ট্যাক্স তোলার ব্যবস্থা করেছি। মানুষ কর দিতে চায়। কিন্তু নানা জটিলতা ও বাধা আছে। যেমন ধরুন প্রবাসীরা টাকা পাঠান, অথচ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কেয়ারটেকাররা তা জমা দেন না। অনলাইনে জমা করার বিধান করায় এসব বাধা থাকছে না। ২০০৬-০৭ সালে আদায় ছিল ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা। আম নির্বাচিত হই ২০১৩ সালে। সেই থেকে এ পর্যন্ত আদায় ৫৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। প্রথম আলো: বিদ্যুৎ বিতরণের লাইন মাটির নিচে পাঠানোর ফলাফল কী? আরিফুল হক: বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রকল্প প্রথম সিলেট শহরে হচ্ছে। তারা দেশের কোন শহরে পাইলট স্কিম করবে, যাচাই করছিল। হঠাৎ জানতে পেরে সাবেক অর্থমন্ত্রীকে বললাম আপনি যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে আমরা এটা পেতে পারি। তাই হলো। উচ্চপর্যায়ের বোর্ড মিটিং বসল। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পিডব্লিউডি শহরে এল। তারা রাজি হচ্ছিল না। বলল, বিদ্যুতের লাইন মাটির গর্ভে পাঠালে ট্রান্সফরমারগুলো কার জমির ওপরে বসবে। আমি ঝুঁকি নিলাম। বললাম, আমি যেভাবে পারি জনগণকে বুঝিয়ে তাদের বাড়িঘরের ভেতরে আমি বসাব। এরপর আমি সরকারি হেফাজতে যাই। শুনতে পেলাম, সিলেটের জন্য এটা বাতিল হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে আমি হেফাজত থেকে বেরোই। খোঁজ নিয়ে জানি, এটা বাতিল হয়নি, স্থগিত রয়েছে। আবার সাবেক অর্থমন্ত্রীর কাছে ছুটলাম। তিনি দ্রুত একটা ডিও লিখলেন। নথি নড়ল। কিন্তু পড়ল আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। কারণ, এই প্রকল্পের ডিপিপি হলো অসম্পূর্ণ। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির খরচটা তাতে ধরা হলো না। ৬৩ কোটি টাকার দরকার। আমি অনেকটা বাজি ধরি। বলি, আমি (সিটি করপোরেশন) দেব। এনওসি দিলাম। এভাবে কাজ শুরু হলো। প্রথম আলো: আর কী অভিজ্ঞতা, যা দেশের একই কাজে নামলে অন্য মেয়রদের জন্য কৌতূহলোদ্দীপক? আরিফুল হক: এই কাজে নেমে দুটি বিষয় দেখলাম। যারা ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে, তারা আমাকে কোনো কর দেয় না। তারা বিনা টাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে আসছে। আরেকটি গ্রুপ হলো ডিশ ব্যবসায়ী। তাদের সেবা মাটির নিচে পাঠালাম। আমার অগ্রাধিকার নগরবাসীর নিরাপত্তা সুরক্ষায়। যখন নাইট ভিশনের মতো ক্যামেরা আমাকে ফিট করতে হবে, তখন কেব্ল লাগবে। সুতরাং এখন যদি এসব সেবা জুতসইভাবে যুক্ত হয়, তাহলে আমরা পরে বেনিফিট নেব। এ জন্য তাদের সঙ্গে আমি একটি সমঝোতা স্মারক সই করি। এ পর্যন্ত নগরীতে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন টানার কাজ মাত্র আড়াই কিলোমিটারে হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার লাগবে মূল শহরে। আমি এখন প্রস্তাব দিয়েছি ২৫ কিলোমিটারের। মোটামুটি এটা অনুমোদন পেয়েছে। ৫ কিলোমিটারে খরচ পড়েছে ৫৫ কোটি টাকা। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো টাওয়ার বসিয়ে ব্যবসা করছে। তাদের বললাম, আপনারা ফ্রি ব্যবসা করতে পারেন না। তারা পাল্টা যুক্তি দিল, কেন্দ্রীয় সরকারকে দিই। আপনাদের দেওয়ার দরকার নেই। এরপর আমি হাউজিং স্টেটকে চিঠি দিই। তাদের বলি, তোমরা বহুতল ভবনে টাওয়ার বসানোর সময় অনুমতি নেওনি। চার-পাঁচ মাস আগের কথা। দুই ফোন কোম্পানির লাইন কাটার প্রস্তুতি নিই। তবে কাটতে হয়নি। শুধু ব্লেড লাগিয়েছিলাম। এতেই কাজ হয়েছে। দুই ফোন কোম্পানি ৭৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। প্রথম আলো: মাটির নিচে গেলে আর কী সুবিধা হবে? আরিফুল হক: বিদ্যুৎ বিভাগ সিস্টেম লস থেকে একটা বড় বাঁচা বাঁচবে। বিল না দিয়ে অবৈধ লাইন টেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা, মিটার টেম্পারিংয়ের মতো গচ্চা বন্ধ হবে। ট্রান্সফরমার চুরি হওয়া এবং তার কেটে নেওয়ার মতো সমস্যা থাকবে না। বরং বিদ্যুতের ব্যবহার আরও নিরাপদ হবে। ডিজিটাল মিটার চুরি, লস ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমিয়ে দেবে। সিটি প্রশাসন চালানোর একটি বিরাট শিরপীড়া হলো বকেয়া বিদ্যুৎ বিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৬ কোটি টাকা পড়েছিল। এখন প্রায় ১৩ কোটি টাকা। পিডব্লিউডির সঙ্গে এটা কমাতে আলোচনা চলছে। প্রথম আলো: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কার্যকর ও গুণগত পরিবর্তন আনার মূলমন্ত্র কী? আরিফুল হক: সেবা যদি সত্যিকার অর্থে মানুষের দোরগোড়ায় দিতে হয়, তাহলে বিভাজন করলে হবে না। এটা অনুমেয় বা প্রতীয়মান হয় যে, এখানে আমি যেহেতু বিরোধী দলের মেয়র। তাই ডেপুটি কমিশনার বা পুলিশ সুপার দ্বিধায় ভোগেন। মেয়র ছাড়া আমার কোনো স্ট্যাটাস নেই। মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল কেউ এলে আমি যত দূর সম্ভব আমন্ত্রণের অপেক্ষায় থাকি না। নিজেই দরকারি বৈঠকগুলোতে হাজির থাকি। কিন্তু কখনো বুঝতে পারি, আমি তো জনস্বার্থে, এলাকার উন্নয়নে যাই, কিন্তু যাঁদের কাছে যাই, তাঁরা যেন বিব্রত হন। এই অদৃশ্যমান বাধাসমূহের অপনোদন একটি স্বাভাবিক প্রত্যাশা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উন্নয়ন শতভাগ হতে হবে। আমি মনে করি, শতভাগ উন্নয়নের ধারণাকে সম্পূর্ণতা দিতে প্রত্যেককে সমানতালে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রথম আলো: আপনার এই কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বলার সুযোগ পেয়েছেন বা তেমন চেষ্টা করেছেন? আরিফুল হক: এ বিষয়ে আমার আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে দু-তিনবার দরখাস্ত দিয়েছি। কিন্তু তা তাঁর দপ্তরে বা তাঁর নজরে পৌঁছেছে বলে মনে হয় না। মেয়র হওয়ার পরে গণভবনে শপথ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎ ঘটেছিল। তিনি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্বপ্রণোদিতভাবে কুশল বিনিময় করেছিলেন। এমনকি তাঁর আগ্রহেই গণভবনের লনে, ওই যে দেখেন (তাঁর বাসভবনে টানানো), সিলেটের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ফটোসেশন করেছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, কাজ করুন। আমার সহযোগিতা পাবেন। আমি চাই জনগণের জন্য কাজ হোক। সেটা আমি নিশ্চয় পাচ্ছি। তবে কিছু বিষয় থাকে, যা শুধু তাঁকেই বলা যায়। আমি এসব বিষয় লিখে জানাতে পারি না। কারণ, বিষয়ের সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। এর সঙ্গে আমার নিরাপত্তার বিষয়ও থাকতে পারে। প্রথম আলো: বিএনপির কাউন্সিলর কত? মুজিব বর্ষে কী কর্মসূচি? আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে স্থানীয় বিএনপি আপনাকে সহযোগিতা দিচ্ছে কতটা? আরিফুল হক: আমরা যথেষ্ট মাইনরিটি, পাঁচ থেকে ছয়জন মাত্র। ভোটের পরে ৫ থেকে ৭ বার আমাদের ক্যাবিনেটের সভা হয়েছে। ৩৪ জনের মধ্যে দু-একজন বাদে বাকিরা সব সময় হাজির থেকেছেন। আমি মনে করি অন্যান্য সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের মুজিব বর্ষ উদ্যাপন প্রস্তুতিতে এগিয়ে আছি। এক কোটি টাকার নিজস্ব বাজেট। আমার পরিধি সীমিত। তদুপরি আমি এ প্রসঙ্গে বলতে চাই শেখ মুজিবুর রহমানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত না করাই ভালো। তাঁকে যদি ফাদার অব দ্য নেশন হিসেবে দাবি করেন, তাহলে এখানে কোনো বিভাজন না করাই উচিত। তাঁকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। প্রথম আলো: আপনার শেষ মন্তব্য? আরিফুল হক: আমি আপনার মাধ্যমে এটা বলতে চাই, কেউ যখন আমার মেসেজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না, তখন আমি চাইছি যে আমার এলাকার জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেটা চলমান রয়েছে, তার কোথায় সুবিধা, কোথায় অসুবিধা, এটা আমি তাঁর কাছেই বলতে চাই। এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা তাঁকে ছাড়া অন্যদের কাছে বলতে পারব না। প্রথম আলো: ধন্যবাদ। আরিফুল হক: ধন্যবাদ। | সাক্ষাৎকার | সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো | opinion |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/30/%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%aa%e0%a6%bf-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87/ | এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারে বড়েছে ৪৯ টাকা | বেড়েছে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশে রান্নার জন্য জনপ্রিয় এই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির দাম প্রতি কেজিতে ৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা জুন মাসে ছিল ৭৪ টাকা ২৪ পয়সা ধরে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮৪২ টাকা। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের (পরিবহনে ব্যবহৃত এলপিজি) দাম ৪১ দশমিক ৮৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তা পর্যায়ে তৃতীয়বারের মতো এলপিজির দাম সমন্বয় করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ সময় কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল-ই এলাহী, বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, সচিব রুবিনা ফেরদৌসীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানান, জুন মাসের জন্য সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৫৩০ ডলার এবং ৫২৫ ডলার অনুযায়ী মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় গড় মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৫২৬.৭৫ ডলার ধরে দেশের বাজারের জন্য এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম আগের মতোই ৫৯১ টাকা থাকবে। কারণ এই দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে আবাসিক ও শিল্পে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহৃত রেটিকুলেটেড সিস্টেমেন এলপিজির দাম ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি ৭১ টাকা ৯৪ পয়সা অথবা প্রতি লিটার ০ দশমিক ১৫৯৭ টাকা পুননির্ধারণ করেছে কমিশন। | null | এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/30376/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87 | কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম বলার রীতি নেই : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী | সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্যার শব্দের বাংলা অর্থ মহোদয়। রুলস অব বিজনেসে এটা নেই। স্যার বা ম্যাডাম সম্বোধন করতে হবে এমন কোনো রীতি নেই।'সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনা ছিল-যাঁরা সেবা নিতে আসেন তাঁদের দিকে তাকাও, তাঁরা তোমার বাবার মতো, ভাইয়ের মতো, আত্মীয়ের মতো। সেবা নিতে আসেন জনগণ। তাদের টাকায় তোমাদের বেতন হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। বিভাগীয় কমিশনার থেকে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সেই নির্দেশনা দিই। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। হাসিমুখের অ্যাটিচিউটটা খুব ইমপর্টেন্ট। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল, এটা কখনো করা যাবে না। আইনের মধ্যে থেকে সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার অ্যাটিচিউড থাকতে হবে। কর্মকর্তারা যাতে এটি মেনে চলেন।'২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে চলতি ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশাসন ক্যাডারের ৫৫ জন কর্মকর্তাকে লঘু ও গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ৪৯টি মামলা চলমান আছে বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নে ফরহাদ বলেন, কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে সেটা দেখা দরকার। বরিশালে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। করোনার মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বেশি জনমুখী হয়েছি। দু-এক জায়গায় যে ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত করে বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি।'জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের গুণগত মান অনেক বেড়েছে দাবি করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসিল্যান্ড অফিসে অনেক ঝামেলা ছিল, এখন ডিজিটালাইজেশনের কারণে সেই ঝামেলা নেই। এখন ৯৫ শতাংশই কর্মকর্তাই সফল হচ্ছেন। এই ৫ শতাংশ কর্মকর্তা কমিউনিকেশনের জন্য সুন্দর করে বললে এমন হতো না। কাউকেই তাঁর আইনি এখতিয়ারের বাইরে আচরণ করা উচিত নয়। | জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী,বিএসআরএফ | বিএসআরএফ সংলাপে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। | national |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/06/07/536582 | বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. রফিক চৌধুরী করোনা আক্রান্ত | বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার এক ফেসবুক বার্তায় তিনি নিজেই করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
| null | অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী | life-health |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/07/27/674197 | অতিরিক্ত ভাড়া না দেয়ায় যাত্রীকে মাঝ নদীতে নিয়ে মারধর | বরিশালের আড়িয়ালখাঁ নদীর মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করায় এক যাত্রীকে বেদম মারধর করে ট্রলার থেকে নদীতে ফেলে বাঁশ দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত যাত্রীর মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতারও করে। এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ খেয়া যাত্রীরা। যাত্রী নির্যাতন মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একপর্যায়ে তাকে মাঝ নদীতে ফেলে দেয় তারা। তিনি সাঁতরে তীরে উঠতে চাইলে বাঁশ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কোনোমতে প্রাণে বেঁচে রাসেল। দূর থেকে কেউ একজন পুরো ঘটনা ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। খেয়া যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, জেলার মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের কয়েক লাখ মানুষ এই খেয়া পার হয়ে বরিশালে চলাচল করেন। সবার কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হয়। এই খেয়ায় চলাচলকারী যাত্রীরা ইজারাদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফারজানা ইয়াসমিন নামে আরেকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ভাড়া দিতে রাজী না হওয়ায় মাঝ নদী থেকেও ট্রলার ঘুরিয়ে উল্টো পথে নামিয়ে দেয় তারা। উর্মি আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, এই ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়ায় আদায়ের ঘটনা নতুন নয়। সবাই মান সম্মানের ভয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হন। প্রতিবাদ করলেই ইজারদারের লোকজন তাদের মারধরসহ নানাভাবে হেনস্তা করে। মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে বছরের পর বছর ধরে এই জুলুমবাজি চললেও প্রশাসন এবং পুলিশ থাকছে একেবারে নির্বিকার। অভিযোগ রয়েছে ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি চেপে যাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন। ভুক্তভোগী যাত্রীরা মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দাবী করেন। খেয়াঘাট পরিচালনাকারী আলমগীর হোসেন সুমন রাড়ি বলেন, তিনি ৩ বছর আগে ওই খেয়াঘাটের ইজারাদার ছিলেন। এখন মশিউর রহমান মানব নামে একজন ইজারাদার হয়েছেন। এ ব্যাপারে মশিউর রহমান মানবের মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মশিউর রহমান মানব নামে ইজারা নিয়ে মূলত সুমন রাড়িই খেয়াঘাট পরিচালনা করছেন। এদিকে যাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিত রাসেল হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২১ জুলাই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বাবুগঞ্জ থানায়। মো. তুহিন নামে এক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্যরা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খেয়া যাত্রী নির্যাতন মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে। আর বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়াদার বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা আইন বহির্ভূত। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর | বরিশাল, খেয়াঘাট, ইজারাদার, মারধর | অতিরিক্ত ভাড়া না দেয়ায় এক যাত্রীকে মাঝ নদীতে নিয়ে মারধর করেন ইজারাদারের লোকেরা | national |
https://samakal.com/probas/article/210151283/প্রবাসী-বাংলাদেশিদের-সঙ্গে-কানাডাস্থ-বাংলাদেশ-হাইকমিশনারের-মতবিনিময় | প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনারের মতবিনিময় | বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কানাডার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিভাবে সেতুবন্ধন তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কানাডার ক্যালগেরিতে 'প্রবাস বাংলা ভয়েস' এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান। মূল বক্তব্য পাঠ করেন ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আনিস হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সভাপতি মো. রশিদ রিপন এবং ক্যালগেরির এ বিএম কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মো. বাতেন। এছাড়াও আলোচনায় আরো অংশ নেন অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড জিও সাইন্টিস্ট অফ আলবার্টার ক্যালগেরি শাখার কোষাধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ কাদির, বিসিএওসির সাবেক সভাপতি আবদুল্লা রফিক, সিলেট অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত, সাবেক ছাত্রনেতা, ট্রাস্টি ও সাবেক সভাপতি বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির কিরণ বণিক শংকর এবং আলবার্টা বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগারি সভাপতি প্রকৌশলী সুব্রত বৈরাগী। কানাডায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান তার বক্তব্যে কিভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী এই দেশে এসে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনিস হক তার মূল বক্তব্যে কানাডায় পড়তে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সহযোগিতাসহ কানাডা এবং বাংলাদেশের ভেতর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাম্ভাব্য সহযোগিতার উপর আলোকপাত করেন। এছাড়াও বক্তারা সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কানাডা ও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সেতুবন্ধন হতে পারে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। | কানাডা,মতবিনিময় সভা | প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনারের মতবিনিময় সভা | life-health |
https://samakal.com/politics/article/1711153/আলীগ-ক্ষমতায়-থাকলে-মানুষের-অবস্থা-হবে-রোহিঙ্গাদের-মতো | 'আ'লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের অবস্থা হবে রোহিঙ্গাদের মতো' |
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না ঘটলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা রোহিঙ্গাদের মতো হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা করা আওয়ামী লীগের আসল চেহারা দেশের মানুষের আর বুঝতে বাকি নেই। এই ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের একদিন রোহিঙ্গাদের মতো পরিণতি হবে।'শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা আব্বাস বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। দেশের মানুষের কল্যাণ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনীতি করে। এজন্য দলকে সুসংগঠিত করে এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।'দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিসয়ক সম্পাদক মীর সরফত আরী সপু প্রমুখ।
| বিএনপি,আব্বাস,মির্জা আব্বাস | মির্জা আব্বাস | politics |
https://www.bd-pratidin.com/country/2020/05/07/527990 | চাল চুরির অপরাধে শরীয়তপুরে চেয়ারম্যান আটক | শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুদহোদা রতনকে ৩৫ বস্তা মৎস্য ভিজিএফ'র চালসহ আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ শেষে আত্মসাতের আভিযোগ উঠলে তাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম নাসির উদ্দিন স্বপন ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোফাজ্জেল ব্যাপারী এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য শামীম বেপারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | সামসুদহোদা রতন | national |
https://samakal.com/whole-country/article/1910911/সিরাজ-বগুড়ার-উন্নয়ন-নিয়ে-অপরাজনীতি-করছেন-আ’লীগ | এমপি সিরাজ বগুড়ার উন্নয়ন নিয়ে অপরাজনীতি করছেন: আ'লীগ | বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ জেলার উন্নয়ন নিয়ে অপরাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়ার উন্নয়ন বিষয়ে গত ১ অক্টোবর এমপি সিরাজের সংবাদ সম্মেলনটি ছিল এক ধরনের অপকৌশল ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অংশ। শহরের সাতমাথার দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. মকবুল হোসেন বলেন, বিএনপিদলীয় এমপি বগুড়ার উন্নয়ন বিষয়ে তার সংবাদ সম্মেলনে আমাকে কৌশলে নিয়ে যান। তিনি সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার উন্নয়নের বিষয়টি আড়াল করে বিএনপির সময়কার উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তাৎক্ষণিক আমি এর প্রতিবাদও জানিয়েছি, তথাপি বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বগুড়া প্রেস ক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অন্য কোনো নেতা উপস্থিত না হলেও ডা. মকবুল হোসেন উপস্থিত থেকে বিএনপির এমপির বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এরপর বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু বলেন, এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বগুড়ার উন্নয়ন নিয়ে নিজের দলের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে তিনি বিএনপি সরকারের সময়ের উন্নয়ন বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মজিবুর রহমান মজনু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ঐতিহাসিক আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যেসব দাবি উত্থাপন করেছিলেন সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে; অথচ সেগুলোই এমপি সিরাজ তার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে এসব বিএনপির দাবি বলে অপপ্রচার করেছেন। মজনু আরও বলেন, বগুড়ার দৃশ্যমান উন্নয়নের মধ্যে সম্প্রতি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫০০ থেকে ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়, যার ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত রেল সংযোগ জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটিতে (একনেকে) পাস হয়েছে। বগুড়া জজ আদালতে ১০ তলা বিশিষ্ট সুবিশাল অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, যা ১৮ তলা করার প্রস্তাবনা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চারমাথায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক নির্মাণ সরকারের উন্নয়নের অনন্য উদাহরণ। বগুড়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে বগুড়া শিল্পনগরী হিসেবে আরও সমৃদ্ধ হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সময়ে বগুড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন মজিবুর রহমান মজনু। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের এত উন্নয়নের পরও গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বগুড়ার উন্নয়ন নিয়ে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল, রাগেবুল আহসান রিপু, টি জামান নিকেতা, আসাদুর রহমান দুলু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, কামরুন নাহার পুতুল, এবিএম জহুরুল হক বুলবুল, মাশরাফী হিরো, মাফুজুল ইসলাম রাজ, আলরাজী জুয়েল, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু প্রমুখ। | বগুড়া-৬ (সদর) আসন,এমপি সিরাজ,বগুড়া,আওয়ামী লীগ | শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/104735/%E0%A7%AA%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9C-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9 | ৪০ বছরে একাই দেড় হাজার কবর খুঁড়েছেন সফিউল্লাহ | সফিউল্লাহ মিয়া। ষাট ছুঁই ছুঁই বয়স। এলাকায় মৃত্যুর খবর শুনলেই ছুটে যান তিনি। গিয়েই প্রথমে মৃতদেহের মাপজোখ নেন। এরপর গোরস্থানে গিয়ে শুরু করেন কবর খোঁড়া। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই তিনি প্রস্তুত। রোগ-শোকও যেন কোনো বাধা নয়। প্রায় নেশার মতো পেয়ে বসেছে তাঁকে। ৪০ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে গোরখোদকের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।সফিউল্লাহ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের মৃত সূর্যাত আলীর ছেলে। এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি কবর খুঁড়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।স্থানীয় স্কুলশিক্ষক শাহ আলম বলেন, 'সফিউল্লাহ ভাই আমাদের এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে শিশু থেকে বৃদ্ধ, এলাকার সবার কবরই তিনিই খুঁড়েছেন। আমার বাবার কবরও খুঁড়েছেন। কোনো টাকা নেননি। পরে জোর করে সামান্য কিছু খরচ দিয়েছি। তাতেও রাগ করেন তিনি। তাঁর এই কাজের বিনিময়ে আমরা এলাকাবাসী তাঁকে কিছুই দিতে পারিনি।'সফিউল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, 'বাবার কাজ আমাদের কাছে খুবই ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, তিনি অন্যের বাড়ি, কৃষি জমিতে কাজ করতেন। সেই টাকা দিয়ে আমাদের তিন বোন আর দুই ভাই ও মাসহ ছয়জনের সংসার চালাতেন। অনেক কষ্ট করতেন। অনেক সময় সকালে কাজ শুরু করতেন সন্ধ্যায় বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। কেউ মারা গেলেই কবর খুঁড়তে যেতেন। এখনো যান। সবাই আমার বাবাকে টাকা দিতে চাইলে তিনি নেন না।'গোরখোদক হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে সফিউল্লাহ মিয়া বলেন, ১৮-১৯ বছর বয়স থেকেই কবর খোঁড়ার কাজ করছেন তিনি। তিনি বলেন, 'প্রথম দিকে আমি আগ্রহী ছিলাম না। তখন আমার মামা মহব্বত আলী এই কাজে আগ্রহী করে তোলেন। এরপর এলাকার কবর খুঁড়তে জানা প্রত্যেকেই এক এক করে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। একটা সময় শুধু আমিই এলাকায় একমাত্র গোরখোদক ছিলাম।'৪০ বছরে হাজার দেড়েক কবর খুঁড়েছেন সফিউল্লাহ। সুস্থ থাকলে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এ কাজ করে যেতে চান। এই হাতে নিজের বাবা-মার কবরও খুঁড়েছেন তিনি।সফিউল্লাহ বলেন, 'আপন মানুষের শেষ ঠিকানা নিজের হাতে তৈরি করার মতো কষ্টের অনুভূতি হয়তো আর নেই। বাবা-মা, ভাই ও ফুফুর কবর খুঁড়তে গিয়ে নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর মনে হয়েছে। কারণ আমি আমার আপন মানুষদের একটা অন্ধকার বিছানাহীন ঘরে রেখে এসেছিলাম। যেটা আমি নিজেই বানিয়েছি।'কবর খুঁড়তে গিয়ে মনে রাখার মতো অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে সফিউল্লাহর। তিনি বলেন, 'একবার বাড়ির পাশে একটি কবর করতে গেলে কাজ অর্ধেকের পর গোটা একটা মানুষের কঙ্কাল পেয়েছিলাম। যা আমার জীবনের এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। যখন বর্ষায় কেউ মারা যায়, তখন কবরে পানি উঠে যায়। ওই পানিতেই ভাসমান অবস্থায় আমি অনেক লাশ রেখে এসেছিলাম। আবার অনেক সময় কবর খুঁড়তে খুঁড়তে বেরিয়ে আসে সাপ বা বিষাক্ত কোনো প্রাণী। সেগুলো মোকাবিলা করে জীবনের ৪০ বছর পার করেছি। আর আমার সবচেয়ে কষ্ট হয়, যখন শিশু বাচ্চাদের কবর খুঁড়ি। বুক ভারী হয়ে কান্না আসে। কাউকে এই কষ্ট বলা যায় না। ৪০ বছরে আমার একটা কথাই বেশি মনে এসেছে। এত মানুষের কবর আমার হাতে হয়েছে। আমার কবর জানি কার হাতে হয়! এই চিন্তা থেকে অনেক যুবককে এই কাজে আগ্রহী করতে চাচ্ছি, কিন্তু এই কাজে এগিয়ে আসা যুবকের সংখ্যা খুবই কম।'সফিউল্লাহর প্রশংসা করলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামও। এমন সাদা মনের মানুষ আর হয় না! চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, 'আমার অনেক আত্মীয়-স্বজনের কবর খুঁড়েছেন সফিউল্লাহ। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। উনি গরিব মানুষ, কিন্তু কবর করার জন্য কারও কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেন না। জোর করে দিতে গেলেও রাগারাগি করেন। ওনার জন্য সবাই দোয়া করেন।' | কুমিল্লা,মৃত্যু,চট্টগ্রাম বিভাগ,বরুড়া | একহাতে দেড় হাজার কবর খুঁড়েছেন সফিউল্লাহ মিয়া (৫৮)। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/01/11/%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%8f%e0%a6%ac/ | এবি ব্যাংকের নতুন পন্য 'এবি নিশ্চিন্ত' উদ্বোধন | এবি নিশ্চিন্ত নামে এক আকর্ষণীয় পন্য উদ্বোধন করলো এবি ব্যাংক। যা ফিক্সড ডিপোজিটের গ্াহকরা কোন প্রিমিয়াম দেয়া ছাড়াই মেটলাইফ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত জীবন বীমা সুবিধা নিতে পারবেন। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) হোটেল সোনারগাঁয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ হুসাইন, রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ডিএমডি আব্দুর রহমান, অন্যান্য ডিএমডি, সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা উপস্থিত ছিলেন। | null | নতুন পন্য। | economy |
https://samakal.com/probas/article/200834632/চৌধুরীকে-বহিষ্কারের-দাবিতে-টরন্টোয়-মানববন্ধন | নুর চৌধুরীকে বহিষ্কারের দাবিতে টরন্টোয় মানববন্ধন | মুজিব শতবর্ষ এবং শোকাবহ আগস্ট মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নুর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে অন্টারিও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হযেছে। বাঙালি অধ্যুষিত ড্যানফোর্থ এলাকায় স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন আয়োজনে সহযোগিতা করে কানাডা আওয়ামী লীগ ও কানাডা ছাত্রলীগ। ড্যানফোর্থ এলাকায় রেডহট তন্দুরি সংলগ্ন সড়কে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সকলে সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কোভিড পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে ভবিষ্যতেও খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে মানববন্ধনসহ অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্টারিও আওয়ামী লীগের নেতারা। অন্টারিও আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন অন্টারিও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের মিলু, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার, নির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা, প্রচার সম্পাদক আক্রামুল ইসলাম খান, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল এস বি এম হামিদ, কোষাধক্ষ্য মো. মঞ্জুর আল করিম রুবেল, দপ্তর সম্পাদক খালেদ আহম্মেদ শামিম, নির্বাহী সদস্য ফৌজিয়া করিম, মোস্তাফিজুর রহমান, সুকোমল রায়, দেলওয়ার হোসেন, মোঃ জুলহাস উদ্দিন, হাসনাত জামান এবং কানাডা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিরু চাকলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আহমেদ মুক্তা, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নজরুল আহমেদ, ঝুটন তরফদার, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও কনাডা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমানসহ অনেকে। | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,বঙ্গবন্ধুর খুনি | মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/91525/%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD | নৌকা পোড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ | নড়াইলের কালিয়ায় নৌকা প্রতীকে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। গত বুধবার বিকেলে কলাবাড়িয়া বাজারে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য দেন, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কলাবাড়িয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তালুকদার রযিউল হাসান রাজু, কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্যা নজরুল ইসলাম, নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান দিপু, কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তালুকদার কামাল হোসেন প্রমুখ।সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মো. মাহামুদল হাসান কায়েস নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ভীতি ছড়ানোর জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ সমর্থকদের দিয়ে নৌকার প্রতীকে অগ্নিসংযোগ করেছেন মাহামুদল হাসান।অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, মো. মাহামুদুল হাসান কায়েস। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর কোনো সমর্থক ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার রযিউল হাসান রাজু।কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গাজী বশির আহম্মেদ বলেছেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচার উপলক্ষে কালিয়া-চাপাইল সড়কের পাশে কাপড় দিয়ে তৈরি একটি নৌকা টাঙানো ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে নৌকা প্রতীকটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। | খুলনা বিভাগ,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,কালিয়া,যশোর নড়াইল মাগুরা,নড়াইল | কালিয়ায় নৌকা প্রতীকে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গত বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা । | national |
https://www.ajkerpatrika.com/11204/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8 | উত্তরায় রাতের আঁধারে কৌশলে পিকআপে যাত্রী পরিবহন | রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পিকআপ ভ্যান, পণ্যবাহী পরিবহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। রোববার গভীর রাতে উত্তরা থেকে আবদুল্লাহপুরে এমন চিত্র দেখা গেছে অহরহ। তবে আবদুল্লাহপুরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ আবদুল্লাহপুর মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এই চেকপোস্টের দায়িত্বে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই ইয়াদুর রহমান। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও চেকপোস্টের ধারেকাছেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক কনস্টেবল বলেন, 'স্যার পাঁচ দিন টানা নাইট ডিউটি করেছেন। তাই বিশ্রাম নিতে বাসায় গেছেন।' পুলিশের এই গা ছাড়া ভাবের কারণে হরহামেশাই প্রাইভেটকার, সিএনজি, পিকআপ, ও কাভার্ডভ্যানে করে যাত্রী পরিবহন করছেন চালকেরা। যদিও মাঝে মাঝে কয়েকটি গাড়ি তল্লাশি করে যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা গেছে।পিকআপ ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১৬৪৭) পর্দা টানিয়ে যাত্রী ভর্তি করে খিলগাঁও থেকে আবদুল্লাহপুরে এসেছেন চালক শান্ত। তিনি বলেন, 'গাইবান্ধা সদরের কালিবাজারে যাওয়ার জন্য যাত্রী নিয়ে এসেছি। পুলিশ দূর থেকে দেখে যেন বুঝতে না পারে, আমি যাত্রী পরিবহন করছি। তাই পর্দা টানিয়েছি। আর এখন যাত্রী নিলে বেশি ভাড়া পাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৬০০ টাকা করে নিচ্ছি।' কঠোর লকডাউনের মধ্যে কাজ না থাকায় গ্রামে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ যাত্রী। পিকআপে মীরহাজীরবাগ থেকে গাইবান্ধায় যাওয়া যাত্রী শিমেদুল ইসলাম বলেন, 'ঢাকায় আমি রিকশা চালাই। এখন কোনো কাজ নাই, তাই দেশে যাই।' এদিকে প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো গ-১১-৩৫৯৫) ময়মনসিংহে যাওয়া শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি উত্তরার একটি অফিসে চাকরি করি। আমার মামা মারা যাওয়ায় গ্রামে যাচ্ছি।'চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা এসআই ইয়াদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমি খাওয়ার জন্য বাসায় এসেছি। শেষ করেই চেকপোস্টে আসব।'আর মা বোন মারা যাওয়া আবদুল্লাহপুরে কান্নাকাটি করছিলেন তোরাব উদ্দিন। তিনি বলেন, 'আমি ঢাকায় কাজ করি। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আমার মা-বোন মারা গেছেন। অনেক কষ্ট করে এ পর্যন্ত এসেছি। এখন দেশে যাব কী করে?'তাঁর চিৎকার শুনে এক প্রাইভেটকারের চালক এসে গাড়িতে তুলে রওনা দেন নেত্রকোনার উদ্দেশে।এদিকে আবদুল্লাহপুরে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জহির রায়হান বলেন, 'থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তারা যাত্রীবাহী পরিবহন আটক করে আমাদের কাছে দিলেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।' | লকডাউন,পুলিশ,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ | আবদুল্লাহপুরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/25/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a6-%e0%a6%8f%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f/ | করোনা মোকাবেলায় দ. এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ: মিলার | বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, 'কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে এগিয়ে আছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সামগ্রিক বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।' শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের ট্রেনিং কেন্দ্র এবং টিবি রোগ নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, খাদ্য নিরাপত্তা, সমতা ও টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেখ হাসিনার ভাষণে তুলে ধরার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।' তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল । জাতিসংঘে শেখ হাসিনার চমৎকার ভাষণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা.মো.মহিউদ্দিন ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক সাজেদা খাতুনসহ কুমেক হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ড. সফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসেন ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। | করোনা,বাংলাদেশ,মিলার | শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের ট্রেনিং কেন্দ্র এবং টিবি রোগ নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এসব বলেন। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/203139/%E0%A6%B8%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%B2 | সয়াবিন তেলের দাম ফের বাড়ল | আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কিছুটা কমলেও দেশে আরেক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে লিটারপ্রতি দাম ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখার উপসচিব খন্দকার নূরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।প্রস্তাবিত দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল ভোক্তা পর্যায়ে ১৮৫ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। আর এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ২০৫ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১৯৮ টাকা। তবে ৫ লিটারের বোতল ৯৯৭ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৯৮৫ টাকা। তবে পাম তেলের দাম কিছুটা কমিয়ে ১৫৮ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১৭২ টাকা।জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানেক্লিককরুনবাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল মিল গেটে ১৮০ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১৮২ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হবে। আর এক লিটারের বোতল মিলে ১৯৫ টাকা, পরিবেশকে ১৯৯ টাকা এবং খুচরায় ২০৫ টাকা, ৫ লিটারের বোতল মিলে ৯৫২ টাকা, পরিবেশকে ৯৭২ টাকা এবং ভোক্তায় ৯৯৭ টাকা। পাম তেল মিলে ১৫৩ টাকা, পরিবেশকে ১৫৫ টাকা এবং খুচরায় ১৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সাড়ে ৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রিআন্তর্জাতিক নিউজ পোর্টাল ইনডেক্স মুডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল এক হাজার ৯৫৬ মার্কিন ডলার। এপ্রিল মাসে তা কমে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৯৪৭ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে উল্টো দাম বাড়ানো হলো।সয়াবিন তেল সম্পর্কে জানতে - এখানে ক্লিক করুনজানতে চাইলে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ১৫০ ডলারের মতো কমেছে। আর পাম তেল কমেছে ২০০ ডলার। তবে মার্চ-এপ্রিলে বিশ্ববাজারে দাম বেশি থাকায় আমদানি কম হয়েছে। ওই সময়ে চড়া দামে আমদানি হওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৬-১৭৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। | ভোজ্যতেল,দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,দাম,সয়াবিন তেল | সয়াবিন তেলের দাম ফের বাড়ল | national |
https://www.ajkerpatrika.com/74560/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9D%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%97%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0 | সরকারের পাপের বোঝা ভারী: গয়েশ্বর | বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পাপের বোঝা অনেক ভারী। তাদের চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সাধারণত বাজারে জোগান কম এবং চাহিদা বেশি থাকলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। একমাত্র আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেটের স্বার্থেই দাম বাড়ছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে জনগণ চুপ থাকবে না। | ঢাকা জেলা,বিএনপি,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,ছাপা সংস্করণ,ঢাকা সংস্করণ,আজকের রাজধানী | সরকারের পাপের বোঝা ভারী গয়েশ্বর | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/11/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a3-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%97%e0%a6%a0%e0%a6%a8%e0%a7%87/ | মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনে জয়-লেখককে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ | ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ নির্দেশনা দেন তিনি। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ভোরের কাগজকে জানান, করোনার মধ্যে আমরা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারিনি। আজ আমরা দুই জন গণভবনে গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেছেন। করোনাকালে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের তিনি প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি, বিশেষ করে যেসব জেলায় কমিটি নেই, সেগুলোতে দ্রুত কমিটি করার বিষয়ে বলেছেন। আমরা দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোতে কমিটি করব। তিনি আমাদের সাংগঠনিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন কি-না জবাবে লেখক বলেন, এ ধরণের কোনো আলোচনা হয়নি। | null | বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎ। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/106207/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%9F | সাংবাদিকদের সঙ্গে সাংসদের মতবিনিময় | পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট রুস্তম আলী ফরাজি স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। গত রোববার মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে 'মঠবাড়িয়ার উন্নয়ন ও সমস্যা' বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ উদ্দিন পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, এইচ এম আকরামুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান শরীফ, সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ, আবুল কালাম আজাদ, শিবাজী মজুমদার শিবু প্রমুখ।প্রধান অতিথি রুস্তম আলী ফরাজি এ সময় বলেন, 'গ্রাম হবে শহর-এ স্লোগান সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি আমার কর্মকাণ্ড খুব পছন্দ করেন। তাই আমি জাতীয় সংসদে যা চাই তিনি সেগুলো পূরণ করেন। আমি এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক করছি, যা এখনো চলমান রয়েছে। মাদক নির্মূলের জন্য সংসদে কথা বলেছি। কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাঁকে বদলি করেছি। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন সারা দেশ দুর্নীতি মুক্ত হোক। আমিও চাই মঠবাড়িয়া দুর্নীতিমুক্ত হোক।' | পিরোজপুর,বরিশাল বিভাগ,সাংবাদিক,মঠবাড়িয়া,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,পটুয়াখালী বরগুনা পিরোজপুর,সাংসদ | সাংবাদিকদের সঙ্গে সাংসদের মতবিনিময় | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/18/%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a7%9f/ | দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিত কাজ করার আহ্বান | দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, মৎস্য দেশের বড় সম্পদ। এ সম্পদের কথা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপে সে মাছ আজ বাংলাদেশে সহজলভ্য হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। ইতোপূর্বে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠন সম্মিলিতভাবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ হিসেবে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেও তারা পিছপা হননি। এটি আমাদের এগিয়ে যাবার মূলমন্ত্র। এভাবে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছিল উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইনের অপপ্রয়োগের কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তারপরও এই আইনের অপপ্রয়োগ দেখলে সেটি বন্ধ করা হবে। তাই এই আইন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। তবে অকারণে কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে হবে। মৎস্যজীবী সম্প্রদায়সহ জনগণকে মৎস্যসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটে সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। তারা অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করেন নি। করোনায় মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা বিশেষ করে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। মানুষের দোরগোড়ায় এ মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম পৌঁছে দিয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তরিকতা, একাগ্রতা ও উৎসর্গের কারণে করোনাকালেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নতি সম্ভব হয়েছে। এসময় যেখানে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রের অর্থনীতি নুয়ে পড়ছে সেখানে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসাধারণ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, নৌপুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশপরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক এবং বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। | null | রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শ ম রেজাউল করিম। | national |
https://samakal.com/international/article/200316383/লকডাউন | যুক্তরাজ্য লকডাউন | করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাইন চলাকালে একসঙ্গে দু'জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না। বরিস জনসন বলেন, 'করোনাভাইরাস মোকাবেলায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর ঝুঁকির সম্মুখীন যুক্তরাজ্য। এই ভাইরাসের বিস্তার রুখতে না পারলে এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো আমরা। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে এই ভাইরাসের বিস্তৃতি এখনই ঠেকাতে হবে। না হলে এমন একটি সময় আসবে যখন বিশ্বের কোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই এই ভাইরাসের মোকাবেলা করতে পারবে না। কারণ, মৃত্যুর হার তখন এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার, নার্স, এমনকি ভেনটিলেট, ইনটেনসিভ বেড কিছুই পাওয়া যাবে না।' লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একবার ব্যায়াম, জরুরি পণ্যসামগ্রী ও ওষুধ ক্রয় ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। এক সঙ্গে দু'জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না। আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানা করা হবে। কেউ এসব নিদের্শ অমান্য করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারব।' নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান অনতিবিলম্বে বন্ধের নিদের্শ দেন বরিস জনসন। লাইব্রেরি, খেলার স্থান, ব্যায়ামাগার এমনকি উপাসনালয়ও বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। তবে পার্ক খোলা থাকলেও জনসমাগম সীমিত থাকবে বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। শেষকৃত্য ছাড়া সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, 'তিন সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।' সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫০ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৩৫ জন। | করোনার প্রাদুর্ভাব,লকডাউন,যুক্তরাজ্য | সোমবার জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন | international |
https://samakal.com/lifestyle/article/18111396/ধরণের-প্রেমিকা-থেকে-দূরে-থাকাই-শ্রেয় | পাঁচ ধরনের প্রেমিকা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় | প্রেম-ভালোবাসা মানেই অন্য রকম এক অনুভূতি। পৃথিবীতে এমন একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে তার জীবনে প্রেম আসেনি। প্রেমকে সাধারণত একটা আবেগ বলেই মনোবিজ্ঞানীরা অভিহিতে করেছেন। প্রেম এলে পরিবর্তন হয়ে মানুষের আচার আচরণ। প্রেমের কারণে মানুষ ভুলে যায় অতীত বা ভবিষ্যতের কথা। জীবনে প্রেম আসতে পারে এক বা একাধিক বার। তবে হুট করেই যার তার প্রেমে পড়ে যাওয়া উচিত নয়। এতে করে জীবনে নেমে আসতে পারে অন্ধকার। ঘটে যেতে পারে নানা অঘটন। তাই ছেলেদের উদ্দেশ্যে মনোবিজ্ঞানীরাপাঁচ ধরনের প্রেমিকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যে ৫ ধরনের প্রেমিকা থেকে দূরে থাকবেন: ডোন্ট কেয়ার স্বভাবের: প্রেমিকা যদি হয় একেবারে ডোন্ট কেয়ার স্বভাবের তাহলে তো বুঝবেন কপালে কষ্ঠ আছে। কারণ ডোন্ট কেয়ার স্বভাবের মেয়েরা সাধারণত প্রেমিকের কোন কথার পাত্তা দেয় না। প্রেমিকের পছন্দ কিংবা নিষেধ কানেও নেয় না। এমন প্রেমিকা থেকে সাবধান! ভবিষ্যৎ অন্ধকারে যাওয়ার আগেই ভাবুন। কী করবেন? উদাসীন প্রেমিকা: অনেকের প্রেমিকাই একেবারেই উদাসীন। এ ধরনের মেয়ে প্রেমিকা হিসেবে এলো মানসিকভাবে শান্তি পাবেন না কখনই। কারণ কেয়ার সবারই প্রিয়। কিন্তু একেবারেই কেয়ারলেস সহনীয় নয়। তুমি অসুস্থ হয়ে বাসায় আছো। অথচ তার এগুলোতে কিছু যায় আসে না। তাহলে এমন প্রেমিকা ছেড়ে দেয়ার বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অতিরিক্ত যত্নবান: এ ধরনের প্রেমিকা নিয়েও নানা সমস্যা। প্রেমের শুরুতে এ ধরনের মেয়ে ভালো লাগলেও ধীরে ধীরে এগুলো রীতিমতো অত্যাচার মনে হবে। চলাফেরা থেকে শুরু করে খাওয়া, ঘুম এমনকি রাস্তায় হোঁচট খেলে কিনা সেটাও জানতে চান তারা। এমন প্রেমিকার হাতে পড়লে জীবন জাহান্নামের কিনারায় এসে দাঁড়াবে। বাস্তববাদী:প্রেমিকাদের অনেকেই অতিরিক্ত বাস্তববাদী হয়ে থাকে। এই ধরণের প্রেমিকা উঠতে বসতে যুক্তি দাঁড় করায়। এটা এভাবে নয় ওভাবে করো বলে সারাক্ষণ জ্ঞাণ বাক্য শুনায়। মোটকথা তাদের খুশি মত তারা তোমাকে উঠাবে আর বসাবে। সুতরাং সিদ্ধান্ত নিন এখনই। প্রেমিকা যখন আপনার কথায় ওঠ-বস করে: অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। কিছু প্রেমিকা আছে যারা প্রেমিকের কথায় ওঠ-বস করে। এমন প্রেমিকা থেকেও দূরে থাকা শ্রেয়। তখন প্রেমিকাকে প্রেমিকের কাছে মনে হবে পুতুল। জরুরী কোন মূহুর্তে এরা কোন বুদ্ধি দিয়ে তোমাকে সাহায্য করতে পারে না। জীবন চলার পথে সমস্যা কমানোর থেকে এরা আরও বাড়ায়। মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে এ ধরনের প্রেমিকা থেকে প্রেমিকদের দূরে থাকার কথা জানালেও একেবারে নিখুঁত প্রেমিকা পাওয়া সম্ভব নয়। তার আগে আপনাকেও নিখুঁত প্রেমিক হতে হবে। প্রবাদে আছে, নিজ ভালো তো জগৎ ভালো। প্রেমিক যদি প্রেমিকাকে প্রপার ভালোবাসা দেয় তাহলে যেকোন প্রেমিকাই সেরা প্রেমিকা হয়ে উঠতে পারে বলেও জানিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা। | জীবন যাপন,প্রেমিকা,প্রেম,লাইফস্টাইল | প্রেম-ভালোবাসা মানেই অন্য রকম এক অনুভূতি | life-health |
https://samakal.com/entertainment/article/210150555/বিয়ের-আগের-রাতে-দুর্ঘটনার-কবলে-বরুণ-ধাওয়ান | বিয়ের আগের রাতে দুর্ঘটনার কবলে বরুণ ধাওয়ান | ছোটবেলার বান্ধবী নাতাশা দালালের সঙ্গে আজ রোববার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বলিউড অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। তারা বিয়ে করছেন আলিবাগের শাসওয়ানে হ্রদ থেকে হাঁটা দূরত্বের এক রিসোর্টে। মুম্বাই শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই রিসোর্টটি। নাম 'দ্য ম্যানসন হাউস'। তবে বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন এই অভিনেতা। বন্ধুবান্ধবরা বিয়ের আগের রাতে অর্থাৎ শনিবার রাতে একটি ব্যাচেলার পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরুণ। দ্যা ম্যানসন হাউস থেকে কয়েক মিনিটের দুরত্বে ছিল সেই পার্টির আয়োজন। সেখানে গাড়ি নিয়েই যাওয়া আসা করছিলেন বরুণ ধাওয়ান ও তার বন্ধুরা। আর এতটুকু পথ পাড়ি দিতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেতা। জিনিউজ জানিয়েছে, তবে দুর্ঘটনাটি তেম গুরুতর নয়। গাড়ির সামান্য ক্ষতি হলেও সম্পূর্ণ অক্ষত আছেন হবু বর বরুণ ধাওয়ান। তাই সময়মতোই বিয়ের আসরে পৌঁছাবেন বরুণ ধাওয়ান। এদিকে, রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মেহেন্দি উৎসব ও গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। জানা গেছে, করোনার কারণে বিয়েতে বিশাল লোকসমাগম নয়, কাছের কিছু মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বরুণ। | বরুণ-নাতাশার বিয়ে,বরুণ ধাওয়ান | নাতাশা দালাল ও বরুণ ধাওয়ান | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/04/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%87/ | করোনা রোধে আগামীকাল থেকেই মাঠে নামবো: তাপস | করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আগামীকাল থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত 'শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি' মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে করণীয় সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই ঘোষণা দেন। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'সরকার আগামীকাল থেকে সারাদেশে আটকাদেশ (লকডাউন) ঘোষণা করেছে। মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আমাদের ওপর কিছু দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে আমরা আগামীকাল থেকে মাঠে নামবো।' করপোরশেনের অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো চলমান থাকবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'যেহেতু সিটি করপোরেশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজই অত্যাবশ্যকীয়, সুতরাং, আমাদের কাজ চলমান রাখতে হবে।' বৈঠকে ঢাদসিক'র কাউন্সিলরবৃন্দ অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে নিজ নিজ করণীয় সম্পর্কে অবগত হন। এই সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, আমাদের অনেক কাউন্সিলর এরই মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুতরাং, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দূরত্ব বজায় রেখে আপনারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।' করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মাঠ পর্যায়ে সরকারের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'আমি ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করছি, আমরা সবাই মিলে ধৈর্য্য সহকারে কষ্টের এই সময়টা অতিক্রম করব। এতেই সকলের মঙ্গল নিহিত আছে, সকলের জন্য সুফল বয়ে আনবে, ইনশাআল্লাহ।' বৈঠকে সরকার ঘোষিত শর্ত সাপেক্ষে স্বাভাবিক কার্যাবলি বাস্তবায়নে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা রাখা, শপিং মল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আগামীকাল থেকে ঢাদসিক'র আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ সহকারে ঢাদসিক'র ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো মাঠে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বৈঠকে ঢাদসিক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। | করোনা,তাপস,মাঠে নামবো | আগামীকাল থেকেই মাঠে নামার ঘোষণা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/04/17/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8/ | মারিউপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান রাশিয়ার | মারিউপোলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, মারিউপোলে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার অর্থ হলো আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেয়া। এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে মারিউপোলে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে কিয়েভের মেয়র শহরের নাগরিকদের রাশিয়ার আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের ফিরে না আসার অনুরোধ করেছেন। রাশিয়া বলছে পশ্চিমা অস্ত্রবাহী ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান তারা ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ওডেশা শহরের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে বিবিসি এটি যাচাই করতে পারেনি। মারিউপোলে জীবন রক্ষার সুযোগ হিসেবে ইউক্রেনের সৈন্যদের আজ রবিবারের মধ্যে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে এ সময়ের মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ করলেই কেবল তাদের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। এ জন্য তারা কিয়েভের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউক্রেনের সৈন্যদের। তারা বলছে ইউক্রেনের যেসব সৈন্য ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা মারিউপোলে এখনো লড়াই করছে, তারা স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে বেলা একটার মধ্যে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যারা এটা করবে তাদের বন্দী হিসেবে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী আচরণ করা হবে। তবে যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের বিষয়ে কী হবে সে সম্পর্কে দেশটি তাদের বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি। রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনের সৈন্যদের শহরটির একটি ছোট এলাকায় ঘিরে রাখা হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে বিমান হামলা আরও জোরদার করেছে। কিয়েভের মেয়র আরও হামলার আশঙ্কায় শহরে না ফিরতে নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভেও বিস্ফোরণ শোনা যাচ্ছে। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন যে, তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে চারটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। ডি-ইভূ | মারিউপোল,রাশিয়া,সেনা | রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনের সেনাদের মারিউপোলে এক জায়গায় ঘিরে ফেলেছে তারা | international |
https://www.prothomalo.com/business/analysis/খুচরা-ব্যবসা-খাতের-সম্ভাবনা-অনেক | খুচরা ব্যবসা খাতের সম্ভাবনা অনেক | খুচরা ব্যবসায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিক্রয়কর্মীদের জন্য পরিবহন ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতরা সরকারি চাকরি কিংবা ব্যাংকে চাকরির পেছনে ছোটেন। কাঙ্ক্ষিত চাকরি না পাওয়ায় তাঁদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ দেশে খুচরা ব্যবসায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অভিভাবকদের চাপে ছেলেমেয়েরা এ পেশায় আসতে চান না। খুচরা ব্যবসায় নারী বিক্রয়কর্মীর অংশগ্রহণ নগণ্য। এ কারণে বিকশিত হচ্ছে না খুচরা ব্যবসা খাত। দেশের 'খুচরা খাতে যুব কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি' নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এ সংলাপের আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি)। বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের জিডিপিতে খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অবদান ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বাংলাদেশে এ খাতের ওপর সরকারের নজর কম। খুচরা ব্যবসায় কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারের মনোযোগের পাশাপাশি অভিভাবকদের মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি বলে মত দেন তাঁরা। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, খুচরা ব্যবসায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল বাড়ানো। একই সঙ্গে এ পেশায় নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো। ব্র্যাকের এসডিপির ইনচার্জ তাসমিয়া তাবাসসুম রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে একটা মনোভাব তৈরি হয়েছে-তাঁরা হয় সরকারি চাকরি করবেন, না পেলে মা-বাবার কাছে বসে বসে খাবেন। খুচরা ব্যবসা খাতে ৬০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়ানোর সুযোগ আছে। তিনি বলেন, খুচরা খাতে নারীদের প্রশিক্ষণ অবশ্যই প্রয়োজন। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রচারমূলক কার্যক্রম নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষিতদের ১২ শতাংশ বেকার। অথচ এঁরা চাইলে খুচরা ব্যবসায় আসতে পারেন। কিন্তু পরিবারের চাপে আসতে তাঁরা পারেন না। অভিভাবকেরা চান, তাঁদের সন্তান বিসিএস দেবে অথবা ব্যাংকে চাকরি করবেন। তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। আড়ংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা আবেদ বলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে নারী বিক্রয়কর্মীদের সম্পর্ক ভালো। এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে অবশ্যই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আড়ং তাদের নারী কর্মীদের রাতের পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। অন্যদেরও তা করতে হবে। তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায় নারী বিক্রয়কর্মী আনতে হলে নিয়োগকর্তা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা এবং যৌন হয়রানিবিষয়ক নীতি থাকা উচিত। সুপারশপ স্বপ্নের বাণিজ্যবিষয়ক পরিচালক সোহেল তানভীর খান বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানের ১০ শতাংশ নারী কর্মী নেব, এটা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু আমরা পাই না। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা ভালো করছেন।' ব্র্যাকের এসডিপির ইনচার্জ তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান বলেন, বাংলাদেশে খুচরা ব্যবসা খাতে ইতিমধ্যেই ৬০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত তরুণ, বিশেষ করে নারীদের জন্য এই খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, খুচরা শিল্পে এখন পুরুষদের আধিপত্য। এ খাতে মাত্র ৮ শতাংশ নারী কর্মী কাজ করছেন। মেয়েরা শুধু সেলাই মেশিনে পড়ে থাকবেন কেন? বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা উচ্চশিক্ষিতদেরও এ খাতে আসতে হবে। ইউনিমার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুর্তজা জামান বলেন, খুচরা ব্যবসায় মেয়েদের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। রাত ১০টার পর কর্মক্ষেত্র থেকে বের হয়ে পরিবহন পাওয়া যায় না। অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া দিতে চান না। সামাজিক ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। তাই শুধু প্রশিক্ষণ নয়, ইকো সিস্টেম নিয়েও কাজ করতে হবে। মীনাবাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন খান বলেন, 'নারীরা পুরুষ কর্মীর মতো কঠোর পরিশ্রম করতে পারে না-এটা অমূলক ধারণা। দেশের পোশাক খাতের নারী কর্মীরা এটা প্রমাণ করেছেন। আমরা খুচরা খাতে আরও নারী কর্মী চাই।' বেস্ট ইলেকট্রনিকসের নির্বাহী পরিচালক এম এম ফেরদৌস বলেন, 'আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মী চাই। কিন্তু ইলেকট্রনিক পণ্যে মৌলিক কিছু তথ্য জানা দরকার। এ খাতে নারীদের পাওয়া যায় না।' তিনি বলেন, সবাই ঢাকায় কাজ করতে চান। অনেকে হেড অফিসে কাজ করতে চান। বিক্রয়কেন্দ্রে কাজ করার আগ্রহ অনেকের কম। এমন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি নেটওয়ার্কের হেড অব অপারেশনস আজিজা আহমেদ বলেন, 'আমাদের কাজ হচ্ছে চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে চাকরিদাতার সাক্ষাৎ করে দেওয়া। দেখা যায়, চাকরির নিশ্চয়তা পেলেও তাদের যাতায়াতসুবিধা, আবাসনব্যবস্থা থাকে না। প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে বিল্ডিং কোড মানা হয় না। তাই তাদের পক্ষে চাকরিটা করা সম্ভব হয় না।' আমানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুল হক বলেন, একসময় খুচরা ব্যবসায় অনেক অদক্ষ কর্মী আসতেন। এখন ব্র্যাকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার ফলে দক্ষ কর্মী পাওয়া যাচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়, খুচরা খাতের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে ব্র্যাক এসডিপি ২০২০ সাল থেকে প্রোগ্রেসিং দ্য রিটেইল সেক্টর বাই ইমপ্রুভিং ডিসেন্ট এমপ্লয়মেন্ট (প্রাইড) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের সঙ্গে খুচরা খাতের অংশীদারত্বে নিম্ন আয়ের শহরের যুবকদের জন্য টেকসই জীবিকার জন্য একটি মডেল তৈরি করা। এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সহযোগিতায় দেশের প্রথম স্বীকৃত খুচরা বিক্রয় প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে ব্র্যাক এসডিপি। বর্তমানে এই মডিউলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গেজেট অ্যান্ড গিয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচলক নূরে আলম শিমু, ব্র্যাক এসডিপি প্রকল্পের হেড অব অপারেশন্স জয়দীপ সিনহা রায় ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ সাদিক হাসান। | আলোচনা,ব্র্যাক,অর্থনীতি,ব্যবসা,ব্যবসায়ী,উচ্চশিক্ষা | খুচরা ব্যবসা খাতের সম্ভাবনা অনেক | economy |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/08/02/676227 | ৫ লাখের বিনিময়ে ব্যুরো চিফ করার প্রস্তাব হেলেনার | আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক উপকমিটি থেকে বহিষ্কৃত ও গ্রেফতার হেলেনা জাহাঙ্গীরের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে তাকে তার জয়যাত্রা টিভির নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে। পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে মেহেদী নামে এক ব্যক্তিকে তার আইপি টিভি চ্যানেল জয়যাত্রার মালয়েশিয়ার ব্যুরো চিফের পদ দেবেন বলে নিজের ব্যক্তিগত সহকারীকে জানান হেলেনা।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শোনা গেছে, ব্যক্তিগত সহকারীকে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলছেন, মালয়েশিয়ার মেহেদী আছে না? ও বারবার আমাকে ডিস্টার্ব করতেছে। এসএমএসে। বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে কল করাচ্ছে। তুমি তাকে বলবা ঠিক আছে, আপনি পাঁচ লাখ টাকা দেন। ম্যাডামকে আমি রাজি করাই। ইউ মেক পলিসি অ্যাপ্লাই। বুঝছ? পলিসি মেক না করলে মেকার হতে পারবে না। হেলেনার জবাব, 'নানা মানুষকে দিয়ে আমাকে ফোন করাচ্ছে। পুলিশ আছে না একটা?' ব্যক্তিগত সহকারী ফের প্রশ্ন করেন- 'পারভেজের কথা কী বলে?' হেলেনা বলেন, 'ওর কথা বাদ দাও। তুমি বলো মাসে এক লাখ করে টাকা দেন। পাঁচ থেকে ছয় মাস পর আপনাকে ব্যুরো চিফ বানাইয়া দেব মালয়েশিয়ার। আমাদের তো এখন টাকা দরকার, অন্য কোনো কথা নাই। বলবা কী- আমাকে দিয়েন না। অফিসকে দেন।' গত ৩০ জুলাই রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার রাতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি এবং পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়। পরে গুলশান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হেলেনাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে আছেন তিনি। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | হেলেনা জাহাঙ্গীর | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/579587/আপাতত-স্থগিত-নন্দীগ্রামের-ফল-গণনা-হতে-পারে-আবার | আপাতত স্থগিত নন্দীগ্রামের ফল, গণনা হতে পারে আবার | ভোটগণনা ঘিরে বিভ্রান্তি। আপাতত ফলাফল ঘোষণা স্থগিত নন্দীগ্রামে। নতুন করে গণনা হতে পারে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার। জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব। তিনি বলেন, 'আপাতত জয়ী শুভেন্দু অধিকারী। পুনরায় গণনার ব্যাপারে এখনো কোনো আবেদন আসেনি। তা হবে কি না ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার। এটা আংশিক না সম্পূর্ণ গণনা হবে সেটাও তিনি ঠিক করবেন।' রোববার রাজ্যের ২৯২টি আসনে পর পর ফল প্রকাশিত হলেও, নন্দীগ্রাম ঘিরে দুপুর থেকেই বিভ্রান্তি। ১৭ রাউন্ড ভোট গণনার পর সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে মমতার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বলা হয়, সার্ভারে সমস্যার জেরে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। তার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর আসে। এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দবাজার ডিজিটালকে ফোনে তিনি বলেন, '১৬২২ ভোটে জিতেছি আমি।' যদিও পোস্টাল ব্যালট ছাড়া মমতার সাথে শুভেন্দুর জয়ের ব্যবধান ৯৭৮৭ বলে জানা যায়। তার পর সংবাদ সম্মেলনে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতাও। তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।' সংবাদ সম্মেলনে রায় কার্যত মেনে নিলেও মমতা বলেন, 'আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। আদালতে যাব।' এর কিছু পরে টুইট করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে গণনা এখনো চলছে। কোনো রকম জল্পনায় কান না দেয়ার জন্য অনুরোধও করা হয়। তার পরেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোট পুনর্গণনা হতে পারে বলে জানান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা | null | মমতা ব্যানার্জির সাথে শুভেন্দু অধিকারী | international |
https://www.dailynayadiganta.com/asia/384492/চীনকে-ঘায়েল-করতে-জাপানে-২১৫-কোটি-ডলারের-ক্ষেপণাস্ত্র-বিক্রি | চীনকে ঘায়েল করতে জাপানে ২১৫ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি | মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জাপানের কাছে সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন নিয়েছে। এর আওতায় জাপানের কাছে মার্কিন লকহিড মার্টিন এজিস উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করা হবে। চীনকে ঠেকাতে জাপানের চলমান সামরিক শক্তি বৃদ্ধির তৎপরতার অংশ হিসেবে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা হচ্ছে। মার্কিন এজিস নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থারই ভূমিভিত্তিক সংস্করণ হলো এটি। এর আগেই জাপানের কোনো কোনো ডেস্ট্রয়ারে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। ভূমিভিত্তিক এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বসানো হবে। এ ব্যবস্থা থেকে টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রও ছোঁড়া সম্ভব। ফলে এ ব্যবস্থা আত্মরক্ষার বদলে আক্রমণাত্মক কাজেও লাগানো যেতে পারে। এ কারণেই এমন ব্যবস্থা জাপানে বসানো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় এ ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। সে সময়ে রাশিয়া তার কঠোর সমালোচনা করেছে। রাশিয়া বলেছে, এর মাধ্যমে রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউরোপে হঠাৎ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পাল্লার মধ্যে এসে গেছে। ভূমিভিত্তিক এ ব্যবস্থা জাপানে বসানো হবে বলে ২০১৭ সালে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। একইভাবে চীনও তখন জাপ-মার্কিন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।সূত্র : পার্সটুডে হুয়াও'র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' : চীনচীন মঙ্গলবার বলেছে, হুয়াও'র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলা 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।' তারা এ মামলার নিন্দা জানায়। এদিকে ওয়াশিংটন এ বৃহৎ কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছে এবং কোম্পানিটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছে। খবর এএফপি'র। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সুনির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করছে।''যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও কৌশল রয়েছে।' | null | চীনকে ঘায়েল করতে জাপানে ২১৫ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি | international |
https://www.ajkerpatrika.com/100924/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0 | যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র একটি গণবিধ্বংসী অস্ত্র: চীন | যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে একটি গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সঙ্গে তুলনা করল চীন। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলন শেষ হতে না হতেই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়।আজ শনিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন গণতন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হয়ে উঠেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করতে ব্যবহার করে।চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র মতাদর্শগত কুসংস্কারের লাইন আঁকতে, গণতন্ত্রকে কৌশলীকরণ করার লক্ষ্যেই গণতন্ত্র সম্মেলনের আয়োজন করে।দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ নেয়নি চীন ও রাশিয়া। এ দুটি দেশের অভিযোগ, স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার আদর্শগত বিভাজন উসকে দিচ্ছে বাইডেন।যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই চীনের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের কথা অস্বীকার করে। তবে মানবাধিকার, বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে দেশটির। | যুক্তরাষ্ট্র,চীন,এশিয়া,অস্ত্র,গণতন্ত্র | মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/21/%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%8c/ | ধর্মান্তরিত স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে পিটিয়েছেন স্বামী | যৌতুকের দাবিতে ধর্মান্তরিত স্ত্রী রাখি রানী ওরফে আয়েশা খাতুনকে (২১) নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (২১ জুন) রাত ৯টার দিকে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুরকুচি গ্রামের শ্যামল সাহার মেয়ে রাখি রানী। পারিবারিকভাবে প্রায় ৫ বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তার স্বামীর নাম রানা প্রামানিক। এ দম্পতির এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার হাতিশাইল গ্রামে। তার বাবার নাম দিলিপ প্রামানিক। এখানে সংসার করার সময় একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছর আগে স্বামী রানার সংসার ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়ে হাফিজুরকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বিভিন্নভাবে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতিতা গৃহবধূ রাখি রানী ওরফে আয়েশা খাতুন জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী হাফিজুর রহমান আমার নিকট যৌতুক দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিল। এসব বিষয় নিয়ে স্বামী আমাকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। তিনি আরও বলেন, একই বিষয় নিয়ে শনিবার রাতে স্বামী হাফিজুর আমাকে বেদম মারপিট করে। জীবন বাঁচাতে আমি এক প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় নেই। সংবাদ পেয়ে বাবাসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাখি রানীর বাবা শ্যামল সাহা বলেন, মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেয়া হবে। কামারগাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। | দাবি,ধর্মান্তরিত,পিটিয়েছেন,যৌতুক,স্ত্রী,স্বামী | রাখি রানী ওরফে আয়েশা খাতুন। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/30132/%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE | উঠে গেল ছাড়, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম | ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা বাড়াল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আজ রোববার বৈঠক করে। সেখানেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, সুপার পাম তেল ১১৬ টাকা, ১ লিটারের বোতল ১৫৩ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে গত জুন মাসে পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাম লিটারপ্রতি ৪ টাকা কমিয়েছিল। তখন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১২৫ টাকা, ১ লিটারের বোতল ১৪৯ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৭১২ টাকা এবং সুপার পাম ১০৮ টাকা।ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকারবাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব নূরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে থাকে। ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশের বেশি আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও প্রভাব পড়ে। গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। আর স্থানীয় বাজারে বেড়েছে ৩৫-৪০ শতাংশ। যদিও কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে গত ৫ আগস্ট প্রতি লিটার তেলের দাম ১১ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। করোনার মহামারির কথা বিবেচনায় রেখে তাদের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।গতকাল রোববার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৫-১৩০ টাকা, সুপার পাম ১২০-১২৫ টাকা, ১ লিটারের বোতল ১৪০-১৫০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কোরবানি ঈদের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে লিটারপ্রতি ৪ টাকা ছাড় দিয়েছিল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় সেই ৪ টাকা প্রত্যাহার করা হয়েছে। | বাণিজ্য,ভোজ্যতেল | ছাড় তুলে নেওয়ায় আবার বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। | economy |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/14/%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%98%e0%a6%b0/ | ত্রাণ নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ | মহামারি করোনার কারণে সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের খেটে খাওয়া মানুষ গুলোও বেকার হয়ে পড়ে। বিভিন্ন পেশার দিন মজুর শ্রমিকেরা ঘরের বাইরে বের হতে না পেরে পরিবার নিয়ে পড়ে চরম সংকটে। এই সংকটময় মুহূর্তে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদেরই ভোটে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান মো.মোশারেফ হোসেন। তিনি কাশিনগর ইউনিয়নের ঘরে ঘরে গিয়ে কখনো সাবান, হুইল পাউডার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক আবার কখনো অভাবী মানুষ গুলোর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। চাল, ডাল, আটা, তৈলসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই তিনি দিচ্ছেন অর্ধহারে অনাহারে থাকা লোক গুলোকে। কখনো রাতের আধারে যাচেছন ঘরে ঘরে আবার কখনো দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন,আমি দুই ভাবে ত্রাণ দিচ্ছি। একটি হচ্ছে সরকারি ত্রাণ আরেকটি হচ্ছে বেসরকারী ত্রাণ। আমার এবং আমাদের অভিভাবক, সাবেক সফল রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মুজিব ভাইয়ের নির্দেশে করোনার কারণে যখন থেকে মানুষের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে গেছে তখন থেকেই আমি আমার কার্যক্রম শুরু করেছি। ইউনিয়নের যে সকল মধ্যবিত্ত পরিবার হাত পাততে পারে না তাদেরকে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি,তারা যেন দয়া করে আমার ইনবক্সে নাম ঠিকানাটা জানিয়ে দেন। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার গোপনে আমাকে জানিয়েছে। আামিও গোপনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করলেও ত্রাণ নিয়ে কোনো রাজনীতি করি না। আমার নেতা মুজিবুল হক বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সকল অভাবী মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। আমি সরকারি ত্রাণ সামগ্রী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিলি করছি। আর আমার ব্যক্তিগত ত্রাণ সামগ্রী ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি। আল্লাহর রহমতে আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমার ইউনিয়নের কোন লোক আমাকে জানিয়েছে আর ত্রাণ পায়নি এমন একটা ঘটনাও নেই। আপনারা আমার নেতা এমপি মজিবুল হক ও আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন জনগণের এই চরম সংকটের সময়ে শেষ দিন পর্যন্ত তাদের পাশে থাকতে পারি। | ইউপি,করোনা,চেয়ারম্যান,ত্রাণ,মোশারেফ | আছাদুজ্জামান | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/04/17/%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a7%ad-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%96-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/ | আসছে পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেট | করোনার প্রকোপ কাটিয়ে পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৫ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ হাজার কোটি টাকা। রবিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির' সভা। ওই সভায় প্রাক্কলিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য ওই সভায় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন। সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ছাড়াও বাজেট প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতিই ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপি'র সাড়ে ৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭.২ শতাংশ। প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩ শতাংশ। মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে মোট আয় বাড়ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মোট আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৮.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে। এছাড়া আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে নন-এনবিআর থেকে প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্ব ৪৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রাক্কলিত বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঘাটতি বাড়ছে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার এডিপির প্রস্তাব করেছেন। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা। | অর্থনীতি,করোনা,বাজেট | প্রস্তাবিত বাজেট। | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/86810/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0 | প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা | নাটোরের লালপুরে প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার রাতে চংধুপইল ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের দাবিতে গতকাল রাতে ওই ছাত্রী ট্রাকের সরকারি চালক মহিষাখোলা গ্রামের প্রেমিক মো. নাহিদের (২০) বাড়িতে অবস্থান নেয়। প্রেমিক তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবা তাকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে সে ঘরে থাকা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক বাড়ির লোকজন তা টের পেয়ে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, মেয়ের বিয়েতে সম্মতি না থাকায় তাকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসি।অভিযুক্তের মা সাথী খাতুন বলেন, মেয়ের বয়স না হওয়ায় বিয়েতে মত দেওয়া হয়নি।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখন সে শঙ্কামুক্ত।লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | নাটোর,অপরাধ,রাজশাহী বিভাগ,আত্মহত্যা,লালপুর,রাজশাহী | প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/11/14/%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af/ | যুবলীগের আইন সম্পাদক হলেন ব্যারিস্টার সুমন | যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন দেশের আলোচিত আইনজীবী ও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আইন সম্পাদক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন। সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো। এর আগে বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের কাছে হস্তান্তর করেন। এসএইচ | আইন সম্পাদক,ব্যারিস্টার সুমন,যুবলীগ,রাজনীতি | ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন | national |
https://www.ajkerpatrika.com/152327/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE | পাঁচ বছর পর মাকে ফিরে পেলেন ফারজানা | ফেসবুকে দেওয়া হারানো বিজ্ঞপ্তি থেকে পাঁচ বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে ফিরে পেয়েছেন মেয়ে ফারজানা আক্তার মিম। ওই নারীর নাম রিনা আক্তার খতে (৪৬)। তিনি খুলনার ফুলতলার নাড়ীপাড়া গ্রামের মোহসীন আখনের স্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁর নিয়ামতপুরে কয়েকজন যুবকের সহায়তায় তাঁর মাকে ফেরত পান মিম।ফারজানা আক্তার মিম বলেন, '২০১৫ সাল থেকে আমার মায়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। আমি তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তখন মা বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত আবার ফিরে আসত। ২০১৭ সালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি মা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। এদিকে মাকে খুঁজে না পাওয়ায় পরিবারের সম্মতিতে বাবাকে আবার বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গত রোববার মোবাইল ফোনে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় 'আপনার মায়ের কি নাম রিনা?' এ কথা শোনামাত্র আমি তাঁকে ছবি পাঠাতে বললে তিনি ছবি পাঠান। ছবি দেখে আমি চিনতে পারি তিনি আমার মা।'জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকার সেতুর ওপর ভবঘুরে হিসেবে থাকতেন। তাঁর এ অবস্থা দেখে স্থানীয় যুবক আব্দুর রাজ্জাক নয়ন, তারেক ও হারুন অর রশিদ ওই নারীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। প্রাথমিকভাবে ওই নারী তার নাম রিনা বলে জানান। এরপর স্থানীয় যুবক তারেক ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি খুঁজে তাঁর পরিবারের মোবাইল ফোন নম্বর পেলে যোগাযোগের মাধ্যমে মেয়ে ফারজানা ও বোনের মেয়ে শাহানাজ নিয়ামতপুরে আসেন রিনা আক্তারকে নিতে।ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম বলেন, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিষয়টি জানানো হয়। এ ছাড়া যাঁরা এই নারীকে নিতে এসেছেন তাঁদের আসা ও যাওয়ার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। | নওগাঁ,ফেসবুক,রাজশাহী বিভাগ,নিয়ামতপুর,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬ | হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পাওয়ায় বসে মাকে দেখছেন ফারজানা (বামে), চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছেন বোনের মেয়ে শাহনাজ। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/rangpur/443511/বাংলাদেশের-মানুষ-আস্থাহীনতায়-এগিয়ে-ইসি-রফিকুল- | বাংলাদেশের মানুষ আস্থাহীনতায় এগিয়ে : ইসি রফিকুল | নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন সারা পৃথিবীর মানুষ আস্থাহীনতায় ভুগছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এগিয়ে। এখানে মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। সন্তানকে বিশ্বাস করে না বাবা। বাবার প্রতিও আস্থা রাখতে পারছে না সন্তান। এই আস্থাহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রংপুর সরকারি কলেজে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান, রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি.এম সাহাতাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা দেন, ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো এজেন্টকে বের করে দেয়া হলে, কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, ভোটারদের প্রভাবিত করলে কিংবা বাধার দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোতে বড় একটি রাজনৈতিক দলের অংশ নেয়নি। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন না হওয়াতে প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে যায়নি। একারণে ভোটারদের কাছে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম। ভোট দেয়ায় কেন আগ্রহ কমছে, তা নিয়ে গবেষণার করা প্রয়োজন। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বগুড়ার উপ-নির্বাচনেও তো ইভিএম ছিলো। বিএনপি সেখানে জয়ী হয়েছে। তখন তো ইভিএম নিয়ে কোনো কথা উঠেনি। আশা করছি, রংপুর নিয়েও কারো কোনো কথা বলার সুযোগ থাকবে না। | null | নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বললেন বাংলাদেশের মানুষ আস্থাহীনতায় এগিয়ে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/119214/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%C2%A0 | সিনহা হত্যা মামলা: তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শুরু | সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়, যা আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত চলবে।আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ আসামির বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার দাশ এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। গতকাল সোমবার এ মামলার যুক্তিতর্কের দ্বিতীয় দিন ১৩ জন আসামিপক্ষে তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। গত রোববার এ মামলার যুক্তিতর্কের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানসহ ছয় আইনজীবী আদালতে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শুরুআজ যুক্তিতর্ক শুরু করার আগে সকাল ৯টার দিকে জেলা কারাগার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করানো হয়।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, গত বছরের ২৩ আগস্ট থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ দফায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য শেষে কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।সিনহা হত্যা মামলা: ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামির সাফাই সাক্ষী গ্রহণপ্রসঙ্গগত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের পর র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি 'পরিকল্পিত ঘটনা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন।আরও পড়ুন:মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১০ম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণসিনহা হত্যা মামলায় বিচার শুরুমেজর সিনহা হত্যা মামলা: পঞ্চম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু | চট্টগ্রাম বিভাগ,সেনাবাহিনী,সিনহা হত্যা মামলা,ওসি প্রদীপ,চট্টগ্রাম ,কক্সবাজার সদর | কড়া পাহারায় ওসি প্রদীপকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/110836/%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE | ধান সংগ্রহে বিপাকে গুদাম | চলতি মৌসুমে দিনাজপুর খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মিলমালিকদের লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম।গত ৭ নভেম্বর জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমন সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় চাল ৪০ টাকা ও ধান ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ধান ও চাল উভয়েরই বাজারদর সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় ধান-চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।কৃষকেরা বলেন, 'সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ধান কৃষকের উঠান থেকে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে লোকসান দিয়ে সরকারি গুদামে ধান দিতে কেন যাব। তা ছাড়া সেখানে ধান দিতে গেলে নিজ খরচে পৌঁছে দিতে হবে, ধানের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে হবে, সেই সঙ্গে আরও অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়।'জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। আর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন; যা লক্ষ্যমাত্রার ১৩ শতাংশ মাত্র।অপর দিকে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ হাজার মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশ। ফলে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহে তা না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, 'সরকারিভাবে ধানের দাম ২৭ টাকা কেজি। অপর দিকে ধান ব্যবসায়ী ও মিলাররা আমার বাড়ির উঠোন থেকে ২৮ টাকা বা ২৯ টাকা কেজি দরে নগদ টাকায় ধান নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে কোনো ঝামেলাই পড়তে হচ্ছে না। তাহলে আমি কেন কম দামে ধান দিতে যাব। এর বাইরেও সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে গেলে নিজ খরচে পৌঁছে দিতে হবে, ধানের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে হবে, নানা ঝামেলা আছে। দাম বেশি হলে তা-ও কষ্ট করা যায়। কিন্তু কষ্ট করে কম দামে ধান দিতে কেন যাব।'জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম বলেন, 'এ পর্যন্ত আমরা চাল ৭২ শতাংশ ও ধান ১৩ শতাংশ সংগ্রহ করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছি।'অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, 'চাল সংগ্রহে আমরা মিলমালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। কিন্তু ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। সরকার ঘোষিত দর আর বাইরের বাজারদর কাছাকাছি হওয়ার পরও মিলমালিকেরা সহযোগিতা করেছেন। ফলে চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। তবে ধান সংগ্রহ নিয়ে সংশয়ে আছি, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।' | দিনাজপুর,রংপুর বিভাগ,ধান,খাদ্যমন্ত্রী,রংপুর,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,দিনাজপুর নীলফামারী গাইবান্ধা | ধান সংগ্রহে বিপাকে গুদাম | national |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2021/07/11/669155 | করোনায় আক্রান্ত আলজেরিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী
| করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার নতুন দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী আয়মান বেনাবদেরাহমানে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বুধবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন আয়মান বেনাবদেরাহমানে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনি আপাতত কোয়ারেন্টাইনেই থাকছেন। সে কারণে তাকে আগামী কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা যাবে না। এদিকে শনিবার আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদুলমাজিদ তাবুউন করোনার বিধি-নিষেধ জারি করার বিষয়ে নতুন সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আবারও দেশজুড়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখায় ও মাস্ক পরার বিধিনিষেধ জারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় টিকা কর্মসূচি জোরদার করতে বলেছেন প্রেসিডেন্ট। সূত্র : রয়টার্স বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | আয়মান বেনাবদেরাহমানে। | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/175846/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%AD%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87 | আল্টিমেটাম প্রত্যাখ্যান করে আজভস্টাল ধরে রেখেছে ইউক্রেনের সৈন্যরা | মারিউপোলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেছে। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে আত্মসমর্পণের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং তাঁরা এখনো মারিউপোলের কিছু অঞ্চল ধরে রেখেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।রাশিয়ার সেনাবাহিনী মারিউপোল থেকে গত শনিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে একটি আল্টিমেটাম দেয়। আল্টিমেটামে বলা হয়, রোববার মস্কোর সময় অনুসারে সকাল ৬টার মধ্যে অস্ত্র ত্যাগ করে দুপুর ১টার আগে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে মারিউপোল থেকে সরে যেতে হবে। তবে রোববার রাশিয়ার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও-ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম স্টিল কারখানা আজভস্টালের ভেতর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল রোববার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের 'দিস উইক' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বলেছেন-'মারিউপোলে থেকে যাওয়া ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অবশিষ্ট সদস্যরা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং আত্মসমর্পণ করতে রাশিয়ার বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে অস্বীকার করেছে। এখনো শহরটির পতন হয়নি। আমাদের সৈন্যরা এখনো শহরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।'ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রবিবার মারিউপোল বন্দরে অস্ত্র দেওয়ার জন্য একটি রাশিয়ান আল্টিমেটামকে প্রতিহত করেছিল, যা মস্কো বলেছিল যে তার বাহিনী প্রায় দুই মাসের যুদ্ধের সবচেয়ে বড় পুরস্কার প্রায় পুরোপুরি দখল করেছে।এর আগে, গত শনিবার রাশিয়া জানিয়েছে, তাঁরা মারিউপোলের বেশির ভাগ অংশই নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে ইউক্রেনের কিছু সৈন্য এখনো আজভ সাগর তীরবর্তী আজভস্টাল কারখানায় রয়ে গেছে। তবে, রাশিয়ার সমরসজ্জা এবং ইউক্রেনের অবশিষ্ট সৈন্যদের প্রতিরোধের মাত্রা থেকে বিশ্লেষকদের ধারণা, মস্কো শিগগিরই ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এই বন্দর নগরীতে একটি বড় ধরনের কৌশলগত বিজয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। | ইউরোপ,রাশিয়া,যুদ্ধ,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট | এখনো বিধ্বস্ত আজভস্টাল কারখানার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইউক্রেনের সৈন্যরা। | international |
https://www.ajkerpatrika.com/53969/%E0%A6%98%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97 | ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ | নেছারাবাদ উপজেলার সারেংকাঠি ইউনিয়নে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আব্দুল লতিফ নামে এক বৃদ্ধর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখর নামে একজনের বিরুদ্ধে। শেখর ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক বলে জানা গেছে। তিনি সারেংকাঠি ইউনিয়নের গোবিন্দকাঠি গ্রামের স্বপনের ছেলে। ঘর না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে বৃদ্ধ লতিফকে উল্টো হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখর ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বৃদ্ধ লতিফ সারেংকাঠি ইউনিয়নের মুনিনাগ গ্রামের একজন দরিদ্র লোক। তাঁর থাকার জন্য মাথা গোঁজার ভালো কোনো ঘর নেই। শেখর একজন মোটরসাইকেল চালক। চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তাঁর গাড়িতে সব সময় আসা-যাওয়া করেন। তাই লতিফ মোটরসাইকেল চালক শেখরের কাছে একটি ঘরের জন্য কথা বলেন। শেখর তাঁকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার ৭০০ টাকা নেন। ঘর দেওয়ার কথা বলে এভাবে টাকা নেওয়ার পর বৃদ্ধ লতিফ তাঁর কাছে ঘরের কথা বললে শেখর রাগারাগি করেন, হুমকি-ধমকি দেন।অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শেখর বলেন, 'আমি তাঁর কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। ওই বৃদ্ধ সব মিথ্যা বলছেন।'ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, 'শেখর একজন মোটরসাইকেল চালক। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে তাঁর মোটরসাইকেলে উঠি। শেখর ঘরের জন্য লতিফের কাছে কোনো টাকা নেননি। এ নিয়ে এলাকায় সালিস হয়েছে। সেখানে টাকা নেওয়ার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি বৃদ্ধ লতিফ। শেখর আমার নির্বাচন করেছেন। তাই প্রতিপক্ষরা ওই বৃদ্ধকে দিয়ে শেখরের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছেন।'নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, 'এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার দপ্তরে পড়েছে কি না তা না দেখে সঠিক বলতে পারব না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' | পিরোজপুর,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,নেছারাবাদ,বরিশাল ৬ | ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/03/01/%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a7%81-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0/ | নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রয়োজন সবার সহযোগিতা: রাষ্ট্রপতি | নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে 'জাতীয় ভোটার দিবস ২০১৯'পালন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আবদুল হামিদ বলেন, 'নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবারই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। একই ভূমিকা পালন করতে হবে ভোটারদেরও। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় ভোটার দিবস পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' দিবসটিকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তৃণমূল পর্যায়ে যথাযথভাবে পালন করা হলে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক সাড়া পাড়বে বলেও মনে করেন এ রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, 'দেশের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ লক্ষ্যে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তাহলে দেশে দোষারোপের রাজনীতির পরিবর্তে শান্তি, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও সহিঞ্চুতার রাজনীতি গড়ে উঠবে। গণতন্ত্র উন্নয়ন এগিয়ে যাবে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।' প্রথমবারের মতো পালিত জাতীয় ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে, 'ভোটার হব, ভোট দেব।' এ প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, 'তরুণদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।' বিভিন্ন কারণে যেসব নাগরিক এখনও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় ভোটার দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, 'প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, সিভিল সোসাইটির সদস্যরা, মসজিদের ইমামসহ সমাজের গণ্যমান্য সব ব্যক্তিকে এগিয়ে আসার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।' 'জনগণের শিক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার তালিকার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও দুর্গম হাওর, চরাঞ্চল ও পাহাড়ী অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাচ্ছি,' যোগ করেন আবদুল হামিদ। প্রবাসী ভোটারদের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি লোক প্রবাসে বসবাস করেন। তারা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কিন্তু এদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। প্রবাসীরা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারেন, তার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এটা সম্ভব হলে প্রবাসীদের নাগরিকত্বসহ তাদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি সহজ হবে। তাছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবিও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। প্রবাসে অবস্থা করে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশের প্রবাসী নাগরিকরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করছে। প্রবাসী বাঙালিরাও যাতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়, এ বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।' নির্বাচন ব্যবস্থায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটার তালিকাভুক্তকরণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বলেও জানান আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, 'বায়োমেট্রিক ভিসা সমৃদ্ধ এনআইডি ডাটাবেজে সব ভোটারের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণ করা হয়েছে। আমি জেনে খুশি হয়েছি।' এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন। | null | শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে 'জাতীয় ভোটার দিবস ২০১৯' পালন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/10/05/698326 | প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় কলেজছাত্রকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ | সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সজল আহম্মেদ (১৮) নামের এক কলেজছাত্রকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে উপজেলার বনপাড়া পৌর ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সজল বনপাড়া সেন্ট যোসেফস স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং লালপুর উপজেলার চসুডাঙ্গা গ্রামের মাসুদ প্রমাণিকের ছেলে। পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াস বলেন, সজল আহমেদ তার ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুটূক্তি করেন। বিষয়টি পৌর ছাত্রলীগের নজরে আসলে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ রাশিদুল ইসলাম বলেন, পৌর ছাত্রলীগ কর্তৃক সজল নামের একজনকে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনও মোবাইলে সজলকে আটক পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল | প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি, কলেজছাত্র, পুলিশে, ছাত্রলীগ | সজল আহম্মেদ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/05/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a6%95-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a7%81/ | মামুনুল হক ইস্যুতে ফেসবুক লাইভে আসা পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার | হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা পুলিশের এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (৪ এপ্রিল) তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন জানান, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছেন- এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের প্রশংসা করে গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নেই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। | ইস্যু,ফেসবুক,মামুনুল হক,লাইভ | এএসআই গোলাম রাব্বানী | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/06/16/660345 | নালিতাবাড়ীতে মাদক ও কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি | শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগ মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। বুধবার সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল বরাবর ছাত্রলীগের নেতারা লিখিত আবেদন করেন। আবেদন পত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। তারই নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা ছাত্রলীগ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নালিতাবাড়ী পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকাসক্তদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছেপাড়ায় ও মহল্লায়।যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। এজন্য সমাজকে রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবিদ আল হোসাইন সৈকত, নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আনারুল, জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এস এ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের উপ-মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বাদশা, জেলা ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সা'আদ আল জুনাইদ, নালিতাবাড়ী পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিয়াদ প্রমুখ বিডি প্রতিদিন/এমআই | নালিতাবাড়ীতে, মাদক, ও কিশোর, গ্যাংদের, বিরুদ্ধে, ব্যবস্থা, নেওয়ার, দাবি | নালিতাবাড়ীতে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি। | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2016/06/24/153215 | মুক্তাগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক দম্পতিসহ নিহত ৩ | ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মালবাহী লরির সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শিক্ষক দম্পতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো তিনজন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মুক্তাগাছা- জামালপুর সড়কের কুড়িপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ (৪০) ও তার স্ত্রী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুক্তা বেগম (৩৫) এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার খাইরুল ইসলাম বাচ্চু (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সার সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিক্ষক দম্পতি মামুনুর রশিদ (৪০) ও মুক্তা বেগম (৩৫) এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার খাইরুল ইসলাম বাচ্চু (৪৫) মারা যান। এছাড়া সিএনজি চালকসহ ৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এবং নিহত সবাই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ও চালক। আহত তিনজনের অবস্থাই গুরুতর বলে জানা গেছে। বিডি-প্রতিদিন/২৪ জুন ২০১৬/শরীফ | null | দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অটোরিকশা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/01/06/%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81/ | পিলখানা ট্রাজেডি: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামির খালাস চেয়ে আপিল | পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দায়ের করা হয়। ওই মামলায় উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আসামিপক্ষ আপিল করল। এ ছাড়া হাইকোর্টের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ৪৮টি আপিলের কথা জানিয়ে পেপারবুকসহ অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। আপিল করা এই ৯ আসামি হলেন- সিপাহি কামাল মোল্লা, আবদুল মোহিত, বজলুর রশীদ, মো. মনিরুজ্জামান, হাবিলদার ইউসুফ আলী, এ টি এম আনিসুজ্জামান, সুবেদার মো. শহিদুর রহমান, নায়েক সুবেদার ফজলুল করিম ও নায়েক আবু সাঈদ আলম। আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, বিচারিক আদালতে ওই নয়জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, যা হাইকোর্টেও বহাল থাকে। এই মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে নয়জন একটি আপিল করেছেন। আপিলে পেপারবুকে পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৫ হাজার ৬২৩। ভলিউম সংখ্যা ১৪০। ১৪টি সেট করে আপিল সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়েছ। গতকাল প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, পেপারবুকে পৃষ্ঠা সংখ্যা অনেক। যাঁরা আপিল করতে আগ্রহী, তাঁরা এই পেপারবুকের ব্যবহার করে যাতে তা করতে পারেন এবং তাঁদের যাতে আর কোনো পেপারবুক দিতে না হয়, সে জন্য অব্যাহতিও চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে। ওই আবেদন সম্পর্কে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪৮টি আপিলের কথা জানিয়ে আবেদনটি করা হয়েছে। যেখান মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত মিলিয়ে আসামির সংখ্যা প্রায় ১০০। অনুমতি পাওয়ার পর তাঁদের ক্ষেত্রে আপিল করা হবে। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২২৮ জনকে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢাকার পিলখানায় (বিজিবি সদর দপ্তর) নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। | null | পিলখানা ট্র্যাজেডি। | national |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2018/12/06/381634 | মাশরাফি নন, টস করলেন রুবেল | বিকেএসপিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করছে বিসিবি একাদশ। যদিও নামে দলটা বিসিবি একাদশ হলেও খেলছেন জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা। এর মধ্যে রয়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। মাশরাফি জাতীয় দলের অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবে তাই সবার ধারণা ছিল টস করতে যাবেন তিনিই। কিন্তু সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে টস করলেন পেসার রুবেল হোসেন। টসে হেরেছে বিসিবি একাদশ। আর জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মূলত নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি ম্যাচে মাশরাফির অংশ নেওয়া। যেহেতু তিনি জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি খেলেন না। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দুই আসর জাতীয় লিগও বিসিএলেও অংশ নেন না। ফলে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলার পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। তাই নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েই অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। বিডি-প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব | null | মাশরাফি বিন মর্তুজা | sports |
https://www.prothomalo.com/religion/islam/নবীজি-সাএর-সুন্নাত-দোজাহানের-মুক্তির-পথ | নবীজি (সা.)-এর সুন্নাত দোজাহানের মুক্তির পথ | রবিউল আউয়াল হিজরি চান্দ্রবর্ষের তৃতীয় মাস। এটি প্রিয় নবীজি (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস। 'রবি' অর্থ বসন্তকাল, 'আউয়াল' মানে প্রথম। সুতরাং রবিউল আউয়াল হলো প্রথম বসন্ত তথা বসন্তকালের প্রথম মাস। এই মাসেই নবীজি (সা.)-এর দুনিয়ায় শুভাগমন হয়েছিল। এই মাসেই তাঁর নবুয়তের প্রকাশ ঘটেছিল। এই মাসে তিনি জন্মভূমি মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন। এই মাসেই তিনি ওফাত গ্রহণ করেন। তাই মুসলমানের জন্য এই মাস অতীব তাৎপর্যমণ্ডিত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মের দিনটি ছিল সোমবার এবং তিনি মাতৃগর্ভে আগমন করেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বা শবে জুমুআয়। প্রিয় নবীজি (সা.) ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ভোরের শেষে, প্রভাতকালে উষালগ্নে। তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন দিবা শেষে গোধূলিলগ্নে। সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন নবীজি (সা.) বেশি রোজা পালন করতেন। নবীজি (সা.) বলেন, 'সোমবার ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, আমি চাই আমার আমল আমার রোজা অবস্থায় পেশ করা হোক।' (তিরমিজি: ৭৪৭, সহিহ্ আলবানী)। নবীজি (সা.) বিশেষত প্রতি সোমবার রোজা পালন করতেন। সাহাবাগণ এর কারণ জানতে চাইলে নবীজি (সা.) বলেন, 'এই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি ওহি নাজিল হয়েছে।' (মুসলিম: ১১৬২, নাসায়ী ও আবুদাঊদ)। মদিনায় এখনো সোমবার রোজা পালনের নিয়ম ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে এবং মক্কা শরিফে বৃহস্পতিবার রোজা পালনের রীতি রয়েছে। মদিনা শরিফে প্রতি সোমবার মসজিদে নববীসহ বিভিন্ন মসজিদে স্থানীয় জনগণ ইফতারের বিশাল আয়োজন করে থাকে, মক্কা শরিফে মসজিদুল হারামে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। 'সুন্নাত' হলো নবী কারিম (সা.) যে অবস্থায় যে কাজ যতটুকু গুরুত্বসহকারে করেছেন বা ছেড়েছেন, সে অবস্থায় সে কাজ ততটুকু গুরুত্বসহকারে করা বা ছাড়া। অনুরাগে নবীজির প্রতিটি কাজ অনুকরণ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) যা যা করেছেন, সবই সুন্নাত। তাঁর জীবনের প্রধান অবলম্বন ছিল সত্য, পবিত্রতা ও প্রেম। সত্যবাদিতার জন্য তিনি আশৈশব 'আল আমিন' অর্থাৎ সত্যবাদী, বিশ্বাসী ও বিশ্বস্ত উপাধি পেয়েছিলেন। আজীবন কোনো শত্রুও তাঁকে কখনো মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেনি। ইসলাম পবিত্র ধর্ম। চিন্তায়, মননে, বিশ্বাস ও কর্মে সব ক্ষেত্রেই এর পরিধি বিস্তৃত। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক সব পর্যায়ে এটি পরিব্যাপ্ত। প্রেম সৃষ্টির অনুপ্রেরণা। প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহ তাআলা কুল মাখলুকাত সৃজন করেছেন। প্রেমেই আনুগত্য, আনুগত্যই ইবাদত। প্রেম আল্লাহর প্রতি, রাসুল (সা.)-এর প্রতি ও সমগ্র সৃষ্টির প্রতি। নবীজি (সা.)-এর ভালোবাসা মুমিনের ইমান; সুন্নাতের অনুসরণই ভালোবাসার প্রমাণ। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, '(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো; ফলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।' (সুরা-৩, আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'যে আমার সুন্নাতকে ভালোবাসে, সে অবশ্যই আমাকে ভালোবাসে; আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।' (তিরমিজি: ২৭২৬)। 'যে আমার সুন্নাতকে জিন্দা করবে সে আমাকে ভালোবাসে, যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।' (মুসলিম)। তিনি আরও বলেন, 'তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মুমিন হবে না, যতক্ষণ না আমি (নবীজি সা.) তার নিকট তার সন্তান অপেক্ষা, তার পিতা অপেক্ষা এবং সকল মানুষ অপেক্ষা বেশি প্রিয় না হই।' (বুখারি: ১৩-১৪)। 'যে যাকে ভালোবাসবে, তার সঙ্গে তার হাশর নশর হবে।' (বুখারি: ৬১৬৯ ৩৬৮৮, মুসলিম: ২৬৩৯)। হাদিসে আরও রয়েছে, 'সর্বোত্তম আমল হলো আল্লাহর জন্য ভালোবাসা।' (জামে সহিহ্: ২৫৩৯)। রাসুলে আকরাম (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মহব্বত করে ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে এবং আল্লাহর জন্য দান করে ও আল্লাহর জন্য বিরত থাকে; অবশ্যই তার ইমান পূর্ণ হলো।' (আবুদাঊদ: ৪০৬৪)। জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজি (সা.)-এর সুন্নাত আদর্শ অনুকরণ ও অনুসরণ করাই ইসলাম। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'রাসুল (সা.) তোমাদের যা দিয়েছেন তোমরা তা ধারণ করো আর তিনি যা বারণ করেছেন তা হতে বিরত থাকো।' (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ৭)। সুন্নাতের কথা যখন আসে ফরজ ও ওয়াজিব তার আগেই থাকে। ফরজ ও ওয়াজিব পরিত্যাগ করে সুন্নাত পালনের দাবি অসার। সৎ উপার্জন, হালাল খাবার ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। নবীজি (সা.)-এর জীবন, দর্শন ও কর্ম যে যতটুকু অনুসরণ করবে, সে ততটুকু সফলতা ও কল্যাণ লাভ করবে। মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব [] | শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী,ইসলাম ধর্ম,ধর্ম | নবীজি (সা.)-এর সুন্নাত দোজাহানের মুক্তির পথ | religion |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/05/22/771309 | ইউক্রেনের ইইউতে যোগদানে ১৫-২০ বছর লাগতে পারে: ফরাসি মন্ত্রী | ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউতে) যোগদানে ইউক্রেনের আবেদন ১৫-২০ বছরেওচূড়ান্ত হবে না। ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী রোববার এমনদাবি করেছেন। ফরাসি মন্ত্রী বলেন, কথা বলায় আমাদেরকে সৎ থাকতে হবে। আপনি যদি বলেন, আগামী ৬ মাস কিংবা ১ বছরে ইউক্রেন ইইউর সদস্য হতে যাচ্ছে; তাহলে সেটা মিথ্যা হবে। এ সময় তিনি বলেন, চূড়ান্তভাবে ইইউর সদস্যপদ পেতে ইউক্রেনের ১৫-২০ বছর (সম্ভাব্য) পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো গত ৯ মে প্রস্তাব করেন, ইউক্রেনের ইইউ এর পূর্ণ সদস্যপদ পেতে কয়েক দশক লাগতে পারে এবং এর বদলে তাদের উচিৎ একটি ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ে যোগদানের চেষ্টা করা, যা কিনা অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের পূর্ববর্তী ধাপের মত। সূত্র: গার্ডিয়ান বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল | রাশিয়া, ইউক্রেন, যুদ্ধ | ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী বুয়ন | international |
https://www.ajkerpatrika.com/174028/%E0%A7%AF%E0%A7%AF%E0%A7%AF-%E0%A6%8F-%E0%A6%95%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87 | ৯৯৯-এ কল, আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালানো দুই নারীকে উদ্ধার | জাতীয় জরুরি সেবা সেল ৯৯৯-এ কল পেয়ে দুই জেলায় আত্মহত্যার চেষ্টাকারী দুই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা সেলের পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার দুই নারীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুই নারীর একজনকে বুধবার সকালে ও অপরজনকে দুপুরে উদ্ধার করা হয়।আনোয়ার সাত্তার জানান, দুপুরের দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক নারী ৯৯৯-এ কল করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাঁর স্বামী থাকেন সৌদি আরব। তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই তাঁকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এখন তাঁকে রুমের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিজের বন্দী দশার কথা উল্লেখ করে ওই নারী আরও জানান, তিনি মানসিক ভাবে খুব বিপর্যস্ত। তাঁকে উদ্ধার করা না হলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে গলায় দড়ি দেবেন।এ সময় ৯৯৯ কল টেকার এএসআই ফেরদৌসকে বেশ বেগ পেতে হয় কান্নায় ভেঙে পড়া ওই নারীকে শান্ত করে তাঁর ঠিকানা জেনে নিতে।এরপর এএসআই ফেরদৌস চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে ৯৯৯-ডিসপাচার এএসআই সিরাজুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধার করা নারী (২৬) ও তার শ্বশুরকে (৬৫) থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।এ বিষয়ে নারীর অভিযোগ দায়ের সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই রুবেল মিয়া।অপরদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরের গাইতাল এলাকার এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা সেল ৯৯৯-এ কল করে জানান, তাঁর একটি প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া নারী পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন।৯৯৯-এর কল টেকার কনস্টেবল শওকত আলী কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। পরে কিশোরগঞ্জ সদর থানার এসআই দেলোয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে পঞ্চাশটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী নারীকে (২৩) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই নারী জীবিত আছেন। | পুলিশ,অপরাধ,আত্মহত্যা,জরুরি সেবা,৯৯৯ | ৯৯৯-এ কল করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো দুই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/635628/নাসিক-নির্বাচন-মাঠে-নামার-ঘোষণা-দিলেন-শামীম-ওসমান | নাসিক নির্বাচন : মাঠে নামার ঘোষণা দিলেন শামীম ওসমান | অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামার ঘোষণা দিলেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, 'কোনো দল-মতের কারণে আমি রাজনীতিতে আসিনি। রাজনীতি করতে এসেছি জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। রাজনীতি করতে এসেছি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে। আমি নৌকার বিরুদ্ধে না, নৌকা প্রতীক আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা প্রতীক। আজ থেকে নৌকার হয়ে মাঠে নামলাম।' তিনি আরো বলেন, 'নির্বাচন এলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নির্বাচনের সময় আমি কেন সাবজেক্ট ম্যাটার হবো, জানতে চাই। এখন আমার অবস্থা গরিবের ভাবির মতো। ও বলে আমি তার, সে বলে আমি তার।' শামীম ওসমান বলেন, 'সামনে যেদিন আসছে, কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ছাত্রলীগের মনে কষ্ট দিয়েন না। দুঃসময়ে তারাই এগিয়ে এসেছিল। নির্বাচন ধমক দিয়ে হয় না। একে অপরকে দোষারোপ করে নির্বাচন হয় না। সব রাগ-অভিমান ছেড়ে দিয়ে কাজ করতে হবে। সবার ঘরে ঘরে যেতে হবে। এই ঘাঁটি নৌকার, এ মাটি আওয়ামী লীগের। জয় আমাদের হবেই।' তিনি আরো বলেন, 'আজ থেকে নৌকার হয়ে মাঠে নামলাম। আমরা যখন জাগবো অন্যরা তখন ঘুমাবে। আমাদের রক্ত মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। বঙ্গবন্ধু আমাদের শেষ ঠিকানা। আমি কারো সামনে মাথানত করি না। আমি নিজেই ঝড়, এই ঝড় কারো সামনে মাথা নোয়ায় না।' উল্লেখ্য, নাসিক নির্বাচনে শামীম ওসমান প্রতিপক্ষের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ নির্বাচনে আইভীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। | নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন,নির্বাচন,শামিম ওসমান,আইভী,তৈমূর | সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন শামীম ওসমান। | national |
https://samakal.com/offbit/article/220191098/রহস্যময়-ফুটন্ত-নদী-যেখানে-জীবন্ত-প্রাণী-পুড়ে-মারা-যায় | রহস্যময় 'ফুটন্ত নদী': যেখানে জীবন্ত প্রাণী পুড়ে মারা যায় | বাস্তবতা কখনও কখনও হার মানায় রূপকথার গল্পকে। বাস্তব জীবনের রহস্যময় গল্পই বেশ রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। এমনই এক রহস্যের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আমাজনের গহীন অরণ্যে এক রহস্যময় নদীর খোঁজ পেয়েছেন তারা। যে নদীর পানি টগবগ করে ফুটছে। যেখানে পানির গড় তাপমাত্রা ৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেই নদীর পানিতে জীবন্ত কোন প্রাণী এলে পুড়ে মারা যায়। রহস্যময় এ নদীর নাম শান্যাই-টিম্পিশকা। আমাজনের গহীন অরণ্যে এই রহস্যময় নদীর খোঁজ পান আন্দ্রেজ রুজো। রূপকথার গল্পের বয়ে চলা সেই ফুটন্ত পানির নদী যে বাস্তবেই আছে, তা গোটা দুনিয়াকে জানিয়েছেন আন্দ্রেজ। ২০১৪ সালে টেডএক্স-এর এক বক্তৃতায় এ নদী নিয়ে তার অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ প্রায় সমস্ত তথ্য-উপাত্ত এবং ফলাফল সকলের সামনে তুলে ধরেন আন্দ্রেজ রুজো। পেরুর ভূ-বিজ্ঞানী আন্দ্রেজ রুজো বলেন, 'আমাজনে কোনো আগ্নেয়গিরি নেই। পেরুর বেশিরভাগ অংশেও নেই। যে স্থানটিতে এই 'ফুটন্ত নদী' রয়েছে তা নিকটতম আগ্নেয়গিরির কেন্দ্র থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে। সত্যি বলতে, আমি রূপকথার গল্পে থাকা আমাজনের সেই 'উষ্ণ-প্রস্রবণ' দেখতে পেয়েছি তা সত্যিই বিস্ময়কর। আমি দূর থেকে নদীটির মৃদু তরঙ্গ শুনতে পেয়েছিলাম। যা কাছে আসার সাথে সাথে ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের ক্রমাগত আছড়ে পড়ার শব্দের মতো শোনাচ্ছিল। এরপর যত কাছে গিয়েছি গাছের মধ্য দিয়ে তত ধোঁয়া ও বাষ্প উঠে আসতে দেখেছি।' 'অতঃপর আমি এটা (ফুটন্ত নদী) দেখতে পেলাম। আমি সাথে সাথে পানিতে থার্মোমিটার ধরলাম, এবং গড় তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। নদীটি গরম ছিল এবং দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছিল।' বলেন আন্দ্রেজ তিনি বলেন, 'আমি এই নদীকে অনুসরণ করে কিছুদূর চলতে থাকলাম। সেখানে একটা অদ্ভুত বিষয় দেখতে পেলাম। নদীর পবিত্র স্থান শামানের আখড়া থেকে ঠাণ্ডা স্রোতের প্রবাহ দেখা যায়।' আন্দ্রেজ বলেন, 'আমি কোনভাবেই প্রথম বহিরাগত ছিলাম না, যে নদীটি দেখেছে। এটা শামানদের দৈনন্দিন জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা এ নদীর পানি পান করে। এর বাষ্প গ্রহণ করে। রান্নার কাজে ব্যবহার করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সারে। এমনকি নদীর পানি দিয়ে ওষুধও তৈরি করে।' তিনি বলেন, আমরা নদীর ধারের তাপমাত্রা ম্যাপ করেছি। সেখানে এর ফলাফল ছিল অবাক করার মতো। শুরুতে নদী ঠাণ্ডা হতে শুরু করেছে। তারপরে, উত্তপ্ত হয়ে আবার ঠাণ্ডা হচ্ছে, আবার উত্তপ্ত হয়ে আবার ঠাণ্ডা হচ্ছে, আবার উত্তপ্ত হচ্ছে, এবং যতক্ষণ না ঠাণ্ডা পানির নদীতে গিয়ে মিশেছে। 'আমি নদীতে বিভিন্ন প্রাণীকে মরে পড়ে থাকতে দেখেছি। এটা আমাকে অবাক করেছে। কারণ, সকল ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি প্রায় একই রকম। প্রাণীগুলো যখন নদীর পানিতে পড়ে, প্রথমেই প্রচণ্ড উত্তপ্ত পানিতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখ খুব তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায়। দেখতে দুধ-সাদা রঙের হয়ে যায়। এরা সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করতেই থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে এদের পেশী ও হার সেদ্ধ হতে শুরু করে। কারণ, পানি খুব উত্তপ্ত। যতক্ষণ না উত্তপ্ত পানি প্রাণীর মুখে গিয়ে এটা ভেতর থেকে সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে, এগুলো শক্তি হারাতেই থাকে। একপর্যায়ে পুড়ে মারা যায় প্রাণীগুলো।' বলেন আন্দ্রেজ তিনি বলেন, এ নিয়ে নিবিড় গবেষণার প্রয়োজন। তবে হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমের কারণে এমন হতে পারে। তবে আমরা ফুটন্ত নদীতে বসবাসকারী নতুন লাইফফর্ম ও অনন্য প্রজাতি খুঁজে পেয়েছি। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ | ফুটন্ত নদী,রহস্যময় নদী,জীবন্ত প্রাণী,পুড়ে মারা,আন্দ্রেজ রুজো | : দ্য টেলিগ্রাফ | miscellaneous |
https://www.prothomalo.com/politics/আলীগের-জাতীয়-সম্মেলন-হতে-পারে-ডিসেম্বরে-কাদের | আ.লীগের জাতীয় সম্মেলন হতে পারে ডিসেম্বরে: কাদের | চলতি বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই দলকে আরও সুসংগঠিত ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজ শনিবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর মধ্যে সদস্য সংগ্রহ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ জন্য সারা দেশে দলের কোন্দল-কলহ দূর করতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ এখন বুঝে গেছে, বিএনপির আন্দোলনের ডাক দুরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজ, যা মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘের শিশুতোষ গল্পের কাহিনি ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে, তা জানতে চাওয়ায় আওয়ামী লীগ নাকি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে-বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের নয়। এই প্রশ্ন জনগণের। জনগণই জানতে চেয়েছে, বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে? বিএনপি যাঁকে আন্দোলনের নেতা বলছে, সে তো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছেন। জনগণ সেই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনতে কেন গণ-অভ্যুত্থান করবে? বিএনপি কী চায়, নিজেরাও জানে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থতা থেকেও বিএনপি শিক্ষা নিতে পারেনি। তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে। এখন আবার জাতীয় সরকারের ভূত মাথায় ঢুকেছে। আসলে বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাও জানে না। এদিক-ওদিক না ঘুরে এখনই বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সময় ও স্রোত যেমন কারও জন্য অপেক্ষা করে না, নির্বাচনও বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রমুখ। | বিএনপি,জাতীয় নির্বাচন,নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | national |
https://www.prothomalo.com/politics/অনেক-উন্নত-দেশেও-গণমাধ্যমের-এত-স্বাধীনতা-নেই-তথ্যমন্ত্রী | অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যমের এত স্বাধীনতা নেই: তথ্যমন্ত্রী | যেভাবে গত ১৩ বছরে দেশের গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে, উন্নয়নশীল দেশ তো বটেই, অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যমের এত স্বাধীনতা নেই বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ রোববার পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল প্রেসক্লাবে গিয়ে বিএনপি ঘরানার সাংবাদিকদের সামনে অনেক কথা বলেছেন। বাংলাদেশে সংবাদপত্রসহ সব গণমাধ্যম যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে, সেটি পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক মন্তব্যের উদ্ধৃত করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যতই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজায়, জনগণ ততই আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়। তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের কয়েক মাস পর থেকেই বিএনপি বলে আসছে, এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ বলেছেন, সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। তাঁরা যতই এসব বলে আসছেন, জনগণ আমাদের পক্ষ নিয়েছে।' এ সময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'বিএনপি নেতারা নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসে বসে প্রতিদিনই আমাদের বিদায়ঘণ্টা বাজান, কিন্তু তাঁদের সেই ঘণ্টা বাজানোতে জনগণ সাড়া দেবে না। জনগণের রায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে।' আগামী নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ। এ সময় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা, সফুরা বেগম, সাংসদ মজাহারুল হক, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত উপস্থিত ছিলেন। | তথ্যমন্ত্রী,বিএনপি,পঞ্চগড়,রংপুর বিভাগ,আওয়ামী লীগ | তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | politics |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/03/30/755017 | নাগরপুরে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ | টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে টেংরিপাড়া গ্রামে নয়নদী শাখা খালের উপর বেইলি ব্রিজটি ভেঙে গেছে। বুধবার সকালে পিয়াজ ভর্তি একটি ট্রাক পারাপারের সময় ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যায়। এতে ব্রিজের শুরুতে আরিচা থেকে আসা টাঙ্গাইলগামী ট্রাকটি আটকে যায়। আটকে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা গেলেও বিছিন্ন রয়েছে যানবাহন চলাচল। বুধবার সকালে এ ঘটনার পর থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই সড়কে যানবাহন চলাচল। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে দুই পারের যাতায়াত। এ নিয়ে গত আট মাসে চার বার এই বেইলি ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, চলতি মার্চ মাসেই দুই বার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু কাজের মান ভালো না হওয়ায় আবারও বেইলি ব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজের উপর দিয়ে ৮ টনের বেশি মালামাল বোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে না পারলে বারবারই এ রকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজ। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওহিদুজ্জামান মিলন জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে মেরামতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। সাময়িকভাবে মানুষ চলাচলের উপযোগী করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, ব্রিজের উপর দিয়ে অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে প্রতিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। মেকানিকদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করা হবে। বিডি প্রতিদিন/এমআই | নাগরপুর, বেইলি, ব্রিজ, ভেঙে, যানবাহন, বন্ধ | নাগরপুরে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ। | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/01/31/736323 | সিনহা হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত : আদালত
| সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনা ছিল পরিকল্পিত। এ ঘটনায় করা মামলায় অপরাধের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেছেন আদালত। আজ বিকালে পৌনে ৩ টায় রায় পড়া শুরু করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এর আগে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে এজলাসে এসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর মামলা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন বিচারক। এরপর শুরু করেন অপরাধের পর্যবেক্ষণ বয়ান। গত ১২ জানুয়ারি রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে শামলাপুর এপিবিএন পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনাটি সারাদেশেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে হত্যা মামলা করেন। আসামি করা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেয় কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কে। এ ছাড়া পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫। সে বছরের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসেন। ১ ৫ আসামির মধ্যে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বরখাস্ত কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব ছাড়া বাকি ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ মামলায় চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি 'পরিকল্পিত ঘটনা' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/113952/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF | করোনা ও বৈরী আবহাওয়ায় বিশ্বে ৪ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল | সারা বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। গতকাল শনিবার এই ফ্লাইটগুলো বাতিল হয়। এয়ার ট্রাফিক সাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বিবিসি।প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত কর্মীদের কোয়ারেন্টিন নিয়ে এয়ারলাইনসগুলোকে জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ভারী তুষারপাতের কারণে এই ফ্লাইটগুলো বাতিল হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের মধ্যে শিকাগোর ও'হারে ও মিডওয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট রয়েছে ১ হাজারের বেশি।শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয়। এর ফলে ভ্রমণকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার ওমিক্রন ধরন এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে। তবে তাঁরা আগেভাগেই যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, যাঁতে তারা পুনরায় সুবিধামতো ফ্লাইটের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারেন।গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১২ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তবে এয়ারলাইনসগুলো তাদের কর্মীর সংকট কাটাতে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিচ্ছে। কিন্তু এর পরও কর্মীরা করোনায় আক্রান্তের আশঙ্কায় রয়েছেন। | যুক্তরাষ্ট্র,করোনা,করোনাভাইরাস,করোনা বিশ্ব,বিবিসি,ফ্লাইট | শিকাগোর ও'হারে বিমানবন্দর থেকে এক যাত্রী বের হচ্ছেন। | international |
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/649305/পোল্যান্ড-গেলেন-কমলা-হ্যারিস-মিগ-২৯-চেয়ে-ইউক্রেনের-আবেদন-নিয়ে-হতে-পারে-সিদ্ধান্ত | পোল্যান্ড গেলেন কমলা হ্যারিস, মিগ-২৯ চেয়ে ইউক্রেনের আবেদন নিয়ে হতে পারে সিদ্ধান্ত | পোল্যান্ডকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য আমেরিকার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সম্মতি ছিল পোল্যান্ড সরকারেরও। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওই আবেদনে এখনও চূড়ান্ত সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটন। এরই মধ্যে বুধবার পোল্যান্ড সফরে রওনা হয়েছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ড কমলা হ্যারিস। তিন দিনের এই সফরে রোমানিয়াতেও যাবেন তিনি। তার এই সফরে জট কাটার বার্তা মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র পোল্যান্ডের কাছে রুশ বাহিনীর হামলা ঠেকাতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। প্রাথমিকভাবে তাতে সম্মতি দিয়েছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। শনিবার একটি জুম কলে জেলেনস্কির সাথে কথা বলেন আমেরিকা ও পোল্যান্ডের প্রতিনিধিরা। পরে প্রেসিডেন্ট জানান, পোল্যান্ড রাজি হয়েছে মিগ বিমান পাঠাতে। তারা আমেরিকার মতামতের জন্য অপেক্ষা করছে। এর পরেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সদর্থক মত এসেছিল। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, ''এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে পোল্যান্ডের সাথে। এর ফলে পোল্যান্ডের যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করে দেওয়া হবে।'' তবে কী ভাবে ক্ষতি পূরণ করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তা হলে কেন এলো না চূড়ান্ত সম্মতি। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, ন্যাটো জোটের কয়েকটি ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রের আপত্তিতেই এ ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বাইডেন সরকার।সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা | null | পোল্যান্ড গেলেন কমলা হ্যারিস, মিগ | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/12/14/%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%a8/ | চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি | চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ কথা জানান। ইসি সচিব বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চসিকের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। মেয়র প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের নতুন করে মনোনয়ন নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুধু সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (নতুন প্রার্থীদের) মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। গত ৫ আগ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসাবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এই সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। | null | ব্রিফকালে ইসি সচিব। | national |
https://samakal.com/opinion/article/220298694/রোহিঙ্গা-শিবিরে-মাদক-ও-সন্ত্রাস-বন্ধ-করতেই-হবে | রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক ও সন্ত্রাস বন্ধ করতেই হবে | লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু এখন অতিথিদের জন্য অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায়ই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। দুর্বল শাসন ও নিরাপত্তা পরিকাঠামোর সুযোগ নিচ্ছে এলাকায় সক্রিয় সমাজবিরোধী চক্রগুলো। মাদক ব্যবসায়ীরা এই এলাকাকে মাদক চোরাচালানের করিডোর করে রেখেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ শরণার্থী রয়েছে। এ দেশের কুতুপালং বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবির, যেখানে এখন প্রায় ৮৮০,০০০ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। এদের অর্ধেকই নাবালক। বেশিরভাগ ক্যাম্প দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজারে অবস্থিত, যা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী। এ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ক্যাম্প ও সীমান্ত এলাকা মাদক পাচারের করিডোরে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তবর্তী শিবিরগুলো অত্যন্ত দুরূহ-দুর্গম এবং দুর্বলভাবে সুরক্ষিত। ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, পাচার ও খুনের ঘটনা বাড়ছে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ২০১৬ সালে, এই আরসা মিয়ানমারের তিনটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান, সঠিক খাদ্য ও স্যানিটেশনের অভাবের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। প্রায় ১০-১৫টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ী ও গ্যাং থেকে নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হচ্ছে। ২০২১ সালে সুপরিচিত রোহিঙ্গা নেতা মহিব উল্লাহর হত্যা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ক্ষোভের ও উৎকণ্ঠার জন্ম দেয়। আরএসএ নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর ভাই মোহাম্মদ শাহ আলী অস্ত্র, মাদকসহ বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মহিব উল্লাহ, আরিফ উল্লাহ, আবদুর রহিম, নূরে আলম, হামিদ উল্লাহর মতো নেতাদের হত্যার পর বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা আতঙ্কে রয়েছে। আরসার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যা এবং মূল কারণ বিমুখ করার অভিযোগ রয়েছে।< উদ্বেগের বিষয়, আরসা শুধু অস্ত্রের ওপর নির্ভর করছে না, বিভিন্ন উপায়ে সংগঠনটি শক্তি অর্জন করছে। তাদের অনুসারীরা আরসার উদ্দেশ্য প্রচার করছে, তাদের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করছে এবং সহানুভূতি অর্জন করছে। শুধু গত বছরই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হাজারেরও বেশি অভিযোগ হয় বাংলাদেশ পুলিশের কাছে। কক্সবাজারের জনবসতি কমাতে উদ্বাস্তুদের স্থানান্তরিত করা হচ্ছে দ্বীপ অঞ্চল ভাসানচরে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের একটি সম্প্রদায় এই স্থানান্তরের ঘোরতর বিরোধী। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভাসানচরে স্থানান্তর হলে দুস্কৃতিদের মাদক ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। উপরন্তু, কক্সবাজারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। বাংলাদেশের আশপাশের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ও মাদক ব্যবসায়ীরা রোহিঙ্গাদের এই পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। মিয়ানমারে গণহত্যা নিয়ে চীন বরাবরই নীরব। এটা স্পষ্ট, তারা মিয়ানমারকে বাঁচাতে ভেটো দেবে। এমনকি ওআইসি রাষ্ট্রগুলোও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহ দেখায়নি। এদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মাদক চোরাচালানের মতো কাজে ব্যবহার করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই দুটি বিষয় শরণার্থীদের আবাসস্থলের নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দিয়েছে। নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বারবার আবেদন করেছেন। গত বছর ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক নবম মস্কো সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান। নিউইয়র্কে মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, যদি প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত থাকে বা বিলম্বিত হয়, তাহলে তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে এবং আশপাশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্ক শীতল ও বৈরিতার। মাদকের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না নিলে বাংলাদেশকে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। স্থানীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলো অগোচরে তাদের ব্যাপ্তি বাড়াবে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যেহেতু অনিশ্চিত, তাই বাংলাদেশ প্রশাসনকে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মাদক পাচার নির্মূল করতে বিশেষ নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। | রোহিঙ্গা শরণার্থী,রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন,মাদক-সন্ত্রাস | রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, কক্সবাজার | opinion |
https://www.prothomalo.com/world/১০০-দেশে-ডিভাইস-ছড়িয়ে-এফবিআইয়ের-ফাঁদ-গ্রেপ্তার-৮০০ | ১০০ দেশে ডিভাইস ছড়িয়ে এফবিআইয়ের ফাঁদ, গ্রেপ্তার ৮০০ | বিশ্বজুড়ে ৮০০ জনের বেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়েছেন তারা। এ অপারেশনে এফবিআইয়ের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপোলসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশ যুক্ত ছিল। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশাল ছদ্মবেশী কৌশল বা স্টিং অপারেশন চালাতে অপরাধীদের ব্যবহৃত ডিভাইসে বিশেষ নজরদারির কৌশল নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। স্টিং অপারেশনে পুলিশের কর্মকর্তারা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়াদের বার্তা পড়তে পারতেন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফবিআই চালিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করায় অপরাধী চক্রের অজান্তেই রিয়েল টাইমে নজরদারির সুযোগ পেয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। এফবিআইয়ের সঙ্গে এ অপারেশনে যুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দারা। তাঁরা তিন বছর ধরে অপারেশনটি চালু রেখেছিলেন। গোপনে 'এএনওএম' নামের একটি ডিভাইস অপরাধীদের মধ্যে বিতরণ করেছে। ডিভাইসে থাকা অ্যাপের মাধ্যমে গোপনে মাদক বিক্রি, অস্ত্র চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ডের তথ্য তাঁদের কাছে পৌঁছেছে। এএফপি জানায়, এফবিআই এ অপারেশনের নাম দিয়েছিল 'অপারেশন ট্রোজান শিল্ড'। এফবিআই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ সংস্থা ইউরোপোল ও অন্যান্য দেশের পুলিশ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অপারেশন থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ফলে অন্তত ১০০টি হত্যাকাণ্ড রোধ করা গেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বড় আকারের মাদক চোরাচালান ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। নেদারল্যান্ডসে ইউরোপোলের প্রধান কার্যালয়ে এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক কেলভিন শ্রিভার্স বলেন, 'ফলাফল বিস্ময়কর।' শ্রিভার্স আরও বলেন, এফবিআই ১০০টির বেশি দেশে গত দেড় বছর ধরে অপরাধী চক্রের হাতে ডিভাইস পৌঁছে দিয়েছে, যাতে তাদের যোগাযোগ কার্যক্রমে নজরদারি করা যায়। ইউরোপোল জানায়, ১৬টি দেশের পুলিশ ফোন থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে। বিশ্বে ১২ হাজার ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। ইউরোপোলের অপারেশন বিভাগের উপপরিচালক জন-ফিলিপ লেকুফি বলেন, অপারেশনে প্রাপ্ত তথ্য থেকে শত শত অপারেশন চালানো হয়। নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্র-সবখানেই এ অভিযান চালিয়ে দারুণ ফল পাওয়া গেছে। এ অভিযানে ৮০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, ৭০০-এর বেশি জায়গায় অনুসন্ধান এবং ৮ টনের বেশি কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ বলেছে, এফবিআইয়ের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাফিয়া, এশিয়ার অপরাধী চক্র, মাদক মাফিয়া ও মোটরসাইকেল গ্যাংয়ের মধ্যে এনক্রিপটেড ডিভাইস পৌঁছানো হয়। শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই এই অপারেশনের অংশ হিসেবে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট স্কট মরিসন বলেছেন, 'এ অভিযান সংগঠিত অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে শুধু দেশেই প্রচণ্ড আঘাত হানবে না, বরং বিশ্বজুড়ে এর প্রতিফলন ঘটবে।' দীর্ঘমেয়াদি এই অভিযানের অংশ হিসেবে দুই বছর ধরে অপরাধী চক্রের ব্যবহার করা দুটি এনক্রিপটেড ফোন নেটওয়ার্ক এনক্রোচ্যাট ও স্কাইগ্লোবালে বিঘ্ন ঘটানো হয়। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ জানায়, এ দুটি এনক্রিপটেড যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার ফলে এনক্রিপটেড যোগাযোগের বাজারে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়। এ শূন্যতা দূর করতে এফবিআই নিজস্ব এনক্রিপটেড ডিভাইস কোম্পানি এএনওএম চালু করে। এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক শ্রিভার্স বলেন, 'এএনওএম চালু করার পরই অপরাধী চক্রের ওপর নজরদারি করার সুযোগ তৈরি হয়। আমরা ফল শিপমেন্টের আড়ালে বা মুখবন্ধ ক্যান পাঠানোর আড়ালে শত শত টন কোকেন পাঠানোর ছবি দেখতে পাই।' এফবিআই যে ডিভাইস সরবরাহ করত, তাতে কোনো ই-মেইল, ফোনকল বা জিপিএস সেবা ছিল না। এতে কেবল অন্য এএনওএম ডিভাইসে বার্তা পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। এগুলো কালোবাজারে দুই হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। এই ডিভাইস ব্যবহার করতে বর্তমানে কোনো ব্যবহারকারীর কোড প্রয়োজন হয়। শ্রিভার্স বলেন, এ ধরনের ডিভাইসের খোঁজে অনেকেই তাদের কাছে এসেছিল। এই ডিভাইস ছড়িয়ে দিতে ও আস্থা অর্জনে অস্ট্রেলিয়ার এজেন্সি সহায়তা করে। এর মধ্যে গত মার্চ মাসে একজন ব্লগার এএনওএমের নিরাপত্তা ত্রুটির কথা জানিয়ে দেন। এ ছাড়া ডিভাইসটি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ফাইভআইস ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন। পরে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন।অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ বলেছে, অপারেশনের ফলে দেশটিতে ২২৪ জনের বিরুদ্ধে ৫০০টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়টি আন্ডারগ্রাউন্ড ওষুধের কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ বলছে, দেশটিতে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। | মোবাইল অ্যাপ,অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাষ্ট্র | ১০০ দেশে ডিভাইস ছড়িয়ে এফবিআইয়ের ফাঁদ, গ্রেপ্তার ৮০০ | international |
https://www.dailynayadiganta.com/europe/648204/রাশিয়া-যুদ্ধবিরতি-না-মেনে-গোলাবর্ষণ-করছে-ইউক্রেন | রাশিয়া যুদ্ধবিরতি না মেনে গোলাবর্ষণ করছে : ইউক্রেন | ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারিউপোলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও রাশিয়া তা মানছে না বলে অভিযোগ করছে ইউক্রেন। ওই শহরের ওপর গোলাবর্ষণ এখনো চলছে। মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র সেরহাই অরলভ বিবিসিকে বলেছেন, 'রুশরা আমাদের ওপর এখনো বোমা ফেলছে। এখনো তারা আমাদের ওপর গোলাবর্ষণ করে চলেছে।' 'মারিউপোলে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই, শরণার্থী যাতায়াতের পথেও কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। আমাদের বেসামরিক মানুষ শহর ছাড়তে চায়, কিন্তু তারা গোলাবর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে পারছে না।' মারিউপোল থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়ার কাজ স্থগিতমারিউপোলের পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই শহর থেকে বেসামরিক মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তারা বলছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও রুশ পক্ষ তা পালন করছে না। বাসিন্দাদের বলা হয়েছে শহরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে, এবং নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে। কিছুক্ষণ আগে ডেপুটি মেয়র বিবিসিকে জানিয়েছেন, মারিউপোলের ওপর এখনো রুশ গোলাবর্ষণ চলছে। বেসামরিক লোকজনকে যে পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তার শেষভাগে এখনো লড়াই চলছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। রুশ জঙ্গি হেলিকপ্টার ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনেরইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে যে তারা রাশিয়ার একটি জঙ্গি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে কোথায়, কবে এই ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। সূত্র : বিবিসি | রাশিয়া,ইউক্রেন,যুদ্ধবিরতি | গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত মারিউপোলের একটি ভবন। | international |
https://samakal.com/politics/article/1612256372/খালেদা-জিয়া-গণতন্ত্র-নিয়ে-মায়াকান্না-করছেন-ইনু | খালেদা জিয়া গণতন্ত্র নিয়ে মায়াকান্না করছেন: ইনু |
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণতন্ত্র নিয়ে 'মায়াকান্না' করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে জাসদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সাম্প্রতিককালে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র নিয়ে মায়াকান্না শুরু করেছেন। এটা তার কাছে শোভা পায় না।'
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য যে মায়াকান্না করছেন তা হচ্ছে মাছের মায়ের পুত্র শোকের মতো অবস্থা। উনি আবার গণতন্ত্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন।'
ইনু বলেন, 'যাদের গায়ে মানুষ পোড়ানোর গন্ধ, হাতে রক্তের দাগ, পিঠে দুর্নীতির ছাপ আছে তারা গণতন্ত্রে বসবাস করবে কি-না এটা জাতির কাছে বড় প্রশ্ন। গণতন্ত্রকে যদি নির্ভেজাল গতিতে এগোতে হয় তাহলে যারা হত্যা-খুন, আগুন সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের গণতন্ত্রে থাকার কোনও অধিকার নেই।'
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনসহ জাসদ নেতাকর্মীরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
| তথ্যমন্ত্রী,ইনু, | তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/55096/%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%AC%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1 | ১০৬টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করবে বার্ড | বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) দুই দিনব্যাপী ৫৪তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন গতকাল রোববার শেষ হয়েছে। বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বার্ড আগামী অর্থবছরে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের ১০৬টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করবে। এ ছাড়া ১০টি গবেষণা করবে।গতকাল রোববার সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী।বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বার্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, সম্মেলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল কাদের, বার্ডের যুগ্ম পরিচালক আইরীন পারভিন, সহকারী পরিচালক আনাস আল ইসলাম।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বার্ড বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। বার্ডের পরীক্ষামূলক প্রকল্পগুলো জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। আধুনিক কৃষি বিপ্লবে অতীতের মতো বার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, 'দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।' | কুমিল্লা,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,আজকের কুমিল্লা | বার্ডের ৫৪তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমরান কবির চৌধুরী। প্রত্রিকা | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/02/13/%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%be/ | যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা ভেনেজুয়েলায় ঢুকবে: গুইদো | প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ত্রাণ সহায়তা ভেনেজুয়েলায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো। হাজার হাজার সমর্থকের সামনে গুইদো বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা আসবে। এছাড়া কারাকাসের সমাবেশে মাদুরো বিরোধী নেতা বলেন, দেশ থেকে দখলদার (মাদুরো) চলে যেতে হবে। রাজধানীর সমর্থকদের গুইদো এও বলেন, ভেনেজুয়েলায় ২৩ ফেব্রুয়ারি মানবিক ত্রাণ ঢুকবে। তা না হলে আমাদের তিন লাখ নাগরিক রয়েছেন, যারা না খেয়ে মারা যাবেন। সেইসঙ্গে প্রায় দুই মিলিয়ন লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন। এর আগে বামপন্থী প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেছিলেন, ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাঠানো হস্তক্ষেপের একটি উপায়। এই ত্রাণ আমরা সমর্থন করবো না। মাদুরোকে উৎখাত করার জন্য গত মাসে গুইদো আন্দোলনের ডাক দেন। সেসময় তিনি নিজেকে 'অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট' হিসেবে ঘোষণাও দিয়ে বসেন। এটাকে আবার যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৫০টি দেশ স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। মাদুরো সরকারবিরোধী উত্তাল পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ত্রাণবাহী যান পৌঁছেছে কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা সীমান্তে। কিন্তু ভেনেজুয়েলায় প্রবেশমুখী তিয়েনদিতাস সেতু কার্গো দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে সেনাবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ মাদুরো প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সেনাবাহিনী এ যান ভেনেজুয়েলায় ঢুকতে দিচ্ছে না। এদিকে, রাশিয়া এবং চীন সমর্থিত মাদুরোকে দ্রুত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এ জন্য আল্টিমেটামও দিয়েছিল। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সময়ে তেল সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে হাইপারইনফ্ল্যাশন, মন্দা এবং খাদ্য ও ওষুধের মতো মৌলিক দ্রব্যেরও অভাব দেখা দেয় দেশটিতে। | null | বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো, | international |
https://www.ajkerpatrika.com/168634/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%9F%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A7%82%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B2 | প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১৫ | প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারী প্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নেবেন। আপনাদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে নিয়মিত আজকের পত্রিকায় সহায়িকা পাতায় থাকছে ধারাবাহিক মডেল টেস্ট। আজ ইংরেজি বিষয়ের ওপর একটি চূড়ান্ত মডেল টেস্ট তুলে ধরা হলো:. - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . ' . . - . . . . . . . . . . . . . ' .. - . . . . . . . .. - . . . . . . - . . . . . . : . . . . . . . .. : . . . . . . . .. : . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . . . . . . - . ? . ? . . -: . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . শিক্ষাসর্ম্পকিত পড়ুন:প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০১প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০২প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৩প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৪প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৫প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৬প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৭প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৮প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -০৯প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১০প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১১প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১২প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১৩প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক চূড়ান্ত মডেল টেস্ট -১৪ | চাকরি,ক্যারিয়ার টিপস,ক্যারিয়ার,নিয়োগ,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ | গাজী মিজানুর রহমান | education-career |
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/329342/টি-টোয়েন্টিতে-পাকিস্তানের-বড়-সংগ্রহ | টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহ | জিম্বাবুয়ের হারারেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। ওপেনার ফখর জামান, শোয়েব মালিক ও আসিফ আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান তুলেছে সরফরাজ আহমেদের দল।দলীয় ১৩ রানে মোহাম্মাদ হাফিজের উইকেট হারানোর পর এক প্রান্ত দিয়ে নিয়মিত উইকেট নিয়েছে জিম্বাবুয়ের বোলাররা। তবে অন্য প্রান্তে তরুণ ফখর জামান করেছেন স্বভাবসুলভ ব্যাটিং। তার চল্লিশ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ছিলো সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা। ১৫তম ওভারে ফখর জামান ফিরে যাওয়ার পর বাকি সময়টা জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন শোয়েব মালিক ও আসিফ আলী। শোয়েব ২৪ বলে ৩৭ রান করেছেন। তবে আসিফ ছিলেন আরো আগ্রাসী। ২১ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ছিলো ৪টি ছক্কা। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে তেন্দাই কিসোরো ২৪ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান এখন এক নম্বর দল, অন্য দিকে জিম্বাবুয়ের অবস্থান ১১ নম্বরে। জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই দলীয় এক রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। মোহাম্মদ নওয়াজের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ওপেনার চিবাবা। আরো পড়ুন :এ এক অন্য সাব্বির!ব্যাট হাতে ক্রিজে এলেই অস্থিরতা। মারমুখী খেলে কিছু সময় পর সাজঘরে ফিরতেন নানা বিতর্কের জন্ম দেয়া সাব্বির রহমান। কিন্তু এই অস্থির ক্রিকেটারকেই নতুন রূপে দেখা গেলো এবার। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কা 'এ' দলের বিপক্ষে চার দিনের বেসরকারি টেস্ট ম্যাচে ১৬৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৬৫ রান করতে ২৮৭ বল খেলেছেন সাব্বির। বাউন্ডারি হাকিয়েছেন ১৬টি। আর ছক্কা দুটি। মোট সাত ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ক্রিজে ছিলেন তিনি। এর আগে এতো লম্বা সময় ব্যাট চালাননি সাব্বির। তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হাবিবুল বাশার। তবে এক ইনিংস দিয়ে তাকে বিচার করতে চান না তিনি। তার ব্যাটিংয়ের এই ছন্দ ধরে রাখত হবে। বিসিবির এই নির্বাচক বলেন, 'এটা ওর জন্য দরকার ছিল, ইনিংসটা ওকে আত্মবিশ্বাসী করবে। সে সাধারণত প্রচুর শট খেলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওর তেমন রানও নেই। এটা ওর জন্য ভালো হয়েছে। তবে মাত্রই একটা ইনিংস। সামনে যে কয়েকটা চার দিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে, ওর উচিত ছন্দটা ধরে রাখা। তাহলে সে আরো উন্নতি করতে পারবে।' সাব্বিরের সেঞ্চুরি করে সেই টেস্টে ড্র করেছে বাংলাদেশ। তার ধীরতায় ৪১৪ রানে শেষ হয় বাংলাদেশ 'এ' দলের সংগ্রহ। পরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি লাহিরু মিলান্থা ও করুনারত্নে করেন ৯৩ রান। দ্বিতীয় উইকেটে করুনারত্নে ও থিরিমান্নে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। থিরিমান্নে অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে বাঁহাতি ওপেনার করুনারত্নে করেন ১৬৫ বলে ১৬১ রান। পরে লঙ্কানরা ২ উইকেটে ২৬২ রান করলে ম্যাচটি ড্র হয়। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচটি আগামী মঙ্গলবার সিলেটেশুরু হবে। সেই ম্যাচে কেমন ব্যাটিং করবেন সাব্বির? যদি ছন্দটা ধরে রাখতে পারেন তাহলেই নতুন করে সবার নজরে আসবেন তিনি। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। | null | ফখর জামান | sports |
https://www.prothomalo.com/politics/ভোট-দিয়ে-প্রধানমন্ত্রী-নৌকার-জয়-হবে-হবেই | ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী: নৌকার জয় হবে হবেই | প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের ভোট দিয়ে আশা ব্যক্ত করেছেন, নৌকার জয় হবে, হবেই। এ সময় তিনি বিজয়সূচক 'ভি' চিহ্ন প্রদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ কথাও বলেন, নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুন না কেন, তিনি ও তাঁর দল তা মেনে নেবেন। আজ রোববার সকাল আটটায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। সকাল সোয়া আটটার দিকে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোট দেওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি বলেন, নৌকার বিজয় হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিজয় হবে। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে তাদের রায় দেবে। গতকাল রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর আস্থার কারণ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। এটাই আমার আস্থার কারণ।' আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমি কোনো সহিংসতা চাই না। মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। বিজয়ী করবে। তিনি বলেন, আমি সবার কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। দেশের উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে সেটা চাই। ভোটে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী-এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি সব সময়ই আশাবাদী।' ঢাকা সিটি কলেজ ঢাকা-১০ আসনের মধ্যে পড়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। আজ প্রধানমন্ত্রী ভোট দেওয়ার সময় তিনিও সঙ্গে ছিলেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। | শেখ হাসিনা,নৌকা প্রতীক,একাদশ সংসদ নির্বাচন,রাজনীতি,,নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বিজয় চিহ্ন দেখান। ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর। ছবি: বাসস | politics |
https://samakal.com/entertainment/article/19041102/হয়ে-হাসপাতালে-সুবীর-নন্দী | অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে সুবীর নন্দী | প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী সুবীর নন্দী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকা ফেরার পথে উত্তরার কাছাকাছি আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। পরে তাকে রাত ১১টার দিকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী জানান,পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেসিলেট থেকে ফেরার পথে তার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। চার দশকেরও বেশি সময়জুড়ে দেশের সংগীতাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে চলা সুবীর নন্দীদীর্ঘদিন ধরেইকিডনির অসুখে ভুগছেন। এ জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিসও করাতে হয় ৬৫ বছর বয়সী এই শিল্পীকে। দীর্ঘ সংগীত জীবনেআড়াই হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়া এই শিল্পী চলতি বছর একুশে পদকে ভূষিত হন। | সুবীর নন্দী,হাসপাতালে সুবীর নন্দী,সুবীর নন্দী অসুস্থ | সুবীর নন্দী | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/09/04/563429 | বিশ্বনাথে সপরিবারে
করোনায় আক্রান্ত ইউপি চেয়ারম্যান | সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্ত্রী সামিয়া বেগম, ছেলে ফাহমিদ হক (২২) ও তাহমিদ হককে নিয়ে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুুর রহমান মূসা। সূত্র জানায়, করোনা প্রার্দুভাবের পর থেকেই সরকারি সহায়তা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটেন ছয়ফুলহক। সরকারি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও গণসচেতনতায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। বুধবার উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষার জন্যে নমুুনা দেন তার পরিবারের সবাই। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত রিপোর্টে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় তাদের। | null | ছয়ফুল হক , স্ত্রী সামিয়া বেগম | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/24/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%a3%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%a8%e0%a7%8c%e0%a6%af%e0%a6%be/ | সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ | করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের জন্য কার্গো জাহাজ চলাচলের সুযোগ রাখা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকসহ জরুরি কাজে সড়ক পথে চলাচলকারী যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চালু রাখা হবে। ফেরিতে সাধারণ মানুষ পারাপারের ক্ষেত্রে নিষধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ সচিবালয়ের অফিস থেকে ভিডিও বার্তায় এসব তথ্য জানান। জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনা যেন দ্রুত দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য ৪ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। লঞ্চ মালিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। কারণ, প্রতিদিন নৌ পথে হাজার হাজার যাত্রী বাড়ি যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা ঝুঁকির মধ্যে আছি। সড়ক পথে এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যান চলাচলের প্রয়োজন হয়। সেকারণে ফেরি চলাচল সীমিত আকারে চালু রাখছি। এ্যাম্বুলেন্স বা প্রয়োজনীয় যান পারাপারের জন্য ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন উৎসবে ফেরিতে সাধারণ মানুষ পারাপার করা হয়। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় ফেরিতে সাধারণ মানুষ পারাপারের ক্ষেত্রে নিষধাজ্ঞা রয়েছে। সরকার যে ছুটি ঘোষণা করেছে, তা উৎসবের ছুটি নয়। করোনা ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। যে যেখানে আছি আমরা সেখানে অবস্থান করব। আমরা স্থানান্তর হবোনা। ১৬ কোটি মানুষকে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে করোনা ঝুঁকি মোবাবিলা সম্ভব নয়। এ ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করলে করোনা ঝুঁকিতেও আমরা জয়ী হতে পারব। করোনায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে তিনজন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন। এদিকে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬ হাজার ৫৫৮ জন। এর মধ্যে শুধু ইতালিতেই মৃতের সংখ্য ৬০৭৭ জন। চীনে করোনায় মারা গেছে ৩২৭৭, স্পেইনে করোনায় মারা গেছে ২৩১১, ইরানে ১৮১২, ফ্রান্সে ৮৬০, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮২ জন। বিশ্বের ১৯৫টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে তিন লাক্ষ ৮১ হাজার ৬৪৯ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাক্ষ দুই হাজার ৪২৯ জন। এমএইচ | আক্রান্ত,আতঙ্ক,করোনা,গণপরিবহন,নৌযান,বিশ্বে,মৃত | নৌযান | national |
https://samakal.com/politics/article/211290861/ফখরুলকে-গ্রেপ্তার-ও-বিএনপিকে-নিষিদ্ধ-করার-দাবি-মুক্তিযুদ্ধ-মঞ্চের | ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের | 'বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির' অভিযোগ এনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একই সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে হরতালের সময় সারাদেশে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি জানান মঞ্চের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মঞ্চের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন (বিচ্ছু জালাল), বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, মঞ্চের ঢাবি শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম প্রমুখ। রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে দ্রুত নিষিদ্ধসহ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের আগুন সন্ত্রাসীদের বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। মির্জা ফখরুল সম্প্রতি তারেক ও খালেদাকে মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে আমাদের চরমভাবে অপমান করেছে। অবিলম্বে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে। জহির আহমেদ জালাল বলেন, বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছিল। বিএনপি এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে পরিণত হয়েছে, ফখরুলের বক্তব্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের আইএসআই গুপ্তচর জিয়া কখনোই বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন না। হাজার হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী খুনি জিয়ার তৈরি বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বাংলাদেশে বিএনপি রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। | মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,ইতিহাস বিকৃতি | মানববন্ধন | politics |
https://samakal.com/entertainment/article/200417583/নিজের-আঁকা-ছবির-প্রদর্শনী-করতে-চাই | 'নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করতে চাই' | ভাবনা। মডেল ও অভিনেত্রী। বাংলাভিশনে আজ প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক 'জায়গীর মাস্টার'। এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-
অনেক দিন ধরে 'জায়গীর মাস্টার' প্রচার হচ্ছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকের কাছে ভালো লাগছে বলেই নাটকটি এতদিন ধরে প্রচার হচ্ছে। এতে আমার অভিনীত চরিত্রের নাম মালেকা বানু। কমেডি গল্পের নাটক হলেও এখানে জীবনের কিছু কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচারের পেছনে এর রচয়িতা ও নির্মাতা এসএ হক অলিকের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই।
অন্যান্য ধারাবাহিকের কী খবর?
বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি। বিভিন্ন চ্যানেলে এগুলো প্রচার হচ্ছে। তবে এগুলোর বেশিরভাগই আগে শুট করা। করোনার কারণে নতুন করে কোনো পর্বের দৃশ্যধারণ করা হয়নি। শুটিং বন্ধ। সময় কীভাবে কাটাচ্ছেন?
বাসায় আছি। বই পড়ছি, কবিতা লিখছি। ছবি আঁকারও চেষ্টা করছি। কাক এবং বুদ্ধের ছবি আমার প্রিয়। সম্প্রতি মেকআপ সরঞ্জাম দিয়ে আমার আঁকা ছবি দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি যেন আঁকাআঁকি চালিয়ে যাই। করোনা চলে গেলে মেকআপ সরঞ্জাম দিয়ে আঁকা ছবির প্রদর্শনী করতে চাই। আমার সহকর্মী শামীম সরকার ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া মৌসুমী হামিদ, বন্যা মির্জা খুব অ্যাপ্রেশিয়েট করেছেন।
চলচ্চিত্রে আবারও অভিনয় নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
নতুন কোনো ছবিতে অভিনয় করতে গেলে অনেক প্রস্তুতির দরকার। তাড়াহুড়া করে কাজ করার ইচ্ছাও নেই। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু মন সায় দেয়নি। অভিনয়ের বিষয়ে আমার বাছ-বিচারের ধরন একটু অদ্ভুত। যেটা আমার কাছে ভালো মনে হবে, সেটাই করতে চাই। 'ভয়ংকর সুন্দর' ছবিতে অভিনয় করেছিলাম এর গল্পটা অসম্ভব ভালো লেগেছিল বলে। বড় বাজেটের এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতাও ছিল অন্যরকম। চরিত্রেও অনেক ভাঙা-গড়ার বিষয় ছিল। এ ধরনের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেলে অবশ্যই করব। | আশনা হাবিব ভাবনা,বিনোদন,সাক্ষাৎকার | আশনা হাবিব ভাবনা | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/05/19/650656 | তিনি কি রাহুল গান্ধী?, নেটিজেনদের প্রশ্ন | করোনার মধ্যে সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ২০১৫ সালের ছবি 'ফিফটি শেডস অব গ্রে'। এরপর থেকেই একাংশ ভারতবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন, 'ছবির নায়ক কি রাহুল গান্ধী'? কেননা ছবির একটি দৃশ্য দেখে হতবাক নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা 'রাহুল গান্ধীরও প্রেমিকা রয়েছে নাকি'! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কিন্তু কেন নেটিজেন এমনটা মনে করছেন? জানা গেছে, অনেকেই হলিউড অভিনেতা জেমি ডর্ননকে রাহুল গান্ধী বলে ভুল করে বসেছেন। কেউ কেউ কেবল মাত্র মশকরা করার জন্য ট্রেন্ডের সঙ্গে পা মেলাচ্ছেন। যে ছবি নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে জেমি ডর্নন অভিনীত চরিত্র ক্রিস্টিয়ান গ্রে কোলে তুলেছেন ডাকোটা জনসন অভিনীত অ্যানাস্টেশিয়া স্টিলকে। ছবিটি পোস্ট করে জনৈক নেটাগরিক কংগ্রেসের নেতাকে উল্লেখ করে লিখেছেন, 'এ সব কী আচরণ'! কেউ ঠাট্টা করে নিজেকে রাহুলের স্ত্রী বলে দাবি করে জানালেন, তিনি এ সব একদম পছন্দ করছেন না। বিডি-প্রতিদিন/শফিক | null | জেমি ডর্ননের কোলে ক্রিস্টিয়ান গ্রে | international |
https://www.ajkerpatrika.com/145526/%E0%A6%A8%E0%A7%83%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%B8-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE | নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, রায় কার্যকর করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'পিলখানার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, এটার রায় যথার্থভাবে কার্যকর করা হবে। আপনারা বিচারের জন্য যেভাবে ধৈর্য ধারণ করে আসছেন, এভাবে ধৈর্য ধারণ করবেন, আপনারা এ ঘটনার বিচার দেখতে পারবেন।'আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা এটাও দেখেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারে অনেক সময় লেগেছে। তার পরও আজ আমরা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছি। আমাদের থেকে কালো দাগ মুছে গেছে, আমাদের কপালে আর কালো দাগ নেই। আমরা অবশেষে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পেরেছি। এভাবে নৃশংস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটবে আমরা কল্পনাও করেনি। কতিপয় বিপথগামী বিডিআর সদস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যথার্থভাবে একটি বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আর একটি চলমান রয়েছে। বিচারকার্য দীর্ঘসূত্রতার কারণ হচ্ছে, আমাদের সবকিছু উপাদান সংগ্রহ করতে একটু সময় লেগেছে। এ ছাড়া সাক্ষী জোগাড় করতেও বেশ সময় লাগছে।'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'চাইছিলাম এ ঘটনার সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার যেন হয়, আর বিচারকেরা তা-ই করেছেন। আর যেই মামলার বিষয়টি চলমান রয়েছে, সেটা খুব শিগগির শেষ হবে। বিচার শেষ হওয়ার পরে আপিল করার একটি সুযোগ থাকে, সেটাও তাঁরা করছেন। আমরা মনে করি এই প্রক্রিয়া শেষ হলে তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন।'উল্লেখ্য, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো দিন হয়ে রেখা কেটে আছে। ১৩ বছর আগে ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান বিজিবি) ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের হাতে প্রাণ হারান সেই সময়কার বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিক। | ঢাকা জেলা,ঢাকা বিভাগ,বিজিবি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,হত্যাকাণ্ড,ঢাকা,পিলখানা ট্র্যাজেডি | বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। | national |
https://samakal.com/capital/article/19128058/সিটি-নির্বাচনে-সব-নিয়মকানুন-মেনে-চলতে-হবে-প্রার্থীদের | 'সিটি নির্বাচনে সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে প্রার্থীদের' | আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সব নিয়মকানুন প্রার্থীদের মেনে চলার ব্যাপারে কাজ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রার্থীরা যাতে বিলবোর্ড-ব্যানার না সাটিয়ে প্রচারণা চালায় সে ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ কঠোর থাকবে। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তিনিও সব নিয়মকানুন মেনে প্রচারণা চালাবেন। কেউ যদি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভেঙে ব্যানার-ফেস্টুন করে তাহলেও ডিএনসিসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জন্মলগ্ন থেকে এই শহরের অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণেই নগরে কাটাকাটি ও খোড়াখুড়ি করা হয়। যেগুলো পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হবে, সেগুলো যথযথভাবে মানা হবে। ব্যানার পোস্টার অপাসরণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাঠে থাকবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট সিটি এখন সময়ের দাবি। সেটি বাস্তবায়নে কাজ চলছে। ঘরে বসে অনলাইনে ট্যাক্স দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জবাবদিহিদার মধ্যে আনতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উত্তর সিটিতে কোনো অনিয়মের স্থান হবে না। ১১টি ইউলুপের কাজ চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে নগরীতে এলইডি বাতি বসানো হবে। এবারও মনোনয়ন পেয়ে যদি নির্বাচিত হতে পারেন, গত নয় মাসের অভিজ্ঞতার আলোকে নগরের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক এসএম ফয়েজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। | স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম,মেয়র আতিকুল ইসলাম,সিটি নির্বাচন | শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম | national |
https://www.ajkerpatrika.com/121987/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE | টিকা পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা | খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলার শিক্ষার্থীদের করোনা সুরক্ষা টিকা দেওয়া চলছে। এর মধ্য মানিকছড়িতে আগের দফায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীর মাঝে আজ রোববার থেকে এই ডোজ দেওয়া হচ্ছে।এদিকে টিকা পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে সরকার নির্ধারিত ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পিত উদ্যোগে গতকাল শনিবার বান্দরবানের থানচিতে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।আলীকদম প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় স্কুল পর্যায়ে করোনা সুরক্ষা টিকা প্রদান কার্যক্রমের প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১২ বছরের ওপরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।এদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা টিকা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা দিতে আসতে দেখা যায়। করোনা টিকা প্রদানে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি নানা কাজে সহযোগিতা করছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা।করোনা টিকা প্রদানে স্বাস্থ্যবিধির দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী। তিনি জানান, প্রতিটি শিক্ষার্থী করোনা টিকার আওতায় আনা হবে। এর জন্য আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রয়েছে।থানচি প্রতিনিধি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিকল্পিত উদ্যোগে গতকাল শনিবার এক দিনে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী করোনা সুরক্ষা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। গতকাল সকালে টিকা দিয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনাদি রনজন বড়ুয়া। এ ছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া নিবন্ধন করে সহযোগিতা করেন।মানিকছড়ি প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় টিকা সংকটে চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে আবারও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতন খীসা। এতে ১৫টি মাধ্যমিক স্কুল-কলেজের বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ পাবেন। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপজেলার ১৩টি মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসা ও ২টি কলেজের ১২ থেকে ১৮ বয়সী সকল শিক্ষার্থীকে করোনার সুরক্ষায় ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। গত সোম ও মঙ্গলবার টিকাদান চলা অবস্থায় তথ্য গরমিল ও স্টক না থাকায় থাকায় কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল থেকে আগের মতো উপজেলা পরিষদের আইসিটি কার্যালয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে টিকা দেওয়া কার্যক্রম চলবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী ও যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা টিকা কার্যক্রমে অংশ নেবেন। | খাগড়াছড়ি,টিকা,চট্টগ্রাম বিভাগ,শিক্ষার্থী,মানিকছড়ি,চট্টগ্রাম ,থানচি,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙামাটি | বান্দরবানের আলীকদমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার সুরক্ষা টিকার প্রথম ডোজ নেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/1802552/দুদকের-শুভেচ্ছা-দূত-হলেন-সাকিব- | দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব | দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত হলেন বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। জনগণকে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকার প্রচারাভিযানে তার ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে এই নিয়োগ দিয়েছে দুদক। খবর বাসসের রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্রিকেটের তিন ফর্মেই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব এবং দুদকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পাঁচ মাস আগেই দুদক তাকে শুভেচ্ছা দূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদকের পক্ষে মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. জাফর ইকবাল এবং সাকিব নিজেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে সাকিব বলেন, 'আমি দুদকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত। এতে আমার প্রচেষ্টায় যদি একজন মানুষও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে, তবে আমি নিজেকে সফল মনে করব।' জাতিকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে দুদকের সঙ্গে আমি আমার যাত্রা শুরু করলাম।' চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, 'সাকিব আল হাসান তার বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন, যা তাকে দেশের গর্বিত সন্তান এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।' তরুণ প্রজন্মকে সকল শক্তির উৎস হিসেবে বর্ণনা করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'সাকিবের মতো যুব সমাজ যদি ক্ষতিকর কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাহলে কার এত সাহস আছে যে দুর্নীতি করে?' দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি ব্যবহার করার জন্য তার সহযোগিদের পরামর্শ দিয়েছে দুদক। | দুদক,সাকিব আল হাসান | দুদকের শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর সাকিব | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/tv/বদিকে-ভালোবাসা-জানালেন-মুনা | বদিকে ভালোবাসা জানালেন মুনা | একটি নাটকে চার চরিত্র-বাকের ভাই, মুনা, বদি এবং মজনু। হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'কোথাও কেউ নেই' গত শতকের নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ধারাবাহিক। চারটি চরিত্রই দর্শকের ভীষণ প্রিয়। হঠাৎ নাটকের গল্পে মোড় ঘুরে যায়। সবার প্রিয় বদি হয়ে ওঠে সবার অপ্রিয় একজন। বাকের ভাইয়ের সহচর হয়েও তিনি হয়েছিলেন বাকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী! ফাঁসি হয় বাকের ভাইয়ের। বদি চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিলেন অভিনেতা আবদুল কাদের। আজ শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ক্যানসার-আক্রান্ত অভিনেতা আবদুল কাদের। তাঁর মৃত্যুতে অভিনয় জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। 'কোথাও কেউ নেই' নাটকের বদি, নিরুপায় হয়ে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়। আদালত খুনের দায়ে নির্দোষ বাকের ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আজ সেই 'বদি' চরিত্রের অভিনেতা আবদুল কাদের চলে গেলেন। আজ শনিবার সকালে তাঁর বিদায়ের পর বন্ধু-স্বজন ও অনুরাগীরা গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছেন তাঁকে। কেউ কেউ অতীত দিনের স্মৃতিচারণা করছেন। বাকের ভাইয়ের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন বদি। যে চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন আবদুল কাদের। বদির প্রয়াণে বিষণ্ন হয়েছেন মুনা চরিত্রে অভিনয় করা সুবর্ণা মুস্তাফা। ফেসবুকে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি। লিখেছেন, '১৯৮৬, ফরীদি এবং আমি ভারতে যাচ্ছিলাম। ফ্লাইট ছিল পরের দিন। আমাদের দরজায় কেউ একজন কড়া নাড়লেন, ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরা হাতে কাদের ভাই দাঁড়িয়ে। তিনি সেটি আমাদের দিলেন, 'ইন্ডিয়া যাবা, সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখবা আর ছবি তুলবা।' এমনই ছিলেন কাদের ভাই। আমাদের তখন কোনো ক্যামেরা ছিল নাসেটা কাদের ভাই কীভাবে জানলেন, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই। এটি আমার সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতিগুলোর একটি। শান্তিতে থাকুন কাদের ভাই। আমরা আপনাকে ভালোবাসি।' দীর্ঘদিন মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগেছেন আবদুল কাদের। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইতে যান তিনি। সেখানকার হাসপাতালেই ১৫ ডিসেম্বর ক্যানসার ধরা পড়ে কাদেরের। জানা যায়, ক্যানসার সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে সারা শরীরে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তখন তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া যায়নি। ফলে ২০ ডিসেম্বর আবদুল কাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দেশে ফিরেই তাঁকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ শনিবার সকালে সেখানেই মারা যান তিনি। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর পরিচালনায় 'কোথাও কেউ নেই' ধারাবাহিক নাটকে বদি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান আবদুল কাদের। টিভিনাটক, মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা গেছে তাঁকে। মঞ্চে 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়', 'এখনো ক্রীতদাস', 'তোমরাই', 'স্পর্ধা', 'দুই বোন', 'শিবের গীত', 'মেরাজ ফকিরের মা' নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন তিনি। | হানিফ সংকেত,বাংলা নাটক,হুমায়ূন আহমেদ | মুনা চরিত্রের সুবর্ণা ও বদি চরিত্রের কাদের | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/04/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%a4%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%af/ | করোনা আতঙ্কে দীপিকার ফ্যাশন শো বাতিল | করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ক্রমশ বাড়ছে উদ্বিগ্নতা। এই আতঙ্কের হাত থেকে রেহাই পেলেন না বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও। প্যারিসে আয়োজিত বিখ্যাত প্যারিস ফ্যাশন উইকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দীপিকার। কিন্তু সেই প্ল্যান বাতিল করলেন এই অভিনেত্রী। সারা বিশ্বে যে হারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তার জন্যেই এই মুহূর্তে বিদেশ সফর করতে চান না তিনি। লাক্সারি ফ্যাশন হাউস 'লুইস ভুইটন'-এর তরফে দীপিকাকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছিল চলতি ফ্যাশন উইকে তাদের সংস্থার শো-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য। দীপিকার অফিশিয়াল মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'লুইস ভুইটন ফল উইন্টার ২০২০ কালেকশন শো-এ আমন্ত্রিত ছিলেন দীপিকা পাড়-কোন। সেই উপলক্ষেই ফ্রান্স যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ফ্রান্সে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে এই সফর বাতিল করেছেন তিনি। | আকঙ্ক,করোনা,দীপিকা,ফ্যাশন শো,বাতিল | দীপিকা পাড়ুকোন। | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/04/20/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%97-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%9f%e0%a6%b8-%e0%a7%a9%e0%a7%ab-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0/ | শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশ থেকে আটক ৭ | সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে সমাবেশ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এ সময় সমাবেশ থেকে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ চলাকালে তাদের আটক করা হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। আটক সাতজন হলেন- সাধারণ ছাত্র পরিষদের যগ্ম-আহবায়ক হারুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান, শামীম রেজা, বিনয় বিশ্বাস, আরিফ হোসেন, মুনসুর আলম ও আরিফুল ইসলাম। জানা যায়, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে বিকেল থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা। এক পর্যায়ে তাদের ওই কর্মসূচিতে বাঁধা দেয় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে সাতজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক বশিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু আমাদের সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, 'আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে ছেড়ে দেয়া হবে।' কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে (শাহবাগ) যেহেতু মেট্টোরেলের নির্মাণ কাজ চলছে। তাই তাদের (আন্দোলকারী) প্রেসক্লাবের সামনে যাওয়ার কথা বলেছি। এদিকে পুলিশি বাঁধার পর শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও শোনা গেছে। অনেকের হাতে রয়েছে ৩৫ এর দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ও ব্যানার। আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক বশিরুল ইসলাম বলেন, ৩৫ বছর ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আর বিনা অপরাধে আটকদেতর মুক্তির দাবি করছি। তাদের মুক্তি দেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। | null | শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশ ( )। | national |
https://samakal.com/international/article/190920/মাস-পর-পরিবারের-সঙ্গে-দেখা-হল-ওমর-আবদুল্লা-ও-মেহবুবা-মুফতির | এক মাস পর পরিবারের সঙ্গে দেখা ওমর ও মেহবুবার | ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর 'সতর্কতামূলক ব্যবস্থা' হিসাবে গ্রেফতার করা হয় ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিকে। গ্রেফতারের প্রায় এক মাস পর তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান পরিবারের সদস্যরা। খবর জি-নিউজের শ্রীনগরের হরি নিবাসে রয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ। সেখানে তার সঙ্গে বোন সাফিয়া এবং সন্তানরা ২০ মিনিটের জন্য দেখা করেন। অন্যদিকে চেসমাশাহীতে পর্যটন বিভাগের একটি সরকারি ভবনে গৃহবন্দি রয়েছেন মেহবুবা মুফতি। গত বৃহস্পতিবার মুফতির সঙ্গে দেখা করেন তার মা ও বোন। তবে জম্মু-কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে এখনও তার ছেলে ওমরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক এই তিন মুখ্যমন্ত্রীর 'গৃহবন্দিদশা' কাটার লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। তিনজনের কারও সঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমের যোগাযোগের সুযোগ নেই। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরের আরও ১১ থানা এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ১০৫টি থানার মধ্যে ৮২টিতে সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ উঠে গেল। | ভারত,জম্মু-কাশ্মীর,কাশ্মীর | ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি | international |
https://www.ajkerpatrika.com/119869/%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89 | গত বছর রেকর্ড ২২ লাখ গাড়ি সরবরাহ করেছে বিএমডব্লিউ | বারবার নানা সংকটের কথা সামনে এলেও অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর গাড়ি বিক্রিতে কিন্তু তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। বিএমডব্লিউ যেমন, ২০২১ সালে তাদের এ যাবৎকালের সর্বোচ্চসংখ্যক যানবাহন সরবরাহ করেছে। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে এই জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। গত বছর বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ করা যানবাহনের সংখ্যা ২২ লাখ ১০ হাজার।চিপ সংকটসহ নানা ধরনের সংকটের কথা বেশ কিছু দিন ধরেই বলে আসছিল অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো। কিন্তু ২০২১ সালের হিসাব টানার পর দেখা গেছে, পোরশে, রোলস রয়েস থেকে শুরু করে নামজাদা সবগুলো গাড়ির ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি গত বছর বেড়েছে। আর বিএমডব্লিউ তো রীতিমতো রেকর্ড করল।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২২ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৫টি গাড়ি সরবরাহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকেই শুধু বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ১০ হাজারের বেশি গাড়ি। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।বিএমডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই বিএমডব্লিউর বিভিন্ন মডেলের গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৪টি, যা করোনাভাইরাস শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালের তুলনায় ২০ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। গত বছর দেশটিতে বিক্রি হওয়া বিশ্বখ্যাত এই ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর মধ্যে এক্স মডেলের গাড়িই বিক্রি হয়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। আর বেলজিয়ামে তো বিএমডব্লিউ রীতিমতো বাজিমাত করেছে। ইতিহাসে এই প্রথম ইউরোপের এই দেশের গাড়ির বাজারে শীর্ষ স্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। | অটোমোবাইল,গাড়ি,বিএমডব্লিউ | ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ২২ লাখের বেশি গাড়ি সরবরাহ করেছে বিএমডব্লিউ, যার ৬০ শতাংশই ছিল এক মডেলের। | science-tech |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/18/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a6%b2/ | বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম | শীতকালে নলেন গুঁড় দেখলে লোভ সামলানো বড় কঠিন। নলেন গুঁড়ের রসগোল্লা, নলেন গুঁড়ের সন্দেশ, নলেন গুঁড়ের পায়েস। নলেন গুঁড় দিয়ে তো নতুন কিছু আবিষ্কার হয়েই চলেছে। এই যেমন, ইদানিং নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম কিন্তু দারুণ জনপ্রিয় খাদ্যরসিকদের মধ্যে। ভাবছেন, এই করোনার সময়ে বাইরে বেড়িয়ে নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম খাবেন কি করে? চিন্তা নেই। বাড়িতেই খুব সহজে নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম তৈরি করতে পারেন। রইল রেসিপি। যা যা লাগবে- ৫০০ গ্রাম দুধ, নলেন গুড় (পাটালি) ২৫০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ২৫০ গ্রাম, কয়েকটা পেস্তা বাদাম। বানান এভাবে- নলেন গুঁড়ের এই আইসক্রিম বানানো খুবই সহজ। তবে এটি তৈরি করার সময় মাথায় রাখতে হবে মিষ্টির বিষয়টি। গুঁড়ের পরিমাণ যেন ঠিক থাকে তার দিকে নজর রাখুন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফোঁটানোর সময় ভালো করে নাড়াতে থাকুন। দুধ ঘন হয়ে আসলে তার মধ্যে ফ্রেশ ক্রিম ঢেলে, ভালো করে নাড়াতে থাকুন। দেখবেন ফ্রেশ ক্রিম দেওয়ার ফলে দুধ আরও বেশি ঘন হয়ে আসবে। আঁচ কিছুটা কমিয়ে দিন। দুধ ফুটে উঠলে তার মধ্যে গুঁড় ঢেলে দিন। হাতা দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। যাতে গুঁড় ভাল করে দুধ ও ক্রিমের মধ্যে মিশে যায়। এবার ওভেন থেকে দুধ নামিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করুন। তারপর ফ্রিজের মধ্যে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে তৈরি হয়ে যাবে নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম। আইসক্রিমের উপর পেস্তা সাজিয়ে পরিবেশন করুন। এই আইসক্রিমের ভাল স্বাদ পেতে মাটির ছোট ছোট পাত্রে আইসক্রিম পরিবেশন করুন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের। | null | নলেন গুঁড়ের আইসক্রিম | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/12/14/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a7%9f/ | ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আসছেন বুধবার | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এটি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্ক থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ড. মোমেন বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্নজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন উদযাপন ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফরে ভারতের ফার্স্টলেডি, রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দু'জন সংসদ সদস্য ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর কোবিন্দ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর রামনাথ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভারতের রাষ্ট্রপতি গেস্ট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্নজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্নজয়ন্তীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং রক্তস্নাত বিজয়ের আবেগ ও আনন্দ উদযাপনের জন্য আয়োজিত মহাবিজয়ের মহানায়ক অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর রামনাথ ঢাকার রমনায় কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করবেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করবেন। ওই দিন দুপুরে তিনি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরে দু'দেশের মধ্যে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিষয় নেই। সফরটা আনুষ্ঠানিকতায় মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। | null | ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। | national |