instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 1
58.1k
| output
stringlengths 2
121
|
---|---|---|
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | সৌদি আরবের মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাওলানা জিয়াউর রহমান জাহেদ (৪৫) নামের এক বাংলাদেশি মাদ্রাসাশিক্ষক। তিনি পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মক্কা নগরীর হেরা গুহা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাঁর চাচাতো ভাই মো. কামাল উদ্দিন। তাঁর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।নিহত জাহেদ গারাংগিয়া হাতিয়ারকূল এলাকার মধন মাওলানা সাহেবের বাড়ির মরহুম মাওলানা মাহবুবুর রহমানের ছেলে। পরিবারে তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া শাহ মজিদীয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন।নিহতের চাচাতো ভাই মো. কামাল উদ্দিন বলেন, 'গত ১৬ মার্চ ওমরাহ হজ পালনে করতে সৌদি আরবে যান জাহেদ। আগামী ৩০ মার্চ তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল। শনিবার বাদ আসর পবিত্র মক্কা নগরীর উঁচু পাহাড় হেরা গুহায় ওঠেন। সেখানে উঠে নিজের মোবাইলে থেকে ফেসবুক লাইভে এসে ভিডিওতে হেরা গুহার দৃশ্য দেখান। এর কিছুক্ষণ পর হেরা গুহা থেকে নিচে নেমে রাস্তা পার হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।' | ওমরাহ পালনে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ডলফিন সামাজিক প্রাণী। এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। বুদ্ধির মানদণ্ডেও ডলফিনের অবস্থান মানুষের পরেই। পুরুষ বটলনোজ ডলফিনের আরেকটি মজার বৈশিষ্ট্য হলো-এরা মানুষের মতো নাম রাখে, পরস্পরকে আলাদা নামে ডাকে। অন্য কোন প্রাণীর ক্ষেত্রে এমন শোনা যায় না।গবেষণায় এর প্রমাণও মিলেছে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সোয়ান নদীতে শব্দ ট্র্যাকিং করে এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটি (ইসিইউ) এবং অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এ গবেষণা করেছেন। তাঁরা এখানে ডলফিনের ৫০০ ধরনের হুইসেল শুনতে পেয়েছেন। ভোকাল কর্ড ব্যবহার করে সবাইকে ভিন্ন নামে ডাকার দক্ষতাও এদের রয়েছে।কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন এরবে বলেন, 'প্রতিটি ডলফিনের জন্য আলাদা হুইসেল থাকে। হুইসেলগুলো একেকজনের নামের মতো। কেউ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ওই হুইসেল বাজিয়ে বাকিরা তাকে খুঁজে নেয়।' ভবিষ্যতে আলাদা আলাদা ডলফিনের ওপর গবেষণা চালিয়ে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। | ডলফিনরা নিজেদের নাম ধরে ডাকে! |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ বাছাইয়ের লক্ষ্যে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই প্রথমে ৫৭টি আবেদনের মধ্য থেকে অযোগ্য ও অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিদের আবেদন বাদ দিয়ে সম্ভাব্য যোগ্যদের একটি তালিকা তৈরি করবে। এরপর আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকবে বলে বিসিসিঅাই'র সেক্রেটারি অজয় শিরকে আজ মুম্বাইয়ে সাংবাদিকদের জানান। খবর পিটিআই'র টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ হতে বিসিসিআই'র কাছে ৫৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে আছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক অনীল কুম্বলে, সাবেক টিম ডাইরেক্টর রবি শাস্ত্রী ও ভারতের সিলেকশন প্যানেলের প্রধান সন্দ্বীপ পাতিল। উল্লেখ্য, ভারতের সাবেক টেস্ট অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী অাইসিসি ষষ্ঠ টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার ডাইরেক্টর কাম কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিশ্বকাপ শেষেই তার সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রধান কোচের পদটি খালি আছে। বিডি-প্রতিদিন/১৫ জুন ২০১৬/শরীফ | সম্ভাব্য কোচদের সাক্ষাৎকার নেবে বিসিসিআই |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | করোনা ভাইরাসের কারণে তারাবি নামাজের সময় মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব শহরের ৮০ শতাংশ মসজিদেই মানা হচ্ছে না বলে উঠে এসেছে একটি জরিপে। এরআগে তারাবি নামাজ পড়ার অনুমতি প্রদানের পূর্বে সরকার ও আলেম সমাজের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সরকার ও আলেমদের দ্বি-পাক্ষিক সমাঝোতা অনুযায়ি রাস্তায় এবং ফুটপাতে নামাজ না আদায়ের নির্দেশনা ছিল তাছাড়া মুসল্লিদের মধ্যে ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছিল। তাছাড়া সবাইকে বাসা থেকে ওজু করে মাস্ক পড়ে মসজিদে আসতে বলা হয়েছিল। ১৫টি শহরের ১৯৪ টি মসজিদের সরকারি এসব নিধেশনা অমান্য করার ছবি পাওয়া যায়। ৪০ জন পর্যবেক্ষক প্রতিজন ৪/৫ টি মসজিদে সরেজমিনে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। জরিপে দেখা যায় ৯৬% মুসল্লি রাস্তায়ও নামাজ পড়েন। তাছাড়া ৮৯% মুসল্লি মাস্ক ব্যবহার করেনি বলে জরিপে ওঠে আসে। অন্যদিকে ৭২ থেকে ৬৯ শতাংশ মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। | পাকিস্তানের ৮০% মসজিদে করোনা নির্দেশনা উপেক্ষিত |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | নেত্রকোনার সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজাহারুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুল কাদেরের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রৌহা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুর রশিদের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন। লক্ষ্মীগঞ্জে হামলার ঘটনায় আজ বুধবার সকালে আজাহারুল ইসলামের কর্মী সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে শফিকুল কাদেরসহ ৫০ জনকে আসামি করে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় আজ বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সবাই শফিকুল কাদেরের কর্মী-সমর্থক বলে জানা গেছে। শফিকুল কাদের ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর ভাষ্য, গতকাল রাত আটটার দিকে ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় নৌকার প্রার্থী আজাহারুল ইসলামের লোকজন আকস্মিকভাবে তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে আলমগীর কবির নামে তাঁর এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মী আহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শফিকুল কাদেরের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে নৌকার প্রার্থীর ৮ থেকে ৯ জন কর্মী আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল কাদের বলেন, নৌকার প্রার্থী আজাহারুল ইসলামের লোকজন প্রথমে তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে এলাকায় কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সত্য নয়। এদিকে আজাহারুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর শফিকুল কাদেরের লোকজন হামলা করেছে। এ ঘটনায় তাঁর ৯ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর কোনো কর্মী-সমর্থক শফিকুল কাদেরের লোকজনের ওপর কোনো হামলা চালাননি। রৌহা ইউপিতে আ.লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রৌহা ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আবদুর রশিদের ভাষ্য, গতকাল মধ্যরাতে বড়গাড়া নতুনবাজার এলাকায় তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের লোকজন তাঁর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তাঁর কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নতুনবাজার এলাকার ওই নির্বাচনী কার্যালয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ির কাছাকাছি এলাকায়। গতকাল রাতে শফিকুলের সমর্থকেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া শফিকুল নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে, সেটি তিনি জানেন না। উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলাম রৌহা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, লক্ষ্মীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। অন্যদিকে রৌহায় আগুন ও ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | নেত্রকোনায় আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ, গ্রেপ্তার ১৩ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | বালাদেশ থেকে টিকা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশত্যাগ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। খুব বেশি কড়াকড়ির কারণেই নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সফল দেশ। তাই, টিকা নেওয়ার পরেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে টাইগারদের। পরোপুরি নিয়ম মেনে চলায় নিজেদের ভাবমূর্তিও রক্ষা করতে পারলেন টাইগাররা। ক্রাইস্টচার্চ ছেড়ে বৃহস্পতিবার কুইন্সটাউনে পা রেখেছে টাইগাররা। সেখানে পৌছে ফুরফুরে মেজাজে আছেন তামিম-মুশফিকরা। এমনকি কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত হয়েই করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়ার বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমেও নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তামিম। দেশের জনসাধারণকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যাক্সিনেশনের উদ্যোগ দেশে তো বটেই দেশের বাইরেও অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। তাছাড়া তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনার টিকা নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গেছেন। তাই ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষে নিউজিল্যন্ডের গণমাধ্যম তামিম ইকবালের কাছে ভ্যাক্সিনেশনের অভিজ্ঞতা জানতে চায়। তাদের কাছে নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে তামিম বলেন, আমার মনে হয়, কোনো একটা পর্যায়ে সবাইকেই টিকা নিতে হবে। আমাদের দেশ অসাধারণ কাজ করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করেছেন। দারুণ কাজ করেছেন তিনি। জাতি হিসেবে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। শুধু আমরা ক্রিকেটাররাই টিকা পাচ্ছেন তা নয়। সাধারণ মানুষও ভ্যাকসিন পাচ্ছে এবং সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, সবার জন্য ফ্রি। জাতি হিসেবে আমরা যা করেছি, বাংলাদেশকে নিয়ে আমি গর্বিত। আমি নিশ্চিত অন্যান্য দেশও এটা অনুসরণ করবে এবং আগে হোক বা পরে, সবাইকে নিতেই হবে। আমি নিজেও প্রথম ডোজ নিয়েছি, খারাপ লাগেনি। দারুণ ছিল সবকিছু। এছাড়া ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে মুক্ত হয়ে মুশফিক-মিরাজরা বেশ আনন্দিত। এখন কুইন্সটাউনে ৫ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করবে টাইগাররা। আগামীকাল(বৃহস্পতিবার) কুইন্সটাউনে দীর্ঘদিন পর দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। নিজ শহর অকল্যান্ড থেকে সেখানে টাইগারদের সঙ্গে মিলিত হবেন ভেট্টোরি। এমনকি এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ অধ্যায়ের সমাপ্তি টানবেন তিনি। কেননা বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে ১শ দিন কাজ করবেন, বিসিবির সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করেছিলেন ভেট্টোরি। যা নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হচ্ছে। কুইন্সটাউনে ৫ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শেষে টাইগাররা ১৬ মার্চ চলে যাবে ডানেডিনে। সেখানে আগামী ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে তামিম বাহিনী। এরপর ২৩ ও ২৬ মার্চ হবে বাকি দুটি ওয়ানডে, ভেন্যু যথাক্রমে ক্রাইস্টচার্চ ও ওয়েলিংটন। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে হবে কুড়ি ওভারের সিরিজ। তামিম আশা করেন, অন্য আরও অনেক দেশই বাংলাদেশে অনুসরণ করে টিকা নেওয়ার পথে হাঁটবে। তামিমের ভাষায়, 'আমি নিশ্চিত অন্যান্যও দেশও এটা অনুসরণ করবে এবং আগে হোক বা পরে, সবাইকে নিতেই হবে। আমি নিজেও প্রথম ডোজ নিয়েছি। খারাপ লাগেনি, কোনো কিছু অনুভব করিনি। দারুণ ছিল সবকিছু।' | কুইন্সটাউনের মুক্ত আকাশে বাংলাদেশ দল |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ভারতের মেঘালয়ের একটি খনিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ১৫ জন শ্রমিকের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির নৌবাহিনীর আন্ডারওয়াটার রিমোট অপারেটেড ভেকেল (আরওভি)। বেআইনি র্যাট হোলের ভিতরে আটকে থাকা খনি শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্যে একসাথে কাজ করছে স্থানীয় কর্মী, এনডিআরএফ এবং ভারতীয় নৌসেনা। পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস-এর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার এসএস সেইম্লেইহ জানিয়েছেন, 'নেভির আরওভি একটি লাশের সন্ধান পেয়েছে। আজ আমরা আবার আরওভি'র সাহায্য নিয়ে খোঁজা শুরু করব।' ভারতীয় নৌ সেনার পক্ষ থেকেও ট্যুইটারের মাধ্যমে এই খবর জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, র্যাট হোলের গভীরতা ৬০ নয় ১৬০ ফুট। লাশটি র্যাট হোলের মুখ পর্যন্ত আনা গেছে। ডাক্তারদের উপস্থিতিতে সেটি খনির ভিতর থেকে বের করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনডিআরএফের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লাশটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেটি খনির ভিতর থেকে বের করে আনাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গত ১৩ ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী লিথিন নদীর পানিতে খনিটির একটি টানেল প্লাবিত হয়। এতে সেখানে কাজ করতে থাকা ১৫ জন শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েন এবং নিখোঁজ হন। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া | ভারতের খনিতে আটকে পড়ার ৩৫ দিন পর একজনের লাশ উদ্ধার |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | 'ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০' পেয়েছে ডেনিম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড ও শেল্টেক্। 'বৃহৎ শিল্প: টেক্সটাইল এবং আরএমজি' বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে এনভয় টেক্সটাইলস। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড এই পুরস্কারে ভূষিত হলো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।গত ২৯ মে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।একই অনুষ্ঠানে শেল্টেক্ (প্রাইভেট) লিমিটেড 'বৃহৎ শিল্প: ইস্পাত ও প্রকৌশল' বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে 'ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০' অর্জন করে। শেল্টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।প্রসঙ্গত, কুতুবউদ্দিন আহমেদ একই সঙ্গে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড ও শেল্টেক্ উভয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান,এবং তানভীর আহমেদ এনভয় টেক্সটাইলের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। | ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড পেল এনভয় টেক্সটাইলস ও শেল্টেক্ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। |
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উবারসহ অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাগুলোকে অবশ্যই আইনের মধ্যে আসতে হবে।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ আয়োজিত এক সচেতনতামূলক ক্যাম্পইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী এ সময় মালিক, চালক ও যাত্রী সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক তারকাও মন্ত্রীর সঙ্গে ক্যাম্পেইনে যোগ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে যে কোনো আধুনিক পদ্ধতিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সব সেবাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। এসব সেবার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।' উবার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আসলে তারা অনুমতি নেয়নি। তাই বলে আমরা এ সেবা বন্ধ করে দেব, তাও ঠিক নয়। আলোচনার মধ্য দিয়ে এটিকে নিয়মের মধ্যে আনা যায়।'
ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের পর মন্ত্রী চালক ও যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ ও গাড়ির কাচে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগিয়ে দেন। ক্যাম্পেইনে অংশ নেন চিত্রনায়ক ওমর সানি, অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার, কণ্ঠশিল্পী এসআই টুটুলসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারা। এ ছাড়া অংশ নেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত মঙ্গলবার রাজধানীতে চালু হয় হয় স্মার্টফোনের অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সিক্যাব সেবা উবার। কিন্তু গত শুক্রবার বিআরটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উবারসহ অন্যান্য সেবা অবৈধ। কারণ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিবন্ধিত গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। উবারে এ সুবিধা ছিল। | ;উবার অ্যাপসকে আইনের আওতায় আসতে হবে; |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান প্রায়ই আলোচনায় উঠে আসেন। সম্প্রতি তেমনই ভাইরাল হয়েছে তাঁর পেজ থেকে আপলোড করা ছোট্ট একটি ভিডিও ক্লিপ। কয়েক সেকেন্ডের এ ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, গহীন জঙ্গলে কিছু একটা ধরার জন্য ছুটছেন সাকিব। কিসের জন্য এবং কী পাওয়ার জন্য সাকিবের এ প্রাণপণ দৌড়, তা-ই নিয়েই আলোচনা এখন তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করছেন এবং ক্যাপশনগুলোও বেশ মজার, 'আবার কী হলো?', 'কই যাচ্ছে সাকিব?', 'টাইগার কি বাঘরে ধাওয়া করতেছে নাকি?', 'আর কত দৌড়াইবেন বস?' ইত্যাদি। ভিডিওর মন্তব্যের ঘরেও থাকছে ভক্তদের নানা রকম জিজ্ঞাসা ও অনুমাননির্ভর নানান মন্তব্য। কিন্তু আসলেই কী হচ্ছে? আর এই ভিডিওর রহস্যই বা কী! এ ব্যাপারে জানার জন্য সাকিব আল হাসানকে ফোন করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত বিপিএল নিয়ে ব্যস্ততায় তিনি মুঠোফোন থেকে দূরে আছেন। মাঠের বাইরে সব সময়ই সাকিবকে দেখা যায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে। তবে এবার কী এমন হলো অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এই অলরাউন্ডার। তবে কি এটি তাঁর নতুন কোনো ব্র্যান্ডের প্রচারণা? জানার অপেক্ষায় সবাই। | কিসের পেছনে ছুটছেন সাকিব |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভে প্রাণহানি বেড়েই চলছে। আজ শুক্রবারও মান্দালয় শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এতে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গ্রেপ্তার হওয়া দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আজকে বড় বড় শহর ও নগরে বিক্ষোভ হয়। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে 'প্রস্তর যুগের দিন শেষ। তোমাদের (জান্তা সরকার) হুমকিতে আমরা আর ভয় করি না।' বলে স্লোগান দেন। এ সময় তাঁদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। টেলিফোনে এক চিকিৎসক ও বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, আজ শহরটিতে পুলিশের গুলিতে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এদিকে প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসেন প্রায় ১০০ চিকিৎসক। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও শব্দবোমা নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনের পশ্চিমে অবস্থিত পাথেইন শহরে বিক্ষোভে অনেক নারী সু চির মুক্তির দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন। গত ১ ফেব্রুয়ারি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। গ্রেপ্তার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। অভ্যুত্থানের পর থেকে এর বিরুদ্ধে রাজপথে বিক্ষোভ করে আসছেন হাজারো মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৪ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। গত বুধবার ১ দিনে ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। সারা দেশে আটক করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি লোককে, যাঁদের মধ্যে আছেন ২৯ সাংবাদিকও। মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণ আজ শুক্রবার পার্লামেন্টে বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিজ দেশের মানুষের ওপর অস্ত্র ব্যবহার করেছে, এটা 'জাতীয় লজ্জা'। তিনি সহিংসতা বন্ধ করে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন ও অভ্যুত্থানের জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মিয়ানমারে সামরিক রসদ রপ্তানির ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক পণ্যের সুবিধা পেতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী ব্যক্তি ও তাঁদের অপরাধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। | মিয়ানমারে আবারও গুলি চালাল পুলিশ, নিহত ১ |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | গত মৌসুমে ব্যাট হাতে ফর্মে ছিলেন না পুরান। তিনি নিজেও ভাবেননি যে নিলামে তার দাম এমন আকাশচুম্বি হবে। ক্যারিবীয় তারকার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেকেআর এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর নাইটদের হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে হায়দরাবাদ। ১০.৭৫ কোটি দরে তারকাকে কেনে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি। সতীর্থের সাফল্যে কায়রন পোলার্ডরা যেমন অবাক হয়েছেন, তেমনই খুশি প্রত্যেকে। কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকে পুরানকে নিয়ে উৎসব থামছে না ক্যারিবিয়ান শিবিরে। নিলামে বিপুল অঙ্কের বিনিময়ে দল পাওয়া পুরান বায়ো-বাবলের মধ্যেই দলের সাজঘরে সতীর্থদের জন্য আয়োজন করেছিলেন পিজা পার্টির। যেখানে তিনি অর্ডার দিয়ে সতীর্থদের জন্য বানান ১৫ টি পিজা। তার জন্য পুরানকে খরচ করতে হয়েছে ১৫,০০০ রুপি। ক্যারিবীয় দলের ম্যানেজার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'বাইরের খাবারে যেহেতু অনুমতি নেই, তাই হোটেলের শেফের কাছে পুরান ১৫টি পিজ্জার অর্ডার করেন। গ্রেড ওয়ানের বায়ো বাবলের জন্য পিজার তাপমাত্রা, কীভাবে তা স্যানিটাইজ করা হবে, তা নির্ধারণ করার পরেই হোটেলের রুমে পাঠানো হয়। সবমিলিয়ে ১৫টা পিজা বাক্স ছিল। রুমে পাঠানোর আগে তা ভালভাবে স্যানিটাইজ করা হয়। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকেই (পুরান) সেই দাম মিটিয়ে দিতে হয়।' আপাতত নিলাম পেছনে সরিয়ে পুরান জাতীয় দলের জার্সিতে বুধবার ইডেনে প্থম টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমেছেন। পোলার্ডের অনুপস্থিতিতে পুরান দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ানদের। তবে টি২০ সিরিজে ফিট হয়ে উঠেছেন পোলার্ড। তিনিই নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে নিচ্ছেন। | ১০ কোটিতে দল পেয়ে খাওয়ালেন ১৫ হাজার রুপির পিজা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তালাক দেওয়ায় নার্গিস আক্তার নুপুর (২৭) নামে এক নারীকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কামারদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় নুপুরকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দগ্ধ নুপুর কামারদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেন তাজেমের মেয়ে এবং আহম্মেদপুর গ্রামের রাহাত আলীর ছেলে আবু তালেবের সাবেক স্ত্রী। নুপুরের বাবা আনোয়ার হোসেন তাজেম বলেন, আবু তালেব কয়েক বছর ধরে নার্গিস আক্তার নুপুরকে বিয়ে করে আমার বাড়িতেই থাকত। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই দ্বন্দ্ব-কলহ লেগে থাকত। এ কারণে সাত দিন আগে আমারমেয়ে আবু তালেবকে তালাক দেয়। সোমবার সন্ধ্যার পর নুপুর বাড়ির উঠানে হাঁটাহাঁটি করছিল। এসময় আবু তালেব তার মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে নুপুরের চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদরহাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকরা। তিনি চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, নুপুরের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ এসিডে ঝলসে গেছে। স্থানীয়রা জানান, আবু তালেব ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কলহ লেগে থাকতো। অতিষ্ঠ হয়ে নুপুর আবু তালেবকে তালাক দিতে বাধ্য হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। | স্বামীকে তালাক দেওয়ায় অ্যাসিডে পুড়তে হলো নুপুরকে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | লকডাউনে ঘরবন্দী থাকলেও সময়ের অপচয় করেনি মার্কিন কিশোরী মাকেনজি বিয়ার্ড। কচি হাতে রং-তুলির পরশে এঁকেছে চমৎকার কিছু ছবি। তার আঁকা একেকটি ছবি এখন বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার ডলারে।মাকেনজির বাড়ি ওয়েলসের সোয়ানসি শহরে। ১৪ বছর বয়সী এই কিশোরীর আঁকা প্রথম ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী সারা পড়ে যায়। ওই ছবিতে দেখা যায় হাস্যোজ্জ্বল এক কৃষকের প্রতিকৃতি। ওই ছবি মূলত তার পাশের বাড়ির এক কৃষক টকারের প্রতিকৃতি। একটি ট্রাক থেকে খড় নামানোর সময় ছবিটি তুলে এঁকে ফেলেছে সে। এই ছবি দেখে টকার ও টকারের আত্মীয়রাও আনন্দিত।ছবি আঁকা প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বিয়ার্ড বলে, 'আমার হাতে অবসর সময় ছিল। এদিকে আমার মা আঁকতে ভালোবাসতেন বলে রং, ক্যানভাস ও তুলি বাসায়ই ছিল। তাই ভাবলাম, ''কেন চেষ্টা করে দেখব না!'' এই চিন্তা থেকেই ছবি আঁকা চালিয়ে যাই।'পরে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিয়ার্ড। জায়গা করে নেয় রয়্যাল একাডেমি অব আর্টসে ইয়ং আর্টিস্টদের সামার শোতে। চলতি অক্টোবরের দিকে কার্ডিফের ব্ল্যাকওয়াটার গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয় তার কিছু ছবি। এর মাঝে তার দাদার হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবিও রয়েছে। এরই মধ্য থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের ক্রেতাদের কাছে বেশ কয়েকটি ছবি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছবির দাম হিসেবে একজন তাকে ১০ হাজার পাউন্ড দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।বিয়ার্ডের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তার আঁকা ছবির বেশির ভাগই থাকে শ্রমিক ও শিশুবিষয়ক। তবে বৃদ্ধ-তরুণের আনন্দ বা উদাসীনতাও উঠে এসেছে তার ক্যানভাসে। খেলাধুলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে চায় বিয়ার্ড। এর মাঝে আঁকাআঁকিও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে তার। তার ভাষায়, 'আমার মনে হয় না যে পেশা হিসেবে আমি একজন শিল্পী হতে চাই; শখ হিসেবে আঁকাআঁকি চালিয়ে যেতে চাই।' শেষ পর্যন্ত সে আসলেই কোন পথে ক্যারিয়ার গড়বে তা দেখার জন্য ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। | লকডাউনে কিশোরীর আঁকা ছবি বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার ডলারে |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে র্যালি, সাতার প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পানগুছি ও বলেশ্বর নদীতে নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ও কোস্টগার্ড শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আজম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় নৌ-র্যালিতে নেতৃত্ব দেন। সভা শেষে সমুদ্রগামী ৫০টি ট্রলারে দুটি করে লাইফ বয়া বিতরণ করা হয়। জাটকা সংরক্ষণ সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। বিডি প্রতিদিন/এমআই | জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে মোরেলগঞ্জে নৌ র্যালি |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পুনরায় চালু হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ গন্তব্যসমূহের মধ্যে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে বিমান এই ফ্লাইট চালু করবে।আজ সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও বুধবার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫১১ সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে সিলেট পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৫১২ প্রতি শনিবার ও বুধবার দুপুর ১টায় ছেড়ে গিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে। | সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ফের চালু হচ্ছে বিমানের ফ্লাইট |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দুদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার শহরের কমলপুরে হাজী জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউপিতে ৭০টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৭০ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও ৩০৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৮৮০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।দুদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সিনিয়র সহকারী সচিব মুর্শেদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন অফিসার আশ্রাফুল আলম ও ভৈরব উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা প্রমুখ। | নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউপির মধ্যে মাত্র ২টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। বাকি ৭ ইউপির মধ্যে ৬ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ১ টিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ হয়। তৃতীয় ধাপের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন।এ ছাড়া বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৪ জন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩ জন, জাতীয় পার্টির সমর্থক ১ জন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ১ জন।স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টি হিসেবে যে ৭ জন বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন উপজেলার অরুয়াইল ইউপিতে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া (লাঙ্গল), পাকশিমুলে কাউছার হোসেন (আনারস),চুন্টায় হুমায়ুন কবির (আনারস), কালিকচ্ছতে সায়েদ হোসেন (মোটরসাইকেল), সরাইল সদরে আব্দুল জব্বার (মোটরসাইকেল), পানিশ্বরে মোস্তাফিজুর রহমান (মোটরসাইকেল) ও নোয়াগাঁওয়ে মনসুর আহমেদ (চশমা)।আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলার শাহবাজপুর ইউপিতর খায়রুল হুদা চৌধুরী ও শাহজাদাপুর ইউপিতে মোসাম্মদ আসমা আক্তার। | সরাইলে ৯ ইউপির ৭টিতে হার আ.লীগের |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | নির্বাচন বাঁচাতে মেডিকেল বোর্ড গঠনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তার মতে, নির্বাচন এখন কতিপয় জটিল অসুখে আক্রান্ত। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গণতন্ত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন। একক ডাক্তারের পক্ষে তাকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ড গঠনের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যুপথযাত্রী গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো একান্ত অপরিহার্য। সিদ্ধান্ত নিতে হবে গণতন্ত্রহীন নির্বাচন চাই কি-না! রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে 'চলমান স্থানীয় নির্বাচন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ: আমার কথা' শিরোনামে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে এ কমিশনার বলেন, ৭ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের উপনির্বাচন আমি পরিদর্শন করেছিলাম। ইভিএমে ভোট গ্রহণে এখানে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু ভোটের টার্নআউট এত কম হওয়ায় জনগণের নির্বাচনবিমুখতা আমাকে হতাশ করেছে। অন্যদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বৈষম্য কেন তার কারণ বিশ্লেষণ প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম নগরের ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জামানত হারিয়েও একজন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ওই নির্বাচনে ২১ জন প্রার্থীর সবাই জামানত হারিয়েছেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিশ্বে নজিরবিহীন। তার মতে, এতে নির্বাচনে একটা নতুন ধারা সূচিত হলো। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিক মামলায় দুই বছরের অধিককাল জেলে রয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমঝোতা না হলে অরাজকতার আশঙ্কা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিভিন্নজনের তর্ক-বিতর্ক এখন তুঙ্গে। গত ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটা বাধ্যতামূলক হলেও সব ক্ষমতাসীন সরকার এটা লঙ্ঘন করেছে। সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থাকলে এই আইন করা অনস্বীকার্য। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সব দলের সমঝোতা ছাড়া এ আইন করা অসম্ভব। তবে আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। আইন প্রণয়ন নির্বাচনের অন্যতম বা প্রধান সোপান হলেও অবশ্যই তা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সমঝোতা না হলে দেশব্যাপী অরাজকতা ও প্রাণহানির আশঙ্কা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র। সংবিধানের চারটি মূলনীতিতে গণতন্ত্র সন্নিবেশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও যদি অন্ধকার ঘরে একটি কালো বিড়ালের মতো গণতন্ত্রকে খুঁজে ফিরি, এরচেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে? একজন ভোটার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসবে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি এই আকাঙ্ক্ষাটুকু পূরণ করতে পারবে না? | নির্বাচন বাঁচাতে মেডিকেল বোর্ড গঠনের বিকল্প নেই: মাহবুব তালুকদার |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শনিবার দিনভর সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই ছিল দমকা হাওয়া। দুপুরে উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকেই এ জেলায় জনমনে আতঙ্ক বেড়ে যায়। এদিকে সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করলেও গ্রামবাসী অনেকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না। পরে পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সহায়তায় অনেককে জোর করেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। জেলার ২৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয়েছে লক্ষাধিক মানুষের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ক্রমেই ঝড়ো হাওয়া বাড়ছিল। সন্ধ্যার আগেই নেমে আসে অন্ধকার। সঙ্গে বাড়ে বৃষ্টির বেগ। সুন্দরবন এলাকার নদ-নদীতে পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গ্রামবাসীকে একরকম জোর করেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে জেলে, মাঝি, বাওয়ালি ও শ্রমিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, জেলার তিনটি উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালীগঞ্জে ২৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ২৫২টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের জীবন রক্ষাই প্রধান দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি জানান, দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধপথ্য মজুদ রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং নৌ ও জলযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ব ও দুর্যোগ-পরবর্তী কাজে অংশ নিতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্যের টিম শ্যামনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন গাবুরা থেকে গ্রামবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছিল না। তবে দুপুরের পর থেকে তারা বাড়ি ছাড়তে রাজি হয়। পরে এলাকার ২৬টি সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্যোগকবলিত লোকজনকে সরিয়ে আনা হয়। তিনি জানান, একই উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ৯টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুসংখ্যক স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত মানুষের মধ্যে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, ২৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১০৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন সরিয়ে আনা হয়েছে। | মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে লক্ষাধিক মানুষ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখনও কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। ফলে বীরের জাতিকে এবার ঘরে বসে থেকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যান্ডতারকা মাহফুজ আনাম জেমস।
'নগরবাউল' ফেইসবুক পেজে তিনি লিখেন, বাঙালি চাইলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে যেতে পারে যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে, তার প্রমাণ আমরা ৭১ সালে দিয়েছি। কিন্তু এবারের লড়াইটা আলাদা, তাই লড়তে হবে একাই! মহামারি রুপ নেয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ সরকারও সাধারণের চলাচল সীমিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম | 'এবারের লড়াইটা আলাদা, লড়তে হবে একাই' |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে বহুগুণে। তাই কোভিড-১৯ টেস্ট কিট ক্রয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, সরকার কোভিড-১৯ টেস্ট কিট ক্রয় দ্বিগুণ করবে। এক্ষেত্রে তারা আরও ৫০ কোটি কিট ক্রয় করবে। এ নিয়ে তাদের কিটের সংখ্যা বেড়ে মোট একশ' কোটিতে দাঁড়াবে। এছাড়া হোয়াইট হাউস ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় কভিড-১৯ টেস্ট কিটের সহজলভ্যতার ঘাটতি, স্কুল খোলা রাখার প্রচেষ্টা ও মানুষের কাজ পাওয়া প্রশ্নে চাপের মুখে রয়েছে। বাইডেন তার দায়িত্ব প্রতিপালনের কথা তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। এক বছর আগে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের সময় প্রতিদিন ২০ লাখ মানুষের এ ভাইরাস পরীক্ষা করা হতো। সে তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি লোকের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে। সূত্র: এপি, ইউএসনিউজ বিডি প্রতিদিন/কালাম | ওমিক্রনে দিশেহারা আমেরিকা: ১০০ কোটি টেস্ট কিট বিতরণের ঘোষণা |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন করেছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদন প্রক্রিয়ার ধাপ পেরোতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটি অনুমোদন পেয়ে গেলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের জন্য অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় টিকা। এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন বায়োটেক ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। জনসনের টিকাটি ঘিরে প্রত্যাশা বেশি। কারণ, এতে দুটি বড় সুবিধা পাওয়া যাবে। একটি হচ্ছে এই টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়। আরেকটি হচ্ছে এটি এক ডোজের টিকা। একবার নিলেই হলো। জনসন অ্যান্ড জনসনের আবেদনের পর এফডিএর পক্ষ থেকে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হবে। টিকাটির পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ কমিটি তাদের মতামত দেবে। এর আগে ফাইজার ও মডার্নার টিকার অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তিন সপ্তাহ সময় লেগেছিল। তবে এবার এর চেয়ে সময় কম লাগতে পারে। এ কমিটির ইতিবাচক মতামত পেলে পরদিনই টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন মিলতে পারে। গত সপ্তাহের শেষের দিকে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের টিকা পরীক্ষার প্রথম ফল প্রকাশ করে। এ টিকা তারা ৮টি দেশের ৪৪ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করেছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, তাদের টিকাটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর। তবে শুধু গুরুতর পর্যায়ের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকাটি ৮৫ শতাংশ কার্যকর। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সহনীয় ও গুরুতর রোগ প্রতিরোধে তাদের তৈরি টিকা ৭২ শতাংশ কার্যকর। সে তুলনায় এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৭ শতাংশ কার্যকর। | যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে জনসন |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ফরিদপুর শহরে একসময় দাপিয়ে বেড়াত 'হেলমেট বাহিনী'। এরা রাস্তায় বের হলেই ছড়িয়ে পড়ত আতঙ্ক। এক সারিতে ১০-১২টি মোটরসাইকেল, প্রতিটিতে তিনজন। সবার মাথায় হেলমেট। এই বাহিনী নিয়েই চলতেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফোয়াদ। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখল থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি ছিলেন 'মহাক্ষমতাধর'। সেই ফোয়াদ অবশেষে ধরা পড়েছেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নেওয়া হয় ফরিদপুরে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে ফোয়াদের গ্রেপ্তারের খবর জানান। গতকাল তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।ফরিদপুরের মানুষ একপর্যায়ে ধরেই নিয়েছিল ফোয়াদ শেষ পর্যন্ত ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকবেন। কিন্তু ধর্মের কল ঠিকই বাতাসে নড়েছে। ফোয়াদ হলেন ফরিদপুরের রাজনীতিতে খন্দকার মোশাররফের বলয়ের গ্রেপ্তার হওয়া সর্বশেষ 'সিপাহসালার'। মোশাররফ হোসেনের পাশাপাশি তাঁর জামাতা সিরাজগঞ্জের সাংসদ হাবিবে মিল্লাতেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফোয়াদ। এর আগে এই বলয়ের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কয়েকজন জামিনে ছাড়াও পেয়েছেন। মোশাররফ হোসেনের প্রধান দুই সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারেই আছেন।গতকাল ব্রিফিংয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ফোয়াদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা আছে। তিনটি মামলায় পরোয়ানা ঝুলছে। এর মধ্যে একটি খুনের মামলায় তাঁকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। পরিবহনে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই সেই খুনের ঘটনা ঘটেছিল রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে। ছোটন বিশ্বাস নামের এক খ্রিষ্টান যুবককে খুন করা হয় বরকত ও তাঁর ভাই রুবেলের নির্দেশে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই মামলার অভিযোগপত্র থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়। পরে বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। সেই মামলায় ফোয়াদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।ফোয়াদের বিরুদ্ধে আরও আছে মানি লন্ডারিং মামলা। রুবেল বরকতের দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার তিনিও অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভি, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মাদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম নাসিম।পুলিশের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। ১৮ মে সুবল চন্দ্র সাহা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার আসামি হিসেবে ওই বছরের ৬ জুন রাতে শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বরকত, রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই ফোয়াদ আত্মগোপন করেন। তিনিও সেই মামলার আসামি।ফোয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত ছিল না। তাঁর হেলমেট বাহিনী ফরিদপুরে দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হামলা, ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। রুবেল ও বরকত বিভিন্ন মামলার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সেসব কথা স্বীকারও করেন।ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক তপন দেবনাথের বাড়িতে ২০১৯ সালের ১৫ মে হামলা করে হেলমেট বাহিনী। তারা পরিবারের সবাইকে বাড়ি থেকে বের করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। তপন দেবনাথের অপরাধ, তিনি ফরিদপুরের সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের ভগ্নিপতি। প্রবীর শিকদার এই বাহিনীর বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখি করেছিলেন। হেলমেট বাহিনী এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে প্রবীর শিকদারের ভাই সুবীর শিকদারের বাড়িতেও হামলা করে। অনেক দিন তপন দেবনাথ নিজের বাড়িতে উঠতে পারেননি। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক তাঁদের বাড়িতে তুলে দিতে ব্যর্থ হন। পরে ১ মাস ৯ দিন পর পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে তপন দেবনাথ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজের বাড়িতে ওঠেন।কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী একজন ব্যবসায়ী। ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে হাতুড়ি বাহিনীর ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তাঁর প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। সন্ত্রাসীরা তাঁকে, তাঁর ছেলেকে এবং গাড়িচালককে মারধর করে সোয়া পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ঘটনার প্রায় এক বছর পর তিনি মামলা করেন।পুলিশ জানিয়েছে, শামসুল আলমের প্রতিষ্ঠানে হামলার কথা দুই ভাই স্বীকার করেছেন। হেলমেট বাহিনীর প্রধান ফোয়াদ দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শহীদ সুফি সড়কের মজুমদার ড্রাগ হাউসের ব্যবস্থাপক মানিক চক্রবর্তীর কাছে ৮০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হাতুড়ি বাহিনী হামলা চালিয়ে মালিক দীপক মজুমদারকে আহত করে।ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ফোয়াদ ছিলেন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত নেতা। ২০০৮ সালের দিকে বরকত-রুবেল বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আশ্রয় নিয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদের সঙ্গে জোট বাঁধেন। সে সময় তাঁদের প্রধান ছিলেন মোশাররফ হোসেনের তৎকালীন এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জি ও আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম বাবু। তাঁদের দুজনকেই একটার পর একটা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে একচ্ছত্র হন ফোয়াদ। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হওয়ার আগে তিনি জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। মন্ত্রীর এপিএস হওয়ার পর তিনি হয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরের লোক। রুবেল-বরকত গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরের নিয়ন্ত্রকদের অন্যতম ছিলেন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বিপুল পরিমাণ আয়ও করেন।তবে ফরিদপুরের বাসিন্দারা বলছেন, রুবেল-বরকত গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত ফরিদপুরে কোনো ব্যক্তির ভাগ্য বা অবস্থান কী হবে, টেন্ডার কে পাবে, কে কোন পদে বসবে, সবকিছুর নিয়ন্তা ছিলেন বরকত-রুবেল ও ফোয়াদ। রুবেল-বরকতসহ কিছু নেতা গ্রেপ্তারের পর সেই রাজনীতিতে তিনটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। একটি ধারায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। আরেক পক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হক ও পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস।তৃতীয় পক্ষে আছেন 'মোশাররফপন্থী' হিসেবে পরিচিত নেতা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর সদরে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সবাই বলছেন, ফরিদপুরে সব অনৈক্যের পেছনেই আছে টাকাপয়সা নিয়ে গোলমাল। এখানে আদর্শ বলে কিছুই নেই। | হেলমেট বাহিনীর প্রধান ফোয়াদ পুলিশের জালে |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে সখীপুরে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ত্বিন ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুন। তাঁর বাড়ি উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামে। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স শেষ করে চাকরির স্বপ্ন দেখছিলেন মামুন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি তাঁর সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। পরে উদ্যোক্তা হয়ে নিজেই কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। মাত্র দুই বিঘা জমিতে ত্বিন ফলের চাষ করে এখন তিনি একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা।সরেজমিনে উদ্যোক্তা জাবিদ আল মামুনের ত্বিন ফলের বাগানে দেখা যায়, চারা রোপণের মাত্র ছয় মাসের মাথায় প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছে কলম দেওয়া হয়েছে, চলছে কলম চারা বিক্রিরও প্রস্তুতি। প্রতি কেজি ফল বিক্রি করছেন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।জাবিদ আল মামুন জানান, গাজীপুর থেকে ত্বিন ফলের চারা এনে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর বাড়ির সামনে এক বিঘা ও পার্শ্ববর্তী এক বিঘা জমির বাগানে এক হাজার গাছ রয়েছে। প্রতিটি চারার দাম পড়েছিল পাঁচশত টাকা করে। প্রতিটি গাছেই আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল সবার দৃষ্টি কেড়েছে। পবিত্র কোরআনের আত-ত্বিন সুরায় বর্ণিত মরুভূমির এই মিষ্টি ফল ত্বিনের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন বাগান দেখতে আসেন।তিনি আরও জানান, প্রতিটি গাছ থেকে প্রথম বছরেই তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ফল তোলা যায়। পরিপূর্ণ বড় গাছে বছরে ২৫ কেজি পর্যন্ত ফল ধরে। ত্বিন চাষে বেকারত্ব দূরের পাশাপাশি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন এই উদ্যোক্তা। ত্বিন বাগান ও চাষ পদ্ধতি জানতে চাষি, সাধারণ মানুষ বাগানটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিদর্শনে আসা বিভিন্ন চাষি ও সাধারণ মানুষ ত্বিন ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।মামুনের বাগানে আসা দর্শনার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে এই ফলের নাম শুনেছি। গাছ এবং ফল দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। সখীপুরে এটিই প্রথম ত্বিন ফলের বাগান। ফল এবং সবুজ গাছগুলো দেখে মন ভরে গেছে। অনেকেই এখন এ রকম একটা বাগান করার ইচ্ছা পোষণ করছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, 'সখীপুরে এটিই প্রথম ত্বিন ফলের বাগান। আমরা বাগানটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। রোগবালাই নেই বললেই চলে। দেশের প্রচারমাধ্যমে ত্বিন ফলের চাষ কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে এবং এটি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে ত্বিনের আমদানিনির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বাড়বে।' | ত্বিন ফলের বাণিজ্যিক চাষে স্বপ্ন বুনছেন মামুন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | কক্সবাজার ও বান্দরবানের পাঁচ উপজেলায় প্রবাহিত মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর দুই তীরের উর্বর জমিতে থামছেই না তামাক চাষ। কৃষকেরা তামাক কোম্পানিগুলোর নানা প্রলোভনে পড়ে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জেনেও অনেকেই তামাক চাষ ছাড়তে পারছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এদিকে পরিবেশবাদীদের অভিযোগ-তামাকে অতিরিক্ত কীটনাশক ও সার প্রয়োগের ফলে নদীদূষণ বেড়েছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। পাশাপাশি তামাক পোড়ানোর জন্য সংরক্ষিত বন ও ভিটেবাড়ির গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে।জানা গেছে, বর্ষায় নদীর দুকূল উপচে ঢলের পানিতে পলি জমে। আর সেই উর্বর জমির বেশির ভাগই তামাকের দখলে চলে গেছে। অথচ নদীর আশপাশের কম উর্বর জমিতে বাদাম, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি ও বোরোর আবাদ হয়েছে।মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামু এবং বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কী পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। সংশ্লিষ্টদের মতে, নদীতীরের জমির বেশির ভাগই সরকারি খাস ও সংরক্ষিত বনভূমি।কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে চকরিয়া ও রামু উপজেলায় ২ হাজার ৯৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীসহ আশপাশের ছড়া ও খালের দুই তীর এবং সংরক্ষিত বনভূমিতে তামাক চাষ হলেও এসবের হিসাব কৃষি বিভাগে নেই।কক্সবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এখলাছ উদ্দিন জানান, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানো ও এর ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। তারপরও তামাক চাষ রোধ করা যাচ্ছে না।চাষিদের দেওয়া তথ্যমতে, যে জমি রবিশস্যের জন্য প্রতি কানি (৪০ শতক) ১০ হাজার টাকা খাজনা বা লাগিয়ত পান জমির মালিকেরা, সে জমি ২০-২৫ হাজার টাকায় তামাকের জন্য লাগিয়ত করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের বাধ্য হয়ে তামাক চাষই করতে হয়।মানিকপুর-সুরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি জেনেও কৃষকেরা তামাক কোম্পানিগুলোর ঋণসহায়তা ও লোভনীয় উদ্যোগের ফলে তামাক চাষ ছাড়তে পারছে না।রামুর গর্জনিয়া এলাকার একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল হক বলেন, কৃষকেরা তামাক চাষে লাভের চেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। কয়দিন পর তামাক পোড়ানোর গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠবে।দীর্ঘদিন ধরে তামাকের আগ্রাসন বন্ধে কাজ করছে উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ)। পরিবেশবাদী এই সংগঠনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন খান জানান, তামাকের কারণে নদীদূষণ যেমন বেড়েছে, তেমনি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ বন উজাড় হয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটেছে; যা বিগত দুই দশকের পরিবেশ-প্রকৃতি তুলনা করলে সহজেই অনুমেয়।কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, এ বছর বাঁকখালী নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় তামাক চাষ হয়েছে; যা গত বছর ছিল ৫০ কিলোমিটার এলাকায়। এভাবে তামাক চাষ বাড়লে খাদ্যোৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে বলে মনে করেননি তিনি। | থামছেই না তামাক চাষ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | পেনাল্টি শুট আউটে জুভেন্টাসকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে আজ কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জয় করেছে নাপোলি। ২০১৪ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো কোপা ইতালিয়ার শিরোপা জিতেছে দলটি। ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেনি দুদলের কেউ। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২টি সুযোগ পেয়েও তা গোলে রূপান্তর করতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে জুভেন্টাসের জাল লক্ষ্য করে মূহুমুহু আক্রমণ শুরু করে নাপোলি। তবে তারাও কোনো গোল তুলে নিতে পারেনি। তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হতে যখন মাত্র ২ মিনিট বাকি ঠিক তখনই কর্ণার কিক থেকে প্রায় একটি গোলই করে ফেলেছিল নাপোলি। কিন্তু জুভেন্টাস গোলরক্ষক বাফোনের দক্ষতায় সেই গোলটি হজম করা থেকে বেঁচে যায় ওল্ড লেডিরা। কিন্ত পেনাল্টি শ্যুট আউটে গিয়ে ঠিকই তাদের ম্যাচটি হারতে হয়। এদিকে ম্যাচটিতে জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম পেনাল্টি শট নিতে আসেন পাওলো দিবালা। কিন্তু দিবালার শট ঠেকিয়ে দেন নাপোলির গোলরক্ষক অ্যালেক্স ম্যারেট। তবে নাপোলির হয়ে নেয়া অধিনায়ক ইনসিগনের শট ঠেকাতে পারেননি জুভেন্টাসের গোলরক্ষক বাফোন। এরপর জুভেন্টাসের হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে এসে তা গোলবারের উপর দিয়ে মেরে দেন ডানিলো। অপরদিকে নাপোলির হয়ে দ্বিতীয় শট নেয়া পলিটানো ঠিকই গোল করতে সমর্থ হন। এরপর জুভেন্টাসের হয়ে বুনোসসি তৃতীয় শট নিয়ে দলকে প্রথম গোল এনে দেন। নাপোলির হয়ে তৃতীয় শট নিয়ে নিকোলা মাকসিমোভিকও গোল করতে সমর্থ হন। অন্যদিকে জুভেন্টাসের হয়ে চতুর্থ শট নিয়ে গোল করেন অ্যারন রামসে। এরপর তাদের অপেক্ষা ছিল নাপোলি যদি তাদের নেয়া চতুর্থ শটটি মিস করে। কিন্তু সেটি আর হয়নি। নাপোলির হয়ে চতুর্থ শট নেয়া মিলিকও গোল করেন। আর এরফলে তাদের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। যদি নাপোলি চতুর্থ শটটি মিস করতো তাহলে জুভেন্টাসের হয়ে পঞ্চম শটটি নিতে আসতেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সেটির আর প্রয়োজন হয়নি, রোনালদোর পেনাল্টি শট নেয়ার আগেই শিরোপা হারিয়ে বসে জুভেন্টাস। | জুভেন্টাসকে হারিয়ে শিরোপা জিতল নাপোলি |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। |
সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা বাংলায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত বদরুল আলম আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। এসময় তাকে নির্লিপ্ত দেখা গেছে।
পরে আদালত থেকে বের করার সময় করিডোরে বদরুল বলেন, 'এই রায় আবেগী।' এ সময় 'জয় বাংলা...' শ্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে বিচারক ৩০ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করে দুপুর ১২টায় রায় দেন। ৩০৭, ৩২৪, ৩২৬ ধারায় বদরুল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এ রায় ঐতিহাসিক। বিশ্ব নারী দিবসে আদালতের এ রায়ে নার্গিস ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান বদরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী।
খাদিজার চাচা আব্দুস কুদ্দুস বলেন, সরকার, সাধারণ মানুষ, মিডিয়া, আইনজীবীসহ সবার সহযোগিতায় তারা সুবিচার পেয়েছেন। তিনি এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে বান্ধবীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পথে এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে খাদিজার ওপর ধারালো চাপাতি নিয়ে হামলা চালায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল। এতে গুরুতর আহত হন খাদিজা।
হামলার পরদিন সমকালের প্রথম পাতায় 'সিলেটে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করল ছাত্রলীগ নেতা' শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া হামলার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
দীর্ঘদিন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল ও সর্বশেষ সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটে ফেরেন খাদিজা।
| এই রায় আবেগী: বদরুল |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো অনশন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালেও উপাচার্য বাসভবনের সামনে দেখা যায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের। এদিকে, চলমান এ আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত পৌনে ৯টায় শাবি'র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক ভিসির বাসভবনের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যান। তারা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙতে বলেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দেন। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে শিক্ষকরা একমত কি না সেই বিষয়ে উত্তর জানতে চান শিক্ষার্থীরা। তবে, পদত্যাগের দাবির বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষকদের কথা বলার সুযোগ দেননি শিক্ষার্থীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শিক্ষকবৃন্দ অনশনস্থল ত্যাগ করেন। গত রবিবার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদত্যাগের পাশাপাশি পুলিশের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। পদত্যাগের ঘোষণা না আসায় বুধবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৪ জন শিক্ষার্থী এবং পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। এদিকে, রাত পৌনে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধানসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপাচার্য বাসভবনের সামনে আসেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির পদত্যাগের সঙ্গে একমত হলেই শিক্ষকদের কথা শুনবেন ও আলোচনা করবেন তারা। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশসহ অন্য শিক্ষকরা কথা বলার চেষ্টা করলে কথা না শোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হ্যান্ডমাইকে শিক্ষকরা বলেন, এ"ই ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষক, উপাচার্য স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারবে না। হামলার বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত থাকলে উপাচার্যকে চলে যেতে হবে। কারো গুলি করা, বোমা মারার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকে চলে যেতে হবে।" মামলা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের কিছু হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা। কিন্তু, শিক্ষকদের সেই প্রস্তাব না মানায় সাড়ে ১১টায় অনশলস্থল ত্যাগ করেন শিক্ষকরা। আরও পড়ুন -শাবি শিক্ষকদের একাংশ: 'নোংরা' স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক পরিস্থিতি এবং রবিবারের ঘটনা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রবিবার বিকেলে নির্ধারিত ডিন মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য বের হলে শিক্ষার্থীরা ভিসি কার্যালয়ের সামনে পথ আটকে দেয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রাণ রক্ষার্থে ভিসিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের তালা মেরে আটকে দেয়। শিক্ষকরা ভিসিকে মুক্ত করতে আসলে শিক্ষার্থীরা কোষাধ্যক্ষকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আসতে বলেন এবং কোষাধ্যক্ষ দাবি মেনে নিয়ে ভিসির কাছে যাওয়ার জন্য তালাবদ্ধ গেইট অতিক্রমকালে হঠাৎ অস্থিরতা তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে উপস্থিত শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ অব্যাহত থাকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আহত হন। পুলিশের ভাষ্যমতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিলেও ভিসির উপর হামলার দায় বর্তাবার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রশাসন। ডিনদের বিবৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিনে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ও বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ। বুধবার বিকালে বিজ্ঞপ্তিতে ডিনবৃন্দ বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিনে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হওয়ায় আমরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী লাঞ্ছিত হওয়ায় আমরা মর্মাহত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের চরম অবনতি হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।" বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অগ্রগতি ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বার্থে সকলের পারস্পরিক সহযোগিতা কামনা করেন ডিনবৃন্দ। বিবৃতিতে ডিনদের মধ্যে স্বাক্ষর করে অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক দিলারা রহমান, অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম। সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত করেন। সাবেক শিক্ষার্থীদের একাত্মতা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এবার সাবেক শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারা নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক মানবন্ধন ও সমাবেশ পালনকালে এ ঘোষণা করেন। এ সময় তারা হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ব্যানারে বিভিন্ন দাবি দাওয়া লিখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ভিসিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এ সময় বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের প্রেক্ষিতে তিনদফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জলঘোলা করার পর সেই প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়েছে, লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরাও উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।" | অনশনের দ্বিতীয় দিনে শাবি শিক্ষার্থীরা |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তারা গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তার দুই জন হলেন, চরলক্ষ্যা খুদ্দ্যেরটেক এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের মো. নাছিরের ছেলে মো. রুবেল প্রকাশ হাট্টা রুবেল (২২) ও তার বড় ভাই মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৫)। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।' স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর কর্ণফুলী থানাধীন চরপাথরঘাটা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে অটোচালক মো. ইয়াছিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চালক মো. ইয়াছিন লোকজন নিয়ে আসার জন্য তার ভাই মো. রুবেলকে ফোন করে। রুবেল ও তার সহযোগী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ছেলে মো. জানে আলমের সামনে বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্মম ও নৃশংসভাবে কোমরের উপরে বাম পাশে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। | চট্টগ্রামের হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | আইপিএল শুরু হওয়ার দু'দিন আগে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে ফের চেন্নাই সুপার কিংসের দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাকে। নিজের খেলার প্রতি মন দিতে জাডেজা অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে সিএসকে। ঠিক কী হয়েছিল এই সময়ে? কেন ফের দায়িত্ব নিতে রাজি হলেন ধোনি? ম্যাচ শেষে তা নিজেই জানালেন ধোনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ধোনি বলেন, "এই মৌসুমের আগেই আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম আর অধিনায়ক থাকব না। জাডেজা জানতো ওকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাই মানসিক ভাবে নিজেকে তৈরি করার সময় ও পেয়েছিল। হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।" খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। জাডেজা অধিনায়ক হলেও ম্যাচের মধ্যে অনেক সময় দেখা যাচ্ছিল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ধোনি। সেই নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন অনেকে। সেই বিষয়েও মুখ খোলেন ধোনি। তিনি বলেন, "জাডেজা প্রথমবার অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। তাই প্রথম কয়েকটা ম্যাচে ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে ওকে বলেছিলাম সব দায়িত্ব ওকেই নিতে হবে। কখনও যেন মনে না হয় এক জন টস করতে যাচ্ছে আর অন্য জন অধিনায়কত্ব করছে। অধিনায়কত্ব চামচে করে খাইয়ে দেওয়া যায় না। একটা সময় পর্যন্ত সাহায্য করা যায়। তার পরে নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হয়।" প্রথম আট ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে বিশেষ সফল হতে পারেননি জাডেজা। মাত্র দু'টি ম্যাচে জয় এসেছিল। সেই কারণেই কি ফের নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিলেন ধোনি? তার জবাবে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক বলেন, "জাডেজার খেলা খারাপ হচ্ছিল। ওর মাথায় সারাক্ষণ অধিনায়কত্ব ঘুরছিল। তার প্রভাব খেলায় পড়ছিল। অধিনায়ক জাডেজার থেকে ব্যাটার, বোলার ও ফিল্ডার জাডেজার সিএসকেকে দরকার। তাই আমি ফের দায়িত্ব নিয়েছি। কারণ এই তিন ক্ষেত্রে জাডেজা নিজের সেরাটা দিতে পারলে সেটা আমাদের অনেক বেশি উপকারে লাগবে।" | নেতৃত্বে ফিরেই চেন্নাইকে জেতালেন ধোনি |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান দিয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজ করছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, নিরপেক্ষ নির্বাচন ও চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | বর্তমান সংবিধান দিয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় : রিজভী
|
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | নওগাঁর নিয়ামতপুরে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কার্যক্রমের প্রথম দিনে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ৭১৩ জন শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়।টিকা নিতে আসা নাজনীন জানায়, টিকা নিতে পেরে খুশি সে। টিকা নিতে প্রথমে ভয় ছিল, কিন্তু নেওয়ার পর সেটি কেটে গেছে।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ বলেন, পর্যায়ক্রমে সবাই টিকার আওতায় আসবেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকাদান চলমান প্রক্রিয়া। কোনো রকমের ভয় না রেখে তিনি শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। | টিকা পেল একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে রাজধানীসহ ঢাকা জেলায়। রোগীর সংখ্যা দ্রুত কমায় হাসপাতালে চাপও নেই। সরকারি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৮ শতাংশ আইসিইউ শয্যা খালি ছিল।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রোগী শনাক্ত হন ৬২০ জন। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের দিন ১৬ হাজার ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৯৮ জন। শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ঢাকায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৭০৬ জনের এবং শনাক্ত ৭ লাখ ৪১ হাজার ১৫০ জন।দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় রাজধানীর প্রায় অর্ধশত সরকারি-বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীর চাপও কমে এসেছে। কিছুদিন আগেও করোনায় সংক্রমিত রোগীকে ভর্তি করাতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হয়েছে স্বজনদের। শুধু আইসিইউ নয়, সাধারণ শয্যা পেতেও পোহাতে হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। তবে সংক্রমণ কমে আসায় এখন নির্বিঘ্নেই রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকার ১৭টি সরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা বরাদ্দ আছে ৩ হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে গতকাল খালি ছিল ২ হাজার ৮২৬টি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউ শয্যা সরকারিভাবে বরাদ্দ আছে ৩৮২টি। এর মধ্যে গতকাল খালি ছিল ২২১টি, যা মোট শয্যার ৫৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের দিন খালি ছিল ২১২টি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ৫৭৬টি। এর মধ্যে গতকাল শয্যা খালি ছিল ১ হাজার ২৮৬টি। আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৪২১টি। এর মধ্যে গতকাল খালি ছিল ৩৬৪টি। আগের দিন খালি ছিল ৩৫৭টি। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে ৫ হাজার ৪৬৬টি। এর মধ্যে গতকাল খালি ছিল ৪ হাজার ১১২টি। আইসিইউ ৮০৩টির মধ্যে গতকাল পর্যন্ত খালি ছিল ৫৮৫টি। আগের দিন খালি ছিল ৫৬৯টি।২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। | ঢাকার করোনা হাসপাতালগুলোতে চাপ কমছে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | রাজশাহীতে গতকাল বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ছিল এটি। এর মধ্য মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলো রাজশাহীতে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রাজশাহীতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ছিন্নমূল নিম্নআয়ের মানুষ রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার সূর্যের দেখা মিললেও উষ্ণতা না থাকায় শহরে মানুষের চলাচলও কিছুটা কমে আসে। শুক্রবার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কোনো কারণে তাপমাত্রা না কমলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম জানান, বৃহস্পতিবার দিন শুরু হয়েছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। এ দিন বেলা ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলো এখানে।আবহাওয়া অফিসের হিসাবে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের থাকলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয় তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। | মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার থেকে । ক্লাস শুরুকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলের কক্ষে, গণরুমে ও ক্যাম্পাসের আশেপাশের বিভিন্ন মেসে উঠেছেন। তবে এসব শিক্ষার্থীদের ভদ্রতা শেখানোর নামে ক্যাম্পাসে চলছে র্যাগিংয়ের মতো নিষিদ্ধ কার্যক্রম। ইবি প্রশাসন র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিলেও একদল শিক্ষার্থীরা এসব কার্যক্রম করে নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইবির লালন শাহ হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হলসহ বিভিন্ন আবাসিক হলের গণরুমে র্যাগিং চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইবি প্রশাসন র্যাগিং প্রতিরোধে ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন। লালন শাহ হলের সর্ব দক্ষিণ ব্লকের নিচতলার গণরুমে, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দক্ষিণ ব্লকের চারতলায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দেশীয় ব্লকের গণরুমগুলোসহ বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোতে চলছে র্যাগিংয়ের কার্যক্রম। কে বা কারা শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টির লক্ষ্যে এসব কাজ করছে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগে ভর্তি হওয়া এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের এক আবাসিক হলে উঠেছি। ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে ক্যাম্পাসে। এতোমধ্যে কিছু বড় ভাই এসেছে আমাকে নানা প্রশ্ন করে জর্জরিত করেছে। ক্যাম্পাস লাইফে আমরা স্বাধীনতা চাই। ইতোমধ্যে প্রশাসন র্যাগিং প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সম্পূর্ণ র্যাগিং বন্ধে এবং র্যাগিং সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে সহকারী প্রক্টরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন। এবিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি র্যাগিংয়ের ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছি এবং হাউজ টিউটরদের নিয়ে মুভও করেছি। র্যাগিং দমনে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং এ সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টরদের জানানোর অনুরোধ করছি।' উল্লেখ্য, গত বছর ইংরেজি বিভাগ, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগ সহ কয়েকটি বিভাগে র্যাগিংয়ে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোট ১০ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করে প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষককে শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং দেয়ার মতো ঘটনা। | র্যাগিং আতঙ্কে ইবির নবীনরা, প্রতিরোধে ব্যবস্থা |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | মুজিব বর্ষ উপলক্ষে কয়রা উপজেলায় সাত বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীর নিবাস। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য 'বীর নিবাস' নির্মাণের খবরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।জানা গেছে, সরকার সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেন।কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প নির্মাণের সিলেকশন কমিটির সভাপতি অনিমেষ বিশ্বাস গত অক্টোবরে ১২ জনের নামের প্রস্তাবনা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। ১২ জনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ৭ জনের নাম অনুমোদন করে। 'বীর নিবাস'র জন্য চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফ্ফর হোসেন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক মোড়ল, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বর্গীয় সুধাংশু মণ্ডল, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাজেদ গাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার গাজী।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর নিবাস দেওয়া হবে। সাতটি বীর নিবাস নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৯৪ লক্ষ ৫ হাজার ৩২৬ টাকা। প্রতিটি বীর নিবাসে দুটি বেডরুম, একটি ডাইনিং, দুটি টয়লেট ও একটি কিচেন থাকছে। বীর নিবাসের কাজ শুরুর জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের দরপত্র আহ্বান শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বীর সন্তানদের হাতে বীর নিবাস তুলে দেওয়া হবে। | বীর নিবাস পাচ্ছেন কয়রার ৭ মুক্তিযোদ্ধা |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | সেই ঘটনা নিয়ে আলোচনা এখনো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ভুলতে পারেননি। তাঁরা কিছুদিন পরপর সম্মিলিত প্রয়াসে নিজেদের 'কাণ্ড' তুলে ধরলে ভক্তদেরই-বা আর কী করার থাকে! কিন্তু মোহাম্মদ আসিফ এই বেলা আর সহ্য করতে পারলেন না। শোয়েব আখতারকে সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, চুপ করো! শোয়েব-আসিফের সঙ্গে 'ঘটনা' ও বিতর্ক শব্দ দুটি জুড়ে দিলে একটি স্মৃতিই উঠে আসে সবার আগে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে শোয়েবের দেশে ফিরে আসা। কারণ? সতীর্থ আসিফকে ব্যাট দিয়ে পিটিয়েছেন। তখন থেকেই এ ঘটনা নিয়ে কথা হচ্ছে। শোয়েব আত্মজীবনীতে বলেছেন, আসিফও চুপ থাকেননি। সাম্প্রতিক সময়ে আবারও স্মৃতিচারণা করেছেন শহীদ আফ্রিদি। সংবাদমাধ্যম আফ্রিদিকে অবশ্য জিজ্ঞেস করেছিল, তিনি বলেছিলেন, 'আমরা একটা বিষয় নিয়ে মজা করছিলাম। আসিফ সেখানে আমার পক্ষ নেয়। শোয়েব তখন রেগে যায় আর এটা-ওটা হতে হতে অমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে।' এর বাইরে শোয়েবকে সুন্দর হৃদয়ের মানুষও বলেছিলেন আফ্রিদি। ওদিকে 'পিন্ডি এক্সপ্রেস' শোয়েব আগেই তাঁর আত্মজীবনী 'কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইয়োরস' বইয়ে সেই ঘটনা বাজে পর্যায়ে চলে যাওয়ার জন্য আফ্রিদিকে দায়ী করেছিলেন, 'আফ্রিদি পরিস্থিতিটাকে আরও ফেনিয়ে তুলছিল। শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে আমি তাদের দুজনকেই ব্যাট দিয়ে বাড়ি দিই। আফ্রিদি কোনোভাবে সরে যেতে পেরেছে। কিন্তু আসিফ পারেনি।' এখন মুখ খুললেন মোহাম্মদ আসিফ। পাকিস্তানের সাবেক এ পেসার মনে করেন, শোয়েব এ ঘটনা ১৩ বছর ধরে ফেনিয়ে ফেনিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁর এসব ভুলে যাওয়া উচিত। পাকিস্তানের ওয়েবসাইট 'পাক প্যাশন'কে আসিফ বলেন, '২০০৭ সালে ড্রেসিংরুমের সেই ঘটনা ১৩ বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে শোয়েব আখতার। সে এ ঘটনা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। কিন্তু আমি মনে করি, যথেষ্ট হয়েছে। কিছুদিন আগে তাকে ফোন করে বলেছি, মুখ বন্ধ করতে এবং ঘটনাটা ভুলে যেতে। এটা এখন অতীত। তাকে বলেছি, প্রতিটি সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে না বলে তরুণদের সে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, সেসব নিয়ে কথা বলা উচিত। ভালো কিছু বলা উচিত। সে আজ পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক হতে চাইছে তো কাল প্রধান কোচ কিংবা পিসিবি চেয়ারম্যান হতে চায়। তার বাস্তবতায় ফেরার উচিত এবং ১৩ বছর আগে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নিয়ে বারবার কথা না বলে তরুণদের সাহায্য করা উচিত।' আসিফ পাকিস্তান ক্রিকেটে আক্ষেপের এক নাম। অমিত প্রতিভা নিয়ে আসা এই পেসারকে ধরা হচ্ছিল ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসদের কাতারে। ২০১০ লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় আসিফের। পাকিস্তানের হয়ে ২৩ টেস্ট ও ৩৮ ওয়ানডে খেলা সাবেক এই পেসার ওয়াসিমদেরও ছাড়িয়ে যেতে পারতেন বলে মনে করেন অনেকে। অন্যদিকে শোয়েব তাঁর ক্যারিয়ারে গতির ঝড় তুলে আলোচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে। | শোয়েবকে আজেবাজে কথা বলতে নিষেধ করেছেন আসিফ |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর শহরে নেই কোনো ভালো গণশৌচাগার। যে শৌচাগারগুলো রয়েছে, সেগুলো অপরিচ্ছন্ন, ব্যবহারের অনুপযোগী। এতে বিশেষ করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গণপরিবহনের যাত্রী ও নারীদের।জানা গেছে, রামগড় পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা এটি। রামগড় পৌর শহরে বাজার এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য শৌচাগার রয়েছে দুটি। মূল বাজার এলাকা, বাসস্ট্যান্ড এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে নেই কোনো শৌচাগার। মূল বাজার এলাকা থেকে ২০০ গজ দূরে একটি শৌচাগার আছে। সেটিও অপরিচ্ছন্ন। নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা।বাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে কৃষি ব্যাংকের বিপরীতে আরেকটি শৌচাগার আছে। শৌচাগারটি জরাজীর্ণ। ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শৌচাগারের বাইরে ও ভেতরে দুর্গন্ধ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। নারীদের জন্য আলাদা কোনো শৌচাগার নেই।রামগড় পৌর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবির শরীফ বলেন, 'টয়লেটে যেতে হলে ইজারাদারকে পাঁচ টাকা করে দিতে হয়। অনেক সময় পানি পাওয়া যায় না। ভেতরে খুবই অপরিষ্কার অবস্থা। দুর্গন্ধে টেকা দায়।'বাজার করতে আসা নারী সালমা আক্তার বলেন, 'টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের টয়লেট ব্যবহার করতে একটু সংকোচও লাগে। কিন্তু মেয়েদের জন্য তো সব টয়লেটে যাওয়া সম্ভবও হয় না।'রামগড় পুলিশ বক্সে কোনো শৌচাগার নেই। এ বিষয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, পুলিশ সদস্যদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আশপাশের মার্কেট, হাসপাতাল বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে যেতে হয়। সন্ধ্যার পর এসব অফিস বা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়। নারী পুলিশ সদস্যদের ভোগান্তি চরম।রামগড় প্যানেল মেয়র আহসান উল্ল্যাহ বলেন, স্কুলের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের কারণে মূল বাজারে শৌচাগারটি করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'বাস ও সিএনজির মালিক সংগঠনের নেতারা লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। তাঁরা চাইলে রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নতমানের শৌচাগার করে দিতে পারেন।'রামগড় বাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের ওপর চাপানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। চাঁদা আদায়ের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।রামগড় পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিনের মধ্যেই শহরের মূল কেন্দ্রে আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ করবেন। | শৌচাগারের অভাবে দুর্ভোগ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার অফিস বলতে সপ্তাহের ছয় দিন কাজ। এক দিন ছুটি। আর সরকারি অফিস চলে সপ্তাহে পাঁচ দিন আর দুই দিন ছুটি-এটাতেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু সপ্তাহে টানা চার দিন কাজ, টানা তিন দিন ছুটি চলে একটি প্রতিষ্ঠানে। কর্মীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়াতে-এমনই নিয়ম চালু করে ফেলল একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। লাইভ মিন্ট ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা টিএসি সিকিউরিটির কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজ করেন। আর শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা ছুটি ভোগ করেন। সাত মাস ধরে এ নিয়মেই চলছে অফিস। টিএসি সিকিউরিটির সদর দপ্তর আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে, ভারতের মুম্বাইয়ে তাদের অফিস আছে। গত সোমবার টিএসি বিবৃতি দিয়েই তাদের অফিসের কর্মদিবস ও ছুটির কথা জানিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ কোম্পানির দাবি, যদি এ নিয়মে কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং কর্মীরা খুশি থাকেন, তাহলে মুম্বাই অফিসে স্থায়ীভাবে চার দিন কাজের নিয়ম কার্যকর করা হবে। কোম্পানিতে কাজ করেন প্রায় ২০০ জন কর্মী। ভবিষ্যতে চার দিন ছুটি কর্মক্ষেত্রে কার্যকর করতে চায় টিএসি। চার দিন ছুটির বিষয় মাথায় রেখেই এগিয়ে চলে কোম্পানির কর্মপরিকল্পনা। তাদের ভাষ্য, এতে কর্মীরা অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন। টিএসি সিকিউরিটির সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ত্রিশনেত অরোরা বলেন, 'আমরা সব সময় আমাদের লক্ষ্যে অবিচল। আমাদের কর্মীদের বেশির ভাগের বয়স কম। তাই কর্মীদের চাপ কমাতে আমরা যেকোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই পারি। কর্মদক্ষতা ও সৃজনশীলতার মান বজায় রেখেও কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়। আমরা সবার জন্য একটা দৃষ্টান্তও তৈরি করতে চাই।' প্রতিষ্ঠানটি অফিসের কর্মীদের নিয়ে একটি জরিপ করেছে। কর্মীদের ৮০ শতাংশই এ চার দিনের অফিসের নিয়মে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, এর ফলে তিন দিন ছুটি মেলে। এ সময় পারিবারিক কাজ ও পেশা দক্ষতার জন্য বিভিন্ন কোর্সও করা যায় অথবা পড়াশোনা করা যায়। আর এতে কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে প্রতিষ্ঠানেরই লাভ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মীরা যেন সর্বাধিক কাজ করতে পারেন, তার জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা তৈরি করেছে টিএসি সিকিউরিটি। নতুন এ নিয়মে সপ্তাহে চার দিন আরও বেশি সময় অফিসে থাকতে হচ্ছে কর্মীদের। এতে কাজের সময়ের বাইরে সংস্থার কোনো কর্মীকেই অপর সহকর্মীরা কোনো কাজের বিষয়ে বিরক্ত করতে পারেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাকি তিন দিন নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারেন তাঁরা। এ নিয়মে সন্তুষ্ট বেশির ভাগ কর্মী। | সপ্তাহে তিন দিন ছুটি, চার দিন কাজ হয় যে প্রতিষ্ঠানে |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত সফরে গেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স যোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবতরণ করেন তিনি। এই সফরে উপাচার্যের সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর আমন্ত্রণে এই সফর করেন উপাচার্য। শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান জানান, দুই দিনের এই সফরে বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির বিনিময়ে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শীর্ষস্থানীয় বাঙালি বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন উপাচার্য। দুই দেশের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে ৬ মার্চ বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে উপাচার্যের।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা |
ভারত সফরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | তুরস্কে অনুষ্ঠিত আয়রনম্যান ৭০.৩ প্রতিযোগিতায় ২০২১-এ বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা মিশু বিশ্বাস অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। এই প্রতিযোগিতাকে বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং স্পোর্টস ইভেন্ট হিসেবে ধরা হয়। আয়রনম্যান ৭০.৩ প্রতিযোগিতায় বিরতিহীনভাবে ১ দশমিক ৯ কিমি সাঁতার, ৯০ কিমি সাইক্লিং ও ২১ দশমিক ১ কিমি দৌড় শেষ করতে হয় ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। মিশু বিশ্বাস ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে সফলভাবে এই প্রতিযোগিতা শেষ করেন। মিশু বিশ্বাস এর আগে সিভিল সার্ভিসের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন, ম্যারিন ড্রাইভ ৫০ কিমি আল্ট্রা ম্যারাথন এবং সিংগাপুর হাফ ম্যারাথন ও থাইল্যান্ড ম্যারাথনসহ প্রায় ২০ টি হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে এই প্রতিযোগিতা সফলভাবে শেষ করেন তিনি এই প্রতিযোগিতায় নাভানা গ্রুপ সহযোগী পার্টনার হিসেবে মিশু বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সবসময় চাকরির পাশাপাশি এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশের গৌরব বৃদ্ধির জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়ায় মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) সহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। মিশু বিশ্বাস ৩৩ তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে এডিসি, ডিবি রমনা, ডিএমপিতে কর্মরত আছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত | আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তার অসাধারণ সাফল্য |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | কলকাতার জনপ্রিয় উপস্থাপক মীর (মীর আফসার আলী) এখন ঢাকায়। 'মীরাক্কেল' রিয়েলিটি শোর কল্যাণে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। গতকাল মীর যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গেলেন, তখনো তাঁর আশপাশে উৎসাহী ভক্তের ভিড়। কেউ ছবি তুলতে চায়, কেউ বলতে চায় দু-একটা কথা। মীর সবার আবদার মেটাচ্ছিলেন, আর খেয়ে যাচ্ছিলেন সমানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েকজন ভর্তাওয়ালা বসেন, যাঁরা স্ট্রবেরি, তেঁতুল, পেয়ারা ইত্যাদি দিয়ে নানা রকমের ভর্তা বানান। সেগুলোর প্রশংসা গেছে মীরের কানেও। তাই রোববার দুপুরে দলবল নিয়ে হাজির মীর।এই-ই করতে মীর বাংলাদেশে এসেছেন এবার। মানে খাবেন, ঘুরে বেড়াবেন আর সেগুলো ক্যামেরায় তোলা হবে। রেডিও-টেলিভিশনে উপস্থাপনার পাশাপাশি মীর ফুড ভ্লগিং করেন। সেসব ভিডিও নিয়মিত আপলোড হয় 'ফুডকা' ইউটিউব চ্যানেলে। সঙ্গে থাকেন ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী, তিনিই ফুডকা। কাকা-ভাতিজা মিলে এত দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের খাবারের স্বাদ নিয়েছেন। এবার এসেছেন বাংলাদেশে।মীর বলেন, 'প্রথম দিন গিয়েছিলাম মাওয়া ঘাটে। ইলিশ খেলাম। পদ্মায় ঘুরলাম। দারুণ সময় কাটছে! ঢাকায় এসে শুধু খেয়েই যাচ্ছি।' পাশ থেকে ইন্দ্রজিৎ মানে ফুডকা বলে উঠলেন, 'ঢাকায় এবার নতুন ৩টি জিনিস খেলাম-ভেলপুরি, যেটা কলকাতার থেকে একেবারেই আলাদা, মরিচ-তেঁতুল চা আর স্ট্রবেরি ভর্তা।'মীর জানালেন, ঢাকায় তিনি আরও কটা দিন থাকবেন। কলকাতায় ফিরে যাবেন এ সপ্তাহের শেষের দিকে। এর মধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিখ্যাত সব খাবারের সন্ধানে ছুটবেন। সেসব ভিডিও পাওয়া যাবে 'ফুডকা' ইউটিউব চ্যানেলে। | ঢাকায় কী করছেন মীর |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার সাগুনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনি গ্রামের সত্যেন চন্দ্রের ছেলে আদিত্য (৪) ও একই গ্রামের বিনোদ চন্দ্রের মেয়ে টুম্পা (৭)। তারা একে অপরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। নিহতদের পরিবারের লোকজন জানান, সকালে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় আদিত্য ও টুম্পা। পরে অনেক খোঁজাখুজি করার পর স্থানীয় লোকজন তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরে ঘটনাস্থলেই মারা যায় টুম্পা। পরে আদিত্যকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্ব চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায় জানান, একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। | ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | গোপালগঞ্জ কারাগারে কয়েদিদের জীবনমান উন্নয়ন এবং সুস্থ বিনোদন উপভোগের মাধ্যমে জীবনের অন্ধকার দূর করতে এলইডি টেলিভিশন উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা সুলতানা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ৩২" সাইজের ৯টি এলইডি টেলিভিশন জেলা কারাগারের কয়েদিদের হাতে তুলে দেন তিনি। কয়েদিদের টেলিভিশন উপহার দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা না, এখান থেকে অপরাধীদের সংশোধনের সুযোগ আছে। যারা এটাকে সংশোধনের ক্ষেত্র হিসেবে মনে করেন, সাজা ভোগের পর বাইরে বেরিয়ে নতুন জীবন পরিচালনা করা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। এজন্য গোপালগঞ্জ কারাগারে কয়েদিদের সুস্থ বিনোদন উপভোগের পাশাপাশি সংশোধনের সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে তাদের টেলিভিশন উপহার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো ওয়ার্ডে টেলিভিশন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি। বিডি প্রতিদিন/এমআই | গোপালগঞ্জে কারাবন্দীদের বিনোদনের লক্ষ্যে টেলিভিশন উপহার |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় উৎপাদিত কলা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মহালছড়ি বাজারে মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও বেশির ভাগ কলা বেচাকেনা হয় সোমবার। দেশের নানা অঞ্চল থেকে হাটের আগের দিনই চলে আসেন কলা ব্যবসায়ীরা। প্রতি হাটে ১০ লাখ টাকার কলা বেচাকেনা হয় বলে জানা গেছে।উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানান, মহালছড়িতে ২৫৩ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ১৬-১৮ মেট্রিক টন কলা উৎপাদন হয়ে থাকে।পঙ্খীমুড়া এলাকার নিরূপণ চাকমাসহ কয়েকজন কলাচাষি জানান, বারমাসি ফল হওয়ায় কলা চাষে লাভ বেশি। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো সার ও কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে কলার স্বাদও আলাদা হয়। তাই এখানকার কলার চাহিদাও বেশি। যোগাযোগব্যবস্থা অনেকটা উন্নত হওয়ায় কলার দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছেন বলে তাঁরা জানান।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁধে ও গাড়িতে করে মহালছড়ি বাজারে কলা নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। প্রথমবারের মতো মহালছড়ি বাজারে আসা কুমিল্লার কলা ব্যবসায়ী মো. ফরিদ জানান, মহালছড়ি বাজারে ভালো কলা পাওয়া যায় শুনে তা কেনার জন্য তিনি এসেছেন। কলার মান ভালো, তবে দামটা একটু বেশি বলে তিনি জানান।মহালছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, মহালছড়িতে চাম্পা ও বাংলা কলা বেশি উৎপাদন হয়। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় চাষিরা সহজে কলা বাজারে আনতে পারছেন। কাঙ্ক্ষিত দামে কলা বিক্রি করতে পারছেন। মহালছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটে ১০ লক্ষাধিক টাকার কলা বেচাকেনা হয় বলে তিনি জানান।উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তৃপ্তিকর চাকমা জানান, মহালছড়িতে ২৫৩ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হচ্ছে। এখানে চাম্পা ও বাংলা কলা ছাড়াও সাগর ও সূর্যমুখী কলার চাষ হয়।অন্য কলার তুলনায় চাম্পা কলার রোগবালাই কম বলে কৃষকেরা এ কলা বেশি উৎপাদন করে থাকেন। কলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চাষিদের সঙ্গে মহালছড়ি কৃষি অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে থাকে। | মহালছড়ির কলা যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায় |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ক্যাচ নেওয়ায় অসাধারণ এক রেকর্ড গড়লেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। নিউল্যান্ডসে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে জেমস এন্ডারসনের বলে স্বাগতিক এনরিখ নর্টির ক্যাচ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টোকস জায়গা করে নেন রেকর্ড বইয়ে। ইনিংসে এটি ছিল তার পঞ্চম ক্যাচ। যা সবক'টিই তিনি নিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪২ বছরের ইতিহাসে উইকেটরক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ক্রিকেটারের একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ৫ ক্যাচ নেয়ার আর কোনও নজির নেই। প্রথমে পাঁচটি ক্যাচ লুফে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্ব রেকর্ডের সমতায় পৌছান স্টোকস। টেস্টে অতীতে বিশ্বব্যাপী সর্বমোট ১১বার এমন সফলতা অর্জন করেছে ক্রিকেটাররা। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ এই নিউল্যান্ডসেই পাঁচ ক্যাচের রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে আগের কেউই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই কীর্তি গড়তে পারেননি। বিডি প্রতিদিন/কালাম | ১৪২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে স্টোকসের অনন্য কীর্তি |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | মহারাষ্ট্রের আমেদনগরের জেলা হাসপাতালের আইসিইউতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর। সেই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্তের দাবি তুলেছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। খবর হিন্দুস্তান টাইমস। আমেদনগরের জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভোঁসলকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জেলা হাসপাতালের আগুনে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ যখন আগুন লেগেছে, তখন হাসপাতালে ১৭ জন করোনাভাইরাস রোগী ভর্তি ছিলেন। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে দমকলবাহিনীর অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই হাসপাতালে আগুন লেগে যায়। সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীস। টুইটারে তিনি বলেন, 'নগর থেকে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং বাজে খবর আসছে। নগর সিভিল হাসপাতালের আইসিইউতে আগুন লেগে যাওয়ায় যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কড়া ব্যবস্থা।' মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। দেশজুড়ে মহামারীর দাপট শুরুর পর থেকে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে করোনা রোগীদের। গত এপ্রিলে মুম্বাইয়ের কাছে পালঘরের অবস্থিত বীরারের বিজয় বল্লভ কোভিড হাসপাতালে আগুন লেগে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুতেই ভান্ডারা জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে (সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট) আগুন লেগেছিল। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ১০ সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। | মহারাষ্ট্রে হাসপাতালের আইসিইউতে আগুন, নিহত ১০ |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ খানের বংশধর নাঈম। বাবার সঙ্গে যেতেন আহসান মঞ্জিলে। আগেই জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়ে গেছে নবাবের বাড়ি। পুরান ঢাকায় যাতায়াত ছিল তাঁর, ছিল না আবাস। নাঈম বেড়ে উঠেছেন শাহবাগে। ছেলেবেলা কেটেছে মগবাজার এলাকায়। তাঁর মা টাঙ্গাইলের করটিয়া জমিদার বাড়ির মেয়ে। বাবা বাড়ি করেছিলেন দেলদুয়ারের পাতরাইলে। সেখানে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত সব শাড়ির কারখানা। নানাবাড়ি আর বাবার বাড়িতে ছেলেবেলায় যেতেন নাঈম। তখন থেকেই গ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্কের বয়স ৪০ বছরের কম নয়। '৯৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর আরও বেশি গ্রামমুখী হয়ে ওঠেন নাঈম। সিনেমা ছাড়ার পর গ্রামই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান হয়ে ওঠে। তাঁর এখনকার জগৎজুড়ে অনেকটাই পাতরাইল। গ্রামে তাঁর পুকুর আছে। পুকুরে মাছ চাষ করেন। আছে আম, লিচু, কাঁঠাল ইত্যাদি ফলের বাগান। আছে পশুর খামার। কৃষিজমিতে চাষাবাদও করেন। সবকিছুই পুরোপুরি বাণিজ্যিক। আর আছে তাঁতের কারখানা। মাসে সপ্তাহখানেক সেখানেই কাটাতে হয় তাঁকে। জড়িয়ে গেছেন গ্রামের মানুষের সুঃখ-দুঃখের সঙ্গে। করোনাকালে গ্রামের যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নাঈম। রোগীদের কীভাবে ঢাকায় আনা যায় কিংবা ওখানে রেখে চিকিৎসা দেওয়া যায়, এসব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। গ্রামের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা মায়া-মমতায় মিশে অন্য এক রূপ ধারণ করেছে। গ্রামে একটা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেখানে প্রতিবছরের জানুয়ারিতে মাসব্যাপী ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়। সেই আসরে ঢাকা থেকে রিয়াজ-ফেরদৌসরা যান। সেলিব্রিটিদের হাজিরায় অন্য মাত্রা লাভ করে গ্রামীণ ক্রিকেট।এ রকম আরও সাংস্কৃতিক-সামাজিক কাজে জড়িয়ে আছেন নাঈম। গ্রামের মানুষের সঙ্গে জীবন বাঁধলেও রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা নেই নাঈমের। কখনো ভাবেনওনি রাজনীতি নিয়ে। সবার ডাকেই সাড়া দেন নাঈম। তবে একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানোর ইচ্ছা ভবিষ্যতে আছে। তাঁর সেবামূলক কাজগুলো যেন ছন্দ না হারায় ভবিষ্যতে, তার জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ার ইচ্ছা হৃদয়ে পুষে রেখেছেন। গ্রামের মানুষ শহরের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেন নাঈম। নিজে শুধু নন, স্ত্রী শাবনাজ ও দুই মেয়েকেও তিনি গ্রামে নিয়ে যান। বড় মেয়ে নামিরা নাঈম এখন কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। এনভায়রনমেন্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজিতে গ্র্যাজুয়েশন করছেন নামিরা। সেখানে নাঈম ও শাবনাজের অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন। পারিবারিক পরিবেশেই প্রবাসজীবন কাটছে তাঁর। ছোট মেয়ে মাহদিয়া নাঈম এ লেভেল সমমানের পরীক্ষা দিয়েছেন আগা খান একাডেমি থেকে। তাঁর গানের সঙ্গে দর্শক-শ্রোতাদের পরিচয় হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। বছর দুয়েক আগে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল তাঁর গান। গানটা মাহদিয়া শখের বশে করেন। গানটাকে সিরিয়াসলিও নিতে পারেন কখনো। এখন দুই মেয়েরই প্রাধান্য পড়াশোনা। পড়াশোনায় দুজনেই মেধার পরিচয় দিয়েছেন। নাঈম বলেন, মাহদিয়া গানের জন্য সময় বের করে মাঝেমধ্যে। বেশ কিছু গান করা আছে তার। করোনার জন্য গানগুলো রিলিজ দিচ্ছে না। নামিরার শখ পেইন্টিংয়ের দিকে। পড়াশোনার চাপের জন্য আপাতত ওদিকে বেশি ঝুঁকতে পারছে না। ব্যবসার বাইরে পরিবারকেই সময় দেন নাঈম। কিন্তু তাঁর একসময়ের আরেক পরিবার সিনেমা। নাঈম জানান, তিনি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গেই যোগাযোগটা ধরে রাখা গেছে। এঁদের মধ্যে অনেকে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন। এহ্তেশাম, মুস্তাফিজ, শিবলী সাদিকরা চলে গেছেন। আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। রিয়াজ ফোন করেন। ওমর সানী খোঁজ নেন। অমিত হাসানও খবর রাখেন। কিছুদিন আগে রোজিনা আপার বাসায় বেড়িয়ে এসেছেন নাঈম। নাটকের অনেকের সঙ্গে ওঠাবসা আছে। সবচেয়ে ভালো যোগাযোগ আফসানা মিমির সঙ্গে। 'দিল' ছবিতে যাঁরা কাজ করেছেন, কিছুদিন আগে তাঁরা একত্র হন। শবনম, মিমি আর নাঈম-শাবনাজ মিলে পুরোনো দিনের গল্পে-আড্ডায় মেতে ওঠেন। তবে এফডিসিতে যাওয়া হয় না। করা হয় না শুটিং। সাংগঠনিক কোনো উৎসব থাকলে যাওয়া হয়। তাঁদের পেলে সিনেমার মানুষেরা খুশিতে নেচে ওঠেন। নাঈম-শাবনাজ অল্পসংখ্যক ছবিতে অভিনয় করেছেন। অথচ এ ছবিগুলোর জনপ্রিয়তা বিপুল। তাঁদের ছবির কথা ঘুরেফিরেই আড্ডা-আলোচনায় আসে। অমন ছবি এখন হচ্ছে না বলে আফসোস শোনা যায় লোকের মুখে। কী সেই রহস্য, যার জন্য ছবিগুলোর আজও এত কদর! মুখ খোলেন নাঈম, 'আসলে আমি কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটিতে বেশি বিশ্বাস করতাম। বছরে ১০-২০টি ছবি করে তো লাভ হচ্ছে না। আমার যখন একটা ছবি হিট হয়ে যায়, তখন একের পর এক ছবির অফার আসে। প্রচুর ছবি রিফিউজ করেছি। আমি চিন্তা করে দেখেছি, বছরে চার-পাঁচটার বেশি ছবি করা ঠিক হবে না। গণহারে ছবি করে শুধু স্ক্রিনে আমি থাকব, এর কোনো মানে হয় না। আমি যখন আসি, তখন সিনিয়ররা ছিলেন। নতুনেরা তেমন আসেনি। তারা আসে একটু পরে। অত ছবি করিনি আমি। তারপরও যে দর্শকেরা এখনো মন থেকে ভালোবাসার জায়গাটা আমাকে দিয়েছেন, তার জন্য আমি স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ। ১০০ ছবি করেও অনেকে এই জায়গাটা হয়তো পাননি। এর আনন্দ আলাদা, তৃপ্তি অনেক বেশি। অনেক বড় বড় ছবি, বেশি ছবি করেও অনেকে দর্শকদের হৃদয়ে থাকতে পারেননি।' এ জন্য তখনকার সময়কে কৃতিত্ব দেন নাঈম। 'দর্শক নতুনদের দেখতে চাচ্ছিলেন। আমরা একটা রোমান্টিক ছবি করলাম। দর্শকেরা লুফে নিলেন। মানুষ একটা জিনিস দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরিবর্তনটা ওভাবেই এসেছিল। আমরা যখন ছবি করেছি ডিশ কেব্ল ছিল না। এক বিটিভি ছিল। মানুষের বিনোদন ছিল টিভিতে নাটক আর সিনেমা হলের ছবি। বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম ছিল না। পরে বিভিন্ন দেশের সিনেমা ঢুকে গেল। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অনেক পিছিয়ে গেল।' সিনেমা ছেড়েছেন দুই দশক আগে। এখনো নাঈম-শাবনাজ জুটি নিয়ে চর্চা হয়। প্রশ্ন ওঠে এখনকার জুটিদের জনপ্রিয়তা নিয়ে। কীভাবে কালজয়ী জুটি হয়ে উঠেছিলেন নাঈম-শাবনাজ? 'জুটি মানেই নাঈম-শাবনাজ বললে ভুল হবে। আমাদের আগেও জুটি ছিল। শাবানা-আলমগীর ছিলেন। রাজ্জাক-কবরী ছিলেন। কিংবদন্তি জুটি ছিলেন তাঁরা। তাঁদের পরে বলতে বললে হয়তো আমাদের কথা আসবে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে আমাদের জুটির কথা আসতে পারে। জুটি তৈরির পেছনে কেমিস্ট্রিটা ঠিক আছে কি না, দেখতে হবে। নায়ক ও নায়িকার বোঝাপড়াটা ঠিক আছে কি না, নায়কের ডায়ালগের জবাবটা কী দিচ্ছে নায়িকা, সংলাপ না থাকলে এক্সপ্রেশনটা কী দিচ্ছে, এগুলোকেই কিন্তু কেমিস্ট্রি বলে। সেই কেমিস্ট্রি যদি সুন্দর হয়, দর্শকদের কাছে ভালো লাগে, দর্শকই নায়ক-নায়িকাকে জুটিতে পরিণত করে ফেলেন।' তখনকার কাজের পরিবেশ নিয়ে নাঈম স্মৃতিকাতর। বলেন, 'আমরা গল্প নিয়ে বসতাম। চরিত্র নিয়ে বসতাম। গান রেকর্ডিংয়ে যেতাম। কী পোশাক পরব, সেসব নিয়ে বসতাম। ডিরেক্টর, ক্যামেরাম্যানসহ বসা হতো। পুরো একটা পরিবার যেন। একটা ছবির কথা বলি। 'দিল' ছবি করার সময় আজিজুর রহমানের স্ত্রী সেটে থাকতেন। ভাবি হয়তো শাবনাজের চুল ঠিক করে দিচ্ছেন। আজিজ ভাই বলতেন, নাঈম, তুই এটা পরিস না। এটা পর। এভাবে তখন কাজ হতো।' হোমওয়ার্কটা যদি ভালো হয়ে যায়, তবে শুটিংটা ভালো হবে। আগে থেকে যদি লাইট কী নেব, কতটুকু কী নেব, টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো ঠিক করে নেওয়া যায়, তবে ছবি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। তখন ছবি কম করায় বেশি সময় দিতে পারতাম। তখন কোনো এফডিসির ফ্লোর খালি থাকত না। সর্বত্র শুটিং হচ্ছে। কেউ সিলেটে শুটিং করছে, কেউ কক্সবাজারে আবার কেউ বিদেশে। তখন জমজমাট ছিল সিনেমাটা। বলা বাহুল্য, খাজা নাঈম মুরাদ তথা চিত্রনায়ক নাঈমের প্রথম ছবি এহ্তেশাম পরিচালিত 'চাঁদনী'। এখান থেকে নাঈম-শাবনাজ জুটির যাত্রা শুরু। নাঈম অভিনীত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'চোখে চোখে', 'সোনিয়া', 'দিল', 'টাকার অহংকার', 'লাভ', 'অনুতপ্ত', 'জিদ', 'বিষের বাঁশি' ইত্যাদি। তাঁর প্রযোজিত একমাত্র ছবি 'আগুন জ্বলে'। নাঈম অভিনীত শেষ ছবি 'ঘরে ঘরে যুদ্ধ' ২০০১ সালে মুক্তি পায়। এটা নাঈম-শাবনাজ জুটিরও শেষ ছবি। সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার কয়েক বছর পর 'কাচঘর' নামে একটা ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেন নাঈম। এতে তিনি অভিনয়ও করেন। | এখন গ্রামই নাঈমের ধ্যান-জ্ঞান |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাহাদি জে আকিব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আকিবকে স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাবার সঙ্গে কুমিল্লার বাড়িতে চলে গেছেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসকের পর্যপেক্ষণে থাকবেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | আইসিইউ থেকে বাড়ি ফিরলেন সেই মাহাদি
|
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের স্মরণে ৪ দিন ব্যাপি বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হবে বৃহস্পতিবার। শহীদ শামসুজ্জোহা স্মৃতি বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ফ্যাকাল্টি ডিবেটিং ফোরাম (বিএফডিএফ)। ৯ম বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসিসি) উদ্বোধন করবেন পরিচালক অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান। এছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন সাবেক ছাত্র-উপদেস্টা ও সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাহী সদস্য আবু ইউসুফ। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, তিনটি পর্বে এই বিতর্ক শুরু হবে। প্রথম পর্বটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বিজ্ঞান ভবনে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার আন্ত:বিভাগ বিতর্ক হবে আগামী ১৩ জুলাই। এতে বিভিন্ন বিভাগের মোট ৩২ দল অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বটি শহীদ হবিবুর রহমান আন্ত:হল বিতর্ক হবে ১৪ জুলাই। এতে বিভিন্ন হলের মোট ২৬ টি দল অংশ নেবেন। এছাড়া সমাপনী পর্বটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সংবিধান অলিম্পিয়াডে ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। এসময় আরো উপস্থিত থাকবেন বিএফডিএফ এর উপদেষ্টা প্রমুখ। উল্লেখ্য, বিএফডিএফ ২০০৮ সালে ' জয়েন বিএফডিএফ, এক্সপ্রেস ইওরসেলফ' স্লোগানে যাত্রা শুরু করে। | রাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিএফডিএফ বিতর্ক শুরু |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | সরকার পরিবর্তনে আর সভা-সমাবেশ নয়। এ মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন আর এক মিনিটও দেরি না করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা উদ্ধারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, শহর-জেলায় আমাদেরকে যেতে হবে, বলতে হবে-রুখে দাঁড়ান। দেশের ক্ষমতা যারা আত্মসাৎ করেছে তাদের হাত থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করি। খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূতির দিনে শনিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ড. কামাল বলেন, সত্যিকার অর্থে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠন করতে হবে, সেই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাদের হবে তারা সরকার পরিচালনা করবে। এদের (ক্ষমতাসীনদের) বলে তো কোনো লাভ নেই, এদের লাথথি মেরে বের করে দরকার। পদত্যাগ পদত্যাগ না বলে। পদত্যাগ না করলে কী করতে হবে প্রশ্ন করলে সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা বলেন, 'লাথি মরে বের করতে হবে'। তখন ড. কামাল বলেন 'গুড। ওইসব ভাষা না বলে তাদেরকে অন্ততঃ হাত ধরে টেনে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে আর কী। তিনি বলেন, আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এখানে সভা করতে হবে, দাবি করতে হবে-এটা অকল্পনীয়। ৪৮ বছর দেশ স্বাধীন হয়েছে এখনো রাজবন্দির মুক্তির কথা বলতে হবে-এটা দুঃখের বিষয়। আসুন এখন আর সভা নয়, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামি। তিনি বলেন, ' বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা সবসময় দেখেছি বাংলাদেশের জনগনকে বঞ্চিত করে এখানে স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কেউ দিতে পারেনি। চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের ভয়াবহ পরিণতি হয়েছে। আজকে যারা স্বৈরাচার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সেই ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখা দরকার বাঙালি জাতি কোনো সময়ে স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নেবে না, মেনে নেয়নি। সমাবেশে বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না,গণফোরামের অ্যাডভোকেট সব্র্রত চৌধুরী, মহসিন রশিদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, জেএসডির শাহ আকম আনিসুর রহমান খান, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, গণ দলের গোলাম মাওলা চৌধুরী বক্তব্য দেন। | 'লাথি' হুমকিকে 'গুড' বললেন ড. কামাল |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গন সরব হয়ে উঠেছে। তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসনের মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। মনোনয়ন পেতে তৎপর বর্তমান সাংসদ জাসদের (আম্বিয়া-নাজমুল) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু সালেকও। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকা জেলা বিএনপির দুই পক্ষই মনোনয়ন চাইবে। বিএনপির শরিক জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নেতারাও এখানে জোটের মনোনয়ন চান। পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসনটি ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির দখলে ছিল। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে হারিয়ে সাংসদ হন আওয়ামী লীগের মজাহারুল হক প্রধান। ২০১৪ সালে মনোনয়ন পেলেও শেষ মুহূর্তে জাপাকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক। ভোটযুদ্ধে তিনি জাসদের (ইনু) তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের কাছে হেরে যান। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবেও মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধান। মনোনয়ন পেতে তিনি ছাড়াও মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের জনপ্রেক্ষিত কর্মকর্তা নাইমুজ্জামান। মজাহারুল হক বলেন, '২০১৪ সালের নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেন। আমি নির্দেশটি পালন করি। এ কারণে মনে করি এবার তিনি আমাকেই মনোনয়ন দেবেন।' পঞ্চগড়ের আনাচকানাচে ঘুরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কথা বলছেননাইমুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, তরুণ ভোটারদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেশি। আর এ আসনের অর্ধেকের বেশি ভোটারের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে। বিভিন্ন ভোটারের বাড়িতে রাতে থেকে উঠান বৈঠকও করছেন তিনি। নাইমুজ্জামান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা বাস্তবায়নে সারা দেশে যেমন কাজ করেছি, নিজের জেলাতেও এ নিয়ে অনেক কাজ করেছি। আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনোনয়ন চাইব।' সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাতও এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, 'জনগণের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান আর দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এখন এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি এবার মনোনয়ন পাওয়ার দাবিদার।' মহাজোটের শরিক বর্তমান সাংসদ নাজমুল হক প্রধানও বিভিন্ন উন্নয়নকাজের উদ্বোধন, সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগ করছেন। সম্প্রতি জেলা জাসদের বর্ধিত সভায় তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তিনি এবারও দলের প্রার্থী হবেন বলে আশা করছেন। জাপার আবু সালেক বলেন, 'গত নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী হয়েও আওয়ামী লীগের কিছু নেতার প্রতিহিংসামূলক আচরণের কারণে অল্প ভোটে হেরে যাই।' জাপা এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন। বিএনপিতে কোন্দল ২০০৮ সালে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই পঞ্চগড় বিএনপিতে কোন্দলের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে নেই জেলা কমিটি। জমির উদ্দিন সরকার এবং পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এখন চলছে ঠান্ডা লড়াই। জমির উদ্দিনের অনুসারীরা বলছেন, এবারও তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দল তাঁকে অন্য কোনো আসন থেকে প্রার্থী করলে অথবা বয়সজনিত কারণে তিনি নির্বাচন না করলে তাঁর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমিরকে প্রার্থী করার জন্য চেষ্টা করা হবে। তবে এমন সিদ্ধান্ত এলে তৃণমূলে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা তৌহিদুল ইসলামের। মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, জমির উদ্দিন সরকার ও তাঁর ছেলের মধ্যে কোন্দলের কারণেই প্রায় নয় বছর জেলা কমিটি নেই। বাবার যাঁকে পছন্দ ছেলের তাঁকে পছন্দ নয়, অবস্থাটা হয়েছে এমন। জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, জমির উদ্দিন সরকার নির্বাচন করুক, এটাই পঞ্চগড়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা চান। কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করলে তাঁর ছেলে মনোনয়ন নিয়ে আসবেন। ২০-দলীয় জোটের শরিক জাগপার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে তাসমিয়া প্রধানও জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন। কেন্দ্রীয় জাগপার সহসভাপতি হিসেবে তাসমিয়া পঞ্চগড়-১ ও পঞ্চগড়-২ আসনে গণসংযোগ করছেন। জোটের নীতিনির্ধারকেরা যে আসন থেকেই মনোনয়ন দেবেন, সেখানেই তিনি নির্বাচন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। জেলা জামায়াতের আমির আবদুল খালেক বলেন, '১৯৯৬ সালে পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচন করেছি। আমরা দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আর দল চাইবে জোটের কাছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে অংশ নেব।' এদিকে গত ২৫ জুন পঞ্চগড়ে এক পথসভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় সংগঠনের জেলা কমিটির উপদেষ্টা খন্দকার খাজা আলমকে। আগামী পর্ব বগুড়া-৬ আসন নিয়ে | দল-জোটের জটিল সমীকরণ |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | রাস্তা নির্মাণের সময় যেন পানি প্রবাহে বাধা বা জলাধার বন্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে নকশায় পর্যাপ্ত ব্রিজ ও কালভার্ট রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বদলির কারণে যেন বাস্তবায়ন গতি কমে না যায় এ জন্য নতুনদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে ৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে ৩১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | একনেকে ৫ হাজার ১৮৯ কোটি টাকার ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | আজই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের কাছে মারিওপোলে ইউক্রেনের মেরিন ব্রিগেডের ১০২৬ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। অবশ্য ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। তবেবন্দর নগরীটিতে ইউক্রেনের হয়েযুদ্ধ করা এক বৃটিশ যোদ্ধা তার পরিবারকে জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। এছাড়া তাদের সামনে আর কোন উপায় নেই। বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মারিওপোলে যুদ্ধরত অবস্থায় থাকা অ্যাসলিন তার মা অ্যাং উডকে জানিয়েছে যে তাদের সামনে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। অ্যাসলিনের মা অ্যাং উড বলেন, 'সে আমাকে বলেছে তাদের কাছে লড়াই করার মতো আর কোনও অস্ত্র নেই।' তিনি আরও বলেন, 'আমি আমার সন্তানকে ভালোবাসি, সে আমার নায়ক। তারা তাকে যুদ্ধের জাহান্নামে ফেলে দিয়েছে।' সূত্র: বিবিসি বিডি প্রতিদিন/নাজমুল | রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় নেই: ইউক্রেনে যুদ্ধ করা ব্রিটিশ যুবক |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দেশটির উত্তর-পশ্চিমে এক শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে শিকারি বন্দুক ও আগুনবোমা নিয়ে লড়তে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। সেখানে নিরাপাত্তাবাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ ও ইরাবতি জানায়, ট্যাজ শহরে বিক্ষোভ দমনের জন্য শুরুতে ছয় ট্রাক সেনা মোতায়েন করা হয়। সেখানে তাদের সঙ্গে বন্দুক, ছুরি ও আগুনবোমা নিয়ে লড়াইয়ে নামেন বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে আরও পাঁচ ট্রাক সেনা সেখানে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংঘর্ষ চলাকালে সেনাসদস্যদের গুলিতে অন্তত ১১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন এবং আহত হন আরও ২০ জন। তবে সেনাসদস্যদের হতাহতের বিষয়ে কিছু জানায়নি সংবাদমাধ্যমগুলো। | মিয়ানমারে জান্তার গুলিতে আরও ১১ বিক্ষোভকারী নিহত |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ঢাকা: পাঁচ বছর ধরে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরছে ১২ বছরের শিশু। গ্রামের একটি পাটখেত থেকে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বড় ভাইকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তার কাছ থেকে আদায় করা হয় হত্যার স্বীকারোক্তি। এ মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার।সম্প্রতি 'পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে আজ সোমবার সেটির শুনানি হয়। শুনানির সময় 'ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় বড় ভাইয়ের জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় দুঃখজনক। ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য দুঃখজনক' বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে আরও বলেন, 'এটা তো দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনো জানি না, কী ঘটেছে।'পরে আদালত আগামী মঙ্গলবার (২৯ জুন) পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, 'একজন বাবা তাঁর এক সন্তানকে হারিয়েছেন। ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। এটি একটি অমানবিক ঘটনা।'আইনজীবী আরও বলেন, '১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। শিশু আদালতের সামনে এল অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়।'পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটখেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাইকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয়। এই মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে কোথাও সহায়তা না পেয়ে দিশেহারা পরিবারটি।আরও জানা গেছে, মহিদুল ইসলাম তার শিশু ছেলেকে উদ্ধারের পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে করা এ মামলা তদন্ত করেন এসআই নয়ন। তিনি মহিদুল ইসলামের বড় ছেলে সৌরভকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে যান। রাতে তাকে মারধর করে আদায় করা হয় স্বীকারোক্তি। সৌরভকে দিয়ে বলানো হয়, সে নিজেই তার ভাইকে খুন করে পাটখেতে ফেলে রেখেছে। শিশু সৌরভকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়। একসময় তার জামিন হয়। সে সবকিছু খুলে বলে। এই মামলা একসময় তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইয়ের হাতে। তারা তদন্ত করে জানতে পারে, স্থানীয় বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম ও বিল্লাল হোসেন শিশু সোহাগকে হত্যা করে পাটখেতে মৃতদেহ ফেলে রেখেছিলেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। | ১২ বছরের শিশুর কাছ থেকে ভাই হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়, দুঃখজনক বললেন হাইকোর্ট |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | গ্যাস সিলিন্ডার ছিদ্রের সংকেত যন্ত্র উদ্ভাবন করে এবার জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার খুদে বিজ্ঞানী মাহির আশহাব লাবিব। সে উপজেলার কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। তাঁর বাবা এএইচএম মোস্তফা কামাল বোরহানউদ্দিন উপজেলার আব্দুল জব্বার কলেজের প্রভাষক। মা ইয়াছমিন একজন গৃহিণী।লাবিবের বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, 'দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরে বিহ্বল হয়ে পড়ে লাবিব। এরপর সে উদ্ভাবন করেছে স্মার্ট গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর ডিভাইস। এটি ব্যবহারে যেকোনো বদ্ধ জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস পাইপ ছিদ্র হলে সেটা শনাক্ত করে আগেই বিপৎসংকেত দেবে। সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে দেবে। জ্বলবে লাল বাতি। ডিসপ্লেতেও প্রদর্শিত হবে। বিদ্যুৎ ও ব্যাটারি দিয়ে চালানো যাবে এই ডিভাইস। যন্ত্রটি তৈরি করতে তার সময় লেগেছে প্রায় এক মাস। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর শুরু করার পর ওই বছরের ২৯ নভেম্বর যন্ত্রটির উদ্ভাবন শেষ করেছে। এতে খরচ হয়েছে ৯৪৪ টাকা। সে স্মার্ট গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর ডিভাইস উদ্ভাবন করে ইতিমধ্যেই এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে।'মোস্তফা কামাল বলেন, 'লাবিবের এই ডিভাইসটি ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০২১ সাধারণ-বেসরকারি (শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি) ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হবেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।'১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মাহির আশহাব লাবিব জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ। সে যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তখন বিজ্ঞান মেলায় 'বাতাসের গতি পরিবর্তন' বিষয়ে আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এরপর থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞান নিয়ে তার নানা চিন্তা-ভাবনা। একের পর এক করছে দারুণ দারুণ সব গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন।লাবিবা বলে, 'গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে রক্ষায় আমার তৈরি স্মার্ট গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর ডিভাইসটি বাজারজাত করার ইচ্ছা রয়েছে।' | জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে খুদে বিজ্ঞানী লাবিব |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে মোল্লা বাড়িতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালালসহ সংগঠনের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়। জানা গেছে, দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি হকিকত জাহান হকিকে আহ্বায়ক ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মামুন আবদুল্লাহকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজের ঐক্য, পেশাদারিত্বসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দেশপ্রেম, ঐক্য থাকতে হবে। একজন সাংবাদিকের দেশপ্রেম তার পরিবার ও অঞ্চল থেকে শুরু হয়। এই দেশপ্রেমই এক সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিদের অঞ্চল ও জাতীয় পর্যায়ে সংগঠিত হওয়া মনোভাব দেশপ্রেমেরই অংশ। বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন, পেশাদারিত্ব, সততা, নিষ্ঠা বজায় রেখেই সাংবাদিকদের স্বাবলম্বী হতে হবে। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ সাংবাদিকদের বাঁকা চোখে দেখে। নেতিবাচক এই পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতা থেকে সাংবাদিকদেরকে বের হতে হবে। বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও ঢাকায় অবস্থানরত শেরপুর জেলা সাংবাদিকদের একটি সংগঠন হলো। তিনি এই সংগঠনের মঙ্গল কামনা করেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এ কে এম শহিদুল হক, তারকালোকের সম্পাদক ও বাচসাস নেতা ইব্রাহীম খলিল খোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমদ ও ঢাকাস্থ জামালপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বায়দুল্লাহ বাদল। ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার রুকুনুজ্জামান অঞ্জন, দৈনিক মুখপাত্রের সিনিয়র রিপোর্টার মালেক মল্লিক, সিনিয়র সাংবাদিক তাসলিমা শিখা, আমাদের সময়ের হেড অব অনলাইন দেলোয়ার রাশেদ, আমাদের সময়ের সহকারী সম্পাদক মঈন আবদুল্লাহ, স্পোর্টসমেইল টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক রোকুনুজ্জামান সেলিম, প্রিয় ডটকমের তানজিল রিমন ও বাংলাদেশ জার্নালের মুজাহিদ বিল্লাহ। | ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম গঠন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | মহামারীর এই দিনগুলোতে বা এর বাইরে নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের দরকার বাড়তি সচেতনতা। চলুন জেনে নেই স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস : * পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট মেনটেইন করুন।
* নিজেই ক্যালরি কাউন্ট করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পুষ্টিবিদের ডায়েট চাটের বাইরে কখন এবং কি পরিমাণ বাড়তি খাবার খেয়ে ফেলছেন তার চার্ট রাখুন। যা আপনার বাড়াতে সাহায্য করবে।
* -এর মাধ্যমে কতটুকু বার্ন করছেন আর কতটুকু শরীরে ঢুকছে তার একটি তুলনামূলক হিসাব রাখুন।
* প্রতি সপ্তাহে ১ দিন অথবা মাসে ২ দিন ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা না মেনে স্বাভাবিক খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সহজেই নিজেকে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
* ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়েই কিছু হালকা ব্যায়াম করুন।
* চেষ্টা করুন প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ মিনিট করে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে।
* ব্যায়াম করার সময় একজন উৎসাহী সঙ্গী জোগাড় করুন।
* যতটা সম্ভব লিফট ব্যবহার কম করুন এবং গাড়ি বাড়ি বা অফিস থেকে একটু দূরে রেখে কিছুটা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছান।
* রাতের খাবারের অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান এবং চেষ্টা করুন সে সময় একটু হাঁটাহাঁটি করতে।
* দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
* দৈনিক খাদ্যতালিকার বাইরে হঠাৎ কখনো খিদে পেলে সালাদ বা ফল জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। বিডি-প্রতিদিন/শফিক | স্থূলতার সমাধান ও সাধারণ কিছু টিপস |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ দুর্গোৎসবের আনন্দ উপভোগ করছেন। আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গাপূজা হচ্ছে। এই অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্য '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে প্রতিফলিত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার নিজ বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া উপহার লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স এবং আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী কুমুদিনী হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। এদিন বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভারতীয় হাইকমিশনার কুমুদিনী হাসপাতালে এসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা। এ সময় হাইকমিশনারের স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাইস্বামী, হাইকমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি) দীপ্তি আলংঘাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। পরে কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা-চক্র শেষে বিক্রম দোরাইস্বামী কুমুদিনী হাসপাতাল পরিদর্শন করে ভারতেশ্বরী হোমসে যান। এখানে তিনি কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। হাইকমিশনার তার বক্তব্যে জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি আধুনিক জরুরি জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। যা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগামী রোগীদের জরুরি সেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট দেবে। করোনার পরও এটি এ দেশের মানুষের জন্য মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে। ভারতীয় হাইকমিশনার লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সের চাবি এবং চিকিৎসাসামগ্রী কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহার কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি নৌকায় লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তিনি পূজার আরতি অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং পূজারিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। | অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতিফলন: ভারতীয় হাইকমিশনার |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সব ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের আলীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান লাবলুর বাড়ির আঙিনায় মাস্ক বিতরণ করা হয়। হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ. কে. আজাদের সহায়তায় সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে মাস্ক তুলে দেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান, ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হাসান মিঠু, বদিউজ্জামান বাবুল, ইশতিয়াক আরিফ, আবু নাঈম, মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। এ সময় ছয় হাজার রি-ইউজ এবল মাস্ক বিতরণ করা হয়। | ফরিদপুরে আ'লীগের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | গোলাপগঞ্জে মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইনসান আলী (৩০) নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি উপজেলার ঘোষগাও গ্রামের কলম মিয়ার ছেলে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের শওকত আলীর ছেলে লায়েক আহমদকে (৪০) গ্রেপ্তার করে থানা-পুলিশ।জানা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রনকেলী নয়াগ্রামের বাসিন্দা ও গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর সাহেদ টেলিকম ও সাহেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাহেদ আহমদ পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীর ভাই ভাই কমপ্লেক্সের ৬ষ্ট তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ব্যবসার কাজ শেষ করে তাঁর ছোট ভাই জাহেদ আহমদ (২৭) বাসায় যাচ্ছিলেন। ৪র্থ তলার সিঁড়িতে যাওয়া পর আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৩ জন ছিনতাইকারী তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও বিকাশ-ফ্লেক্সিলোডে ব্যবহৃত ৮ / ১০টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাহেদ আহমদ। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাঁদের ধাওয়া করে ইনসান আলীকে আটক করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে লায়েক আহমদকে গ্রেপ্তার করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ। পরে সাহেদ আহমদ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। বর্তমানে ছুরিকাঘাতে আহত জাহেদ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।সত্যতা নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক ফয়জুল করিম বলেন, এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি চাকু ও ছিনতাইকৃত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। | গোলাপগঞ্জে মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, ব্যবসায়ী আহত |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন দেউলিয়া। ৩ বছর পর পর সম্মেলন হয়। ওদের মেয়াদ কদিন আগে শেষ হয়েছে কিন্তু সম্মেলন করতে পারছে না। একটা দলের প্রধান দুর্নীতির মামলার আসামী হয়ে জেলে। আরেকজন ভারপ্রাপ্ত বিদেশে পালিয়ে আছে খুন মামলার আসামী হিসবে। বিএনপির জন্য এটাই প্রাপ্য ছিল। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। খুনিকে আল্লাহ পছন্দ করে না। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খুনিদের পার্লামেন্ট সদস্য করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা দিয়েছে। আর আমাদের হাতে হাতকড়া পড়িয়েছে। যার কারণে বিএনপির এ পরিনতি। রোববার দুপুরে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে বাপ্তা ও কাচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। সভায় দুই ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী অত্যাচার- নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বিএনপির লোকজন লর্ডহাডিঞ্জে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। গজারিয়ার মালেকের ২টি চোখ তুলে নিয়েছে মেজর হাফিজ। এর কারণে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কতগুলো দলছুট নীতিহীন লোক ঐক্যজোট করেছে। এ ঐক্যজোট করে ৩০০ আসনের মধ্যে ৮টি আসন পেয়েছে। ওদের চেয়ে জাতীয় পার্টি বেশি পেয়েছে। সুতরাং এমন দিন আসবে এ বিএনপি নামক দলটির অস্তিত্ব আপনারা খুঁজে পাবেন না। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার। সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। | বিএনপির রাজনীতি এখন দেউলিয়া: তোফায়েল |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় এক কলেজছাত্রকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার তখলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণের নাম রাজু আহমেদ (২২)। তিনি তখলপুর গ্রামের আক্তার আলী শেখের ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শ্রীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বিশ্বাস এবং সাবেক ইউপি সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী আবদুর রউফের বিরোধকে দায়ী করেছেন স্থানীয় লোকজন। নিহত রাজু আহমেদের বাবা আক্তার আলী শেখ আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। এ সময় কাজী আবদুর রউফের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালান। তখন তিনি দৌড়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে যান। এরপর ঘরে থাকা তাঁর ছেলে রাজু আহমেদ বেরিয়ে আসেন। এ সময় বাবা-ছেলে দুজনের ওপরই চড়াও হন প্রতিপক্ষের লোকজন। তিনি বলেন, 'বাড়ির উঠানে ছেলেটার মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই সে ঢলে পড়ে। আমি ভ্যান চালিয়ে, কৃষিকাজ করে ছেলেটাকে মানুষ করছিলাম। আমরা একটা সামাজিক দল করি কিন্তু ছেলেটা এসব কিছুর মধ্যে ছিল না।' গতকাল সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর বাবা আক্তার আলী শেখ ও তাঁদের প্রতিবেশী কাবিল হোসেন। কাবিলকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই পক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তখলপুর গ্রামের একটি বড় অংশ দুটি সামাজিক দলে বিভক্ত। এর একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন মকবুল হোসেন বিশ্বাস। অন্য পক্ষে রয়েছেন কাজী আবদুর রউফ। গতকাল হামলার শিকার ব্যক্তিরা বর্তমান সদস্য মকবুল হোসেন বিশ্বাসের অনুসারী। স্থানীয় লোকজন জানান, গত ডিসেম্বরে ইউপি নির্বাচনের সময় থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। চলতি সপ্তাহে গ্রামের একটি মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ঘিরে সেটি চূড়ান্ত রূপ নেয়। তখলপুর হাতেম আলী মিয়া দাখিল মাদ্রাসা নামের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মকবুল ও রউফ দুজনই। গত শনিবার ওই নির্বাচন নিয়ে ডাকা বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন সাবেক সদস্য কাজী আবদুর রউফ। আগে থেকে এক পা ভাঙা রউফের অন্য পায়ে হাতুড়িপেটা করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এর পর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। বর্তমান ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বিশ্বাস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিরোধ তো আগে থেকেই চলছিল। তবে এই গ্রামে আগে কখনো খুন-খারাবির ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের হামলায় নিরাপরাধ একটি ছেলে প্রাণ হারাল। অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য কাজী আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, 'আমি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার কিছু লোকজন জড়িত বলে শুনেছি। তবে তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল হয়তো। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এ ঘটনা ঘটে গেছে। এর দায় মকবুল (বর্তমান ইউপি সদস্য) ভাইয়ের। কারণ, শুরুটা তিনিই করেছেন।' হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই পক্ষেরই কিছু লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুকদেব রায় প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষ আগে থেকেই বিরোধে জড়িয়ে ছিল। তারই জেরে এ হত্যাকাণ্ড। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। | মাগুরায় বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের বিরোধে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | দুবাইতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় হাতছাড়া হলো পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়ার ৯ম উইকেটের পার্টনারশিপ অস্ট্রেলিয়াকে পরাজয় থেকে রক্ষা করে। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাকিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয় ৮ উইকেটে ৩৬২ রান। জয় থেকে ঠিক ১০০ রান দূরে থাকতে খেলা শেষ হয়ে যায়। খাজা উসমান, হেড অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। আর শেষ বেলায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন এবং তার সাথে লিওঁ হাল ধরে নিশ্চিত পরাজয়কে ড্রতে পরিণত করেন। এটি তাদের কাছে জয়ের মতোই মনে হয়েছে। পেইন শেষ পর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯৪টি বল খেলেন তিনি। লিওঁ করেছেন মাত্র ৫ রান। কিন্তু এই রানের ফাঁকে তিনি ৩৪টি বল খেলে সময়টি পার করতে সহায়তা করেছেন। এটি কম কৃতিত্বের কাজ ছিল না। এই ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ইয়াসির শাহ। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আব্বাস। অস্ট্রেলিয়া আজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে। খাজা উসমান ৫০ আর হেড ৩৪ রান নিয়ে খেলতে নামে। এই জুটি দারুণ করে। চতুর্থ উইকেটে তারা তারা ১৩২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হেডের বিদায়ের মাধ্যমে এই জুটি ভাঙে। হেড ১৭৫ বলে ৭২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। কিন্তু খাজা উসমানের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকে। তিনি বিদায় নেন ১৪১ রানে। ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পৌঁছে যায় ৩৩১ রানে। তার আউটের পর মনে হচ্ছিল, অস্ট্রেলিয়ার অল আউট সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু না। পেইন আবার রুখে দাঁড়ান। তার হাফসেঞ্চুরি ম্যাচটিকে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা এনে দেয়। ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারছেন না পাকিস্তানের ইমামঅস্ট্রেলিযার বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারছেন না পাকিস্তান ওপেনার ইমাম-উল-হক। অসিদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে আজ ফিল্ডিং করার সময় কনুই আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের উঠতি এ ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময় আজ হাতের আঙ্গুলে আঘাত পান ২২ বছর বয়সী এ বাঁ-হাতি ওপেনার। পরে তার আঙ্গুলে চিড় ধরা পড়ে।পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক মুখপাত্র জানান, 'ফিল্ডিং করার সময় ইমামের বা হাতের কনুই আঙ্গুলে চিড় ধরা পড়েছে এবং আগামী ১৬ অক্টোবর আবু ধাবিতে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট থেকে তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।' এ বছর মে মাসে অভিষেক হওয়ার পর নিজের চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসে ইমাম যথাক্রমে ৭৬ ও ৪৮ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আাগমী ২৪ অক্টোবর আবু ধাবিতে শুরু হওয়া তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের আগে ইমামকে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। | রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় হাতছাড়া পাকিস্তানের |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | চুয়াডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় তার মামাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আকবর আলী নামে এক যুবক। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে ওই যুবকও নিহত হন। যুবকের ছুরিকাঘাতে ওই ছাত্রী ও তার নানা আহত হয়েছে। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। আর গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের প্রয়াত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোরে আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার স্কুলপড়ুয়া নাতনীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আকবর। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই ছাত্রীর মামা হাসান আলী (২৬)। আহত হন ওই ছাত্রী ও তার নানা। এদিকে গ্রামবাসী টের পেয়ে আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল ৮টার দিকে নিহতদের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান মো ওয়াহেদ রাজু জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের কারণে হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্যা ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। | চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় যুবককে হত্যা, গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | নোয়াখালীতে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে ৬ শতাধিক আক্রান্ত ও ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিস, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা জন প্রতিনিধিদের সূত্রে জানা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত গরমে জেলার প্রায় পুকুর, দিঘি-নালা, নর্দমা শুকিয়ে গেছে। যার ফলে গভীর ও অগভীর নলকূপের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলের পানি লবনাক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে সুবর্ণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জে ব্যাপক হারে ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাছুম ইফতেখার জানান, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৬০৬ জন। এর মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। এর আগে এপ্রিল ও মে মাসে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪ হাজার ৭৭১ জন এবং মারা গিয়েছেন ১৪ জন। সুবর্ণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশী বলে জানিয়েছেন জেলা জনস্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফ উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী। সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা এলাকার প্রায় বাড়িতে ২/৩ জন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশী বলে জানা গেছে। স্থানীয় আবুল কাশেম, আবদুর রহমান, নুরুল হুদাসহ এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ সময় গরমে তাদের বাড়ির পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তারা টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছেন। টিউবওয়েলের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি আয়রন ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ায় এবং বৃষ্টির পর পুকুরের জমানো পানি ব্যবহার করেই এই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, তারা ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা জরিপ করে দেখেছে যে, উপজেলার চরজব্বর, চরবাটা, চর জুবলী এলাকায় আক্রান্তের হার বেশি। এই পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে সচেতন হওয়ার জন্য তারা প্রচারনা চালাচ্ছেন। সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শায়লা জানান, কিছুতেই এ উপজেলার ডায়রিয়া পরিস্থিতি আয়ত্বে আনা যাচ্ছে না। এখানে ডায়রিয়ার এন্টিবায়োটিক ঔষধসহ পর্যাপ্ত কলেরা স্যালাইনেরও অভাব দেখা দিয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আনোয়ারা বেগম বলেন, গত নয় দিনে আমাদের এই ওয়ার্ডে শিশুসহ ৪৮৩ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন রোগী মারা গেছেন। ডায়রিয়ার এন্টিবায়িক ঔষধসহ পর্যাপ্ত স্যালাইনের সংকটের কথাও জানান তিনি। এদিকে নোয়াখালী সদর, বেগমগঞ্জ ও চাটখিলেও ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারী হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতেও ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। জেলায় কলেরা স্যালাইনসহ পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান। | নোয়াখালীতে ডায়রিয়ায় এক সপ্তাহে মৃত্যু ১০, আক্রান্ত সহস্রাধিক |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। গতকাল বুধবার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন। 'ঐতিহাসিক ৭ মার্চ' উপলক্ষে গতকাল এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়।প্রধান অতিথি বলেন, 'প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয়, তারা দেশের সম্পদ। প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সুনজর থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণে শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'৭ মার্চ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, 'ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল এই দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়েই; যা জাতি হিসেবে আমাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আজীবন স্মরণ রাখতে হবে'।অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের আশপাশ ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি কেন্দ্রের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। পরে জেলা পরিষদ থেকে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসনকেন্দ্রের সম্পাদক নুরুল আবছার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনোয়ারা জসিম, রাঙামাটি বধির সমিতির সভাপতি কানু দাশ, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। | প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে নতুন ভবন |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক মুহাম্মদ আখতার স্মরণে ধনবাড়ী উপজেলায় কিসামত মসজিদে দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে দোয়ার আয়োজন করেন তাঁর ছোট ভাই ধনবাড়ী মডেল কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক মুহাম্মদ আখতার ছাত্রাবস্থায় ছড়াকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি 'দৈনিক ইত্তেফাক'-এ সংশোধনী বিভাগে চাকরি নেন। পরবর্তী সময়ে মুহাম্মদ আখতার ইস্টার্ন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লি.-এ ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন। এখান থেকেই তাঁর ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক 'ললনা'। বাংলা টাইপ রাইটারের সংস্কার ও উন্নতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন।১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলসামস ও শান্তি কমিটির লোকেরা তাঁকে বাসা থেকে রাত ৯টায় তুলে নিয়ে যায়। স্বাধীনতার পর ১৮ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের লাশের সঙ্গে তাঁরও গুলিবিদ্ধ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ পাওয়া যায়। ১৯ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতেই লাশ দাফন করা হয়। | শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আখতার স্মরণে দোয়া |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, 'দুর্নীতিবাজদের সম্মান করলে সমাজ দুর্নীতিবাজে ছেয়ে যাবে। তাই দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করতে হবে।' আজ শুক্রবার বিকালে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের বিসিক মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। উত্তরা কালচারাল সোসাইটির (ইউসিএস) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
| দুর্নীতিবাজদের সম্মান করলে সমাজ দুর্নীতিবাজে ছেয়ে যাবে : জি এম কাদের
|
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবারকে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমদের এসব চেক হস্তান্তর করা হয়।আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের যৌথ আয়োজনে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমদ।বাঁখালীর জলদির রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের উদ্যোগে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবারকে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। | হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল অনুদানের চেক |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | নিত্যপণ্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়ার চাপে রয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে করোনায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার আপাতত আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছে না। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোই সরকারের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানান, প্রণোদনা দিলে অর্থনীতিতে আরও চাপ বাড়বে। আর অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পর্যালোচনা করতে হবে।করোনায় গত দেড় বছরে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে এসএমই, পর্যটন, পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি সেবা খাতের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। তাই ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা মহলের পক্ষ থেকে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত খাত চিহ্নিত করা এবং কোন কোন খাত কী রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) একটি জরিপ পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ফলাফল এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।এদিকে, করোনা কিছুটা সহনীয় হয়ে আসায় প্রায় সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসার পর নতুন করে বিপত্তি তৈরি করছে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। কিছুদিন ধরে প্রায় সবকটি নিত্যপণ্যের দামই অব্যাহতভাবে বাড়ছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবেই গত এক মাসে পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, আটাসহ প্রায় সবকটি নিত্যপণ্যের দামই কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাস্তবে এ বৃদ্ধি আরও বেশি। এতে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ অবস্থায় সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে পেঁয়াজ ও চিনির শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে প্রণোদনা দেওয়ার কথা সরকার আর ভাবছে না বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আর কোনো প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ ছাড়া আগের প্রণোদনাই এখনো ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি। আগেরটির বাস্তবায়ন দরকার। তিনি মনে করেন, পণ্যমূল্য যেভাবে বাড়ছে, এখন প্রণোদনা দেওয়া মানে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়া। এর ফলে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেওয়ার কোনো মানে নেই। প্রণোদনার চেয়ে বরং মূল্যস্ফীতির চাপ সামলানোই সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাবে দেখা যায়, দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে বেড়েছে। গত জুলাইয়ে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, সেখানে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে। একই সময়ের ব্যবধানে খাদ্যপণ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে গত এক মাসে নিত্যপণ্যের দাম যেহেতু অনেক বেড়েছে, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের হিসাবেও মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।এ ব্যাপারে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, 'বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ আমদানিযোগ্য প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে। ফলে এখানে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। এটা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করছে।' | পণ্যমূল্যের চাপে সরকার |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। | অনেক সময়েই ঘরে আসবাব, প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার পর ঘরের কোনাগুলো ফাঁকা পড়ে থাকে। এই ফাঁকা জায়গাগুলো কিছুটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ দেখা যায় বলে ইন্টেরিয়র বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে ফেরেন এ জায়গাগুলো যথাযথভাবে কাজে লাগানোর। এতে ঘরটি যেমন দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে, তেমনি এই অতিরিক্ত পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো জায়গাটুকু ব্যবহার করতে পারলে আমাদেরই লাভ হয়। এ ছাড়া আজকালের ছোট ফ্ল্যাটবাড়িতে ঘরের আয়তনের সর্বোচ্চ ব্যবহারই আমাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে ঘর সাজানোর সময়। তাই বাড়ির প্রতিটি ঘরেরই এই কোণগুলোর প্রতি আমাদের বিশেষ মনোযোগী হওয়া দরকার। চলুন দেখে নেওয়া যাক বেশ কিছু উপায়, যাতে ঘরের কোনাগুলো আর ফাঁকা পড়ে না থাকে। বাড়ির প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালের কোনাটি প্রায়ই আমরা দেখেও যেন না দেখার ভান করি। অথচ এই করোনার সময়ে জায়গাটিতে বাইরের কাপড়, বেল্ট, স্কার্ফ ইত্যাদি ঝোলানোর জন্য হুকযুক্ত স্ট্যান্ড বা ট্রি বসিয়ে দিলে কতই না সুবিধা হয়! এ ছাড়া নিচে বাইরের জুতা রাখার ব্যবস্থা রেখে একটি ছোট্ট তাকে বেরোনোর সময়ে অতিপ্রয়োজনীয় মাস্ক, স্যানিটাইজার, ছাতা ইত্যাদি রাখা যায়। বর্ষার দিনে ভেজা ছাতা বা রেইনকোট রাখার জন্যও এই কোনা কাজে লাগানো যায়। এরপরই আসে বসার ঘরের কোনাগুলোর কথা। সোফা সেট, টিভি, বুক শেলফ, শোকেস ইত্যাদি রাখার পর কোনাগুলো কেমন যেন করুণভাবে চেয়ে থাকে আমাদের দিকে। এই জায়গাগুলোতে সুযোগ বুঝে গাছপ্রেমী বাগানবিলাসী মানুষেরা অনায়াসেই ট্রি পড স্ট্যান্ডে বা বহুতল ধাতব লম্বা র্যাকে নজরকাড়া সব সাকিউলেন্ট, ক্যাকটাস বা অন্য রকম হাউসপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন। পলিশ করা কঞ্চি দিয়ে বানানো একটি ছোট লম্বা ফ্রেম তৈরি করে এতে একটি লতানো পাতাবাহার উদ্ভিদ তুলে দিলে একদম অন্য রকম একটা আবহ আসবে ঘরের কোণটিতে। আজকাল ঘরের কোণে সেট করা যায়, এমন অনেক তিন কোনা ধরনের তাক, সাইড টেবিল, র্যাক ইত্যাদি পাওয়া যায়। ফরমাশমতো কাঠ বা পার্টিকেল বোর্ড দিয়ে তৈরিও করে নেওয়া যায় এই আসবাবগুলো। এতে একটু বিশেষ ধরনের শোপিস, স্মৃতিময় পারিবারিক ছবির ফটোফ্রেম, বই-পত্রিকা ইত্যাদি অনেক কিছুই সাজিয়ে রাখা যায়। বসার ঘরের খালি একটি কোণে সুন্দর লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় টেবিল বা ওয়াল ল্যাম্প দিয়ে। বিশেষ কোনো উপলক্ষে বা লোডশেডিংয়ের সময়ও ঘরের একটি কোণে সুন্দর করে সাজানো সুগন্ধি মোমবাতির আলোয় মন ভরে উঠবে সবারই। এখন এ রকম ত্রিকোনাকার অ্যাকুয়ারিয়াম পাওয়া যায়, যা ঘরের এক কোণে রাখলে খুবই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লাগবে দেখতে। এমনকি ইনডোর ছোট টবের মতো জলাশয়ে জলজ উদ্ভিদ রেখে তা দিয়েও ঘরের কোণটি সাজানো যায়। শোবার ঘরের কোণগুলোকেই-বা হেলাফেলা করা কেন। কারও যদি সেলাই ফোঁড়াই বা যেকোনো ক্র্যাফটিং, যেমন কাগজ দিয়ে কুইলিং, উল বা কুরুশকাঁটার কাজ ইত্যাদির শখ থাকে, তবে শোবার ঘরের একটি খালি কোণে রীতিমতো একটি ওয়ার্ক স্টেশন বা কাজের জায়গা করে নেওয়া যায়। কয়েকটি স্টোরেজ বাক্স বা লম্বালম্বি করে কটি দেরাজযুক্ত ছোট টেবিল সাজিয়ে নিলেই সেখানে নিজের শখের কাজে ডুবে যাওয়া যায় অবসর সময়ে। বই পড়ার অভ্যাস থাকলেও শোবার ঘরের এক কোণে একটি ছোট আরামদায়ক সোফা বা আর্মচেয়ার রাখা যায়। সঙ্গে শেডযুক্ত টেবিল ল্যাম্প থাকলে ঘরের ঘুমিয়ে থাকা সঙ্গীদের কষ্ট হবে না রাত জেগে আরেকজন বই পড়লে। এই কোনার জায়গাটি লেখালেখি বা কম্পিউটারে কাজ করার জন্যও ব্যবহার করা যায় মাপমতো ডেস্ক বসিয়ে। এখন ঘরের জায়গা দখল করে বলে প্রথাগত ড্রেসিং টেবিলের চল কমে যাচ্ছে। কিন্তু ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে বসে সময় নিয়ে খোঁপা-বিনুনি বাঁধা আর চোখের কাজল-আইলাইনার দেওয়ার মধ্যে যে কী আনন্দ, তা নারীমাত্রই জানেন। ফরমাশমতো বানিয়ে বা কিনে ছোট জায়গা নেয় কিন্তু লম্বায় উঁচু এমন ড্রেসিং টেবিল রাখা যায় এমন একটি অব্যবহৃত কোনায়। তার নিচের অংশটি খালি রাখলে তাতে অনায়াসে এঁটে যাবে একটি কুশন দেওয়া টুল। শোবার ঘরের কোনায় ত্রিপদী টুলে বা কোণ ঘেঁষে রাখা তাকেও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে রাখা যায়। ছোটদের ঘরের কোণগুলো ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন শিশুদের চলার পথে তা বাধা সৃষ্টি না করে। আর লুকোচুরি খেলার জন্যও তো কিছু কোণ খালি রাখা দরকার! তারপরও কোনায় রাখা ডলহাউস বা প্লে হাউসটি অথবা নরম আলোর সুন্দর একটি নিশিবাতি বা নাইট লাইট কিন্তু ঘরটিকে শিশুর কাছে আরও মনোরম করে তুলতে পারে। শিশুর নিত্যদিনের খেলাসামগ্রী, যেমন ক্রিকেট ব্যাট, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, বল, ব্লক, পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল ইত্যাদি রাখার জন্য ঘরের এক কোণে একটি বড় ঝুড়ি রেখে দিলে মন্দ হয় না। এতে তারা সহজেই খেলার সময় এগুলো খুঁজে পাবে। আজকাল ফ্ল্যাটবাড়িগুলোর রান্নাঘর এত ছোট হয় যে সেখানে কাজ করাই এক দুষ্কর ব্যাপার। আর সেই সঙ্গে বছরের বেশির ভাগ সময়জুড়ে দাবদাহ তো আছেই উপরি হিসেবে। রান্নাঘরের এক কোণে একটি ফ্যান ওয়ালে বা স্ট্যান্ডে লাগিয়ে নিলে যিনি রান্না করেন, তিনি সময়-সুযোগমতো একটু দাঁড়াতে পারেন তাঁর কাছে। কাটাকুটির জায়গাসংলগ্ন এক কোণে ফ্যানটি দিলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন চুলায় সরাসরি বাতাস লেগে রান্নায় ব্যাঘাত না ঘটে। চা-কফি বানানোর কেটলি, ব্লেন্ডার, টোস্টার, রাইস কুকার ইত্যাদি রাখার জন্য রান্নাঘরের এক কোণে একটি শক্তপোক্ত কয়েক তলা তাক বানিয়ে রাখলে তা খুবই সুবিধাজনক হয়। আবর্জনা ফেলার মুখ ঢাকা পেডাল বিনটিও রান্নাঘরের এক কোণে রাখলেই ভালো। বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বাথরুম বা ওয়াশরুম। তাই এর খালি কোনাগুলো আমাদের ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। ওয়াশ রুমের এক কোনায় ভালো মানের প্লাস্টিকের ড্রয়ারে বা বাক্সে ব্লিচিং পাউডার, গুঁড়া সাবান, টয়লেট পরিষ্কারক সলিউশন ইত্যাদি ভরে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা যায়। আবার এক কোণে একটি হাউসপ্ল্যান্ট বা সাবান শ্যাম্পু গুছিয়ে রাখার লম্বা স্ট্যান্ড রাখলেও ভালো দেখাবে। অনেক সময় বাথরুমের এক কোনায় সেট করা যায়, এমন বিশেষ আকৃতির সিঙ্ক বা বাথটাব লাগানো হয়, যা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি জায়গা বাঁচানোর খুব ভালো একটি উপায়। ছোট ফ্ল্যাটটির যতটুকু জায়গা কাজে লাগানো যায়, ততটুকুই লাভ। আর কোনায় কোনায় জিনিস রাখলে ঘরের দেয়ালের পরিধি বড় মনে হয় দেখতে। আবার অভিনব সব উপায়ে ঘরের কোনাগুলো সাজিয়ে নিতে পারলে নিঃসন্দেহে তা নান্দনিকতার পরিচয় দেয়। সমঝদার অতিথির চোখে ভূয়সী প্রশংসা ঝরবেই যদি বসার ঘরে ঢুকেই তার চোখে পড়ে এক কোণে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা অ্যান্টিক বড় পিতলের ফুলদানি বা গ্র্যান্ড ফাদার ক্লক। খাবারঘরে এসে খাবার টেবিলের বাইরে ঘরের এক কোণে ডেজার্ট বা পানীয় পরিবেশনের আলাদা আয়োজনও মন কাড়বে সবার। ছুটির দিনে ঘরের এক কোণে রাখা দোলনা বা রকিং চেয়ারে বসে বইয়ের দুনিয়ায় ডুবে যাওয়া যায়, ভেসে যাওয়া যায় পছন্দের সংগীতের স্রোতেও। | সাজিয়ে তুলুন ঘরের ফাঁকা কোনাগুলো |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | একটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে উপেক্ষা করেই দুষ্টুমিতে মত্ত। রোলার দিয়ে একজন আরেকজনকে খোঁচা দিচ্ছে। চলছে নাকে পেনসিল রাখার প্রতিযোগিতা। অনেকে আবার অন্যের নোট খাতা কেড়ে নিচ্ছে। সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষক। এরই মাঝে এক বাবা তার ডানপিটে সন্তানকে জোর করে স্কুলে নিয়ে এসেছেন। ক্রোয়েশিয়ার একটি জাদুঘরে এ দৃশ্যের দেখা মিলবে। তবে এ চিত্রের কেউ মানুষ নয়, একেকটি মৃত ব্যাং। এগুলো ১০০ বছরের বেশি সময় আগে মারা গেছে। এমনভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যাতে মনে হবে জীবিত ব্যাং। এ জাদুঘরের নাম দেওয়া হয়েছে 'ফ্রগিল্যান্ড' বা বাংলায় বললে ব্যাঙের দেশ। মানুষের জীবনে যেসব নীতিকথা মেনে চলতে হয়, সেগুলোর সহজ উদাহরণ দিতে প্রাণীকে বেছে নিয়েছিলেন গ্রিক পণ্ডিত ঈশপ। জঙ্গলের প্রাণীদের নিয়ে বানানো গল্পকে উপজীব্য করে তিনি মানুষকে নীতিকথার দিকে ডেকেছেন। এসব গল্পকে বলা হয় 'ঈশপের গল্প'। সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে এই কাল্পনিক জীবনচিত্র।ঈশপের দেখানো পথে না হাঁটলেও তার একটি অংশ বেছে নিয়েছেন হাঙ্গেরির চর্মবিদ্যা বিশারদ ফেরেন্স মেরে (১৮৭৮-১৯৪৭)। তবে কাল্পনিক কোনো গল্পের অবতারণা কিংবা নীতিকথার দিকে টেনে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না তাঁর। তাই বাস্তব একটি দুনিয়া দেখানোর উদ্যোগ নেন। তিনি বেছে নিয়েছিলেন লেজবিহীন উভচর প্রাণী ব্যাংকে। তবে জীবিত ব্যাং দিয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ। তাই ব্যাং ধরে মারতে শুরু করেন ফেরেন্স। এ ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি অনুসরণ করেন তিনি। প্রতিটি ব্যাঙের মাথার দিকে কর্ক ঢুকিয়ে মারা হতো যাতে করে দেহের কোনো ক্ষতি না হয়। এর পর এক ধরনের রাসায়নিকে সংরক্ষণ করা হতো। এভাবে ১০ বছরে প্রায় ১ হাজার ব্যাং জমা করেন তিনি। তারপর সেগুলোকে এমনভাবে একটি ডায়াগ্রামে সাজান যাতে করে মানুষের জীবনযাত্রার বিভিন্ন দৃশ্য ফুটে ওঠে।মানুষ তার প্রাত্যহিক জীবনে যা যা করে, তার কিছু খণ্ডচিত্র দেখা যাবে এসব ডায়াগ্রামে। স্কুলে ক্লাস চলছে, কয়েকজন বন্ধু একত্রে বসে তাস খেলতে খেলতে সিগারেট ফুঁকছে, অনেকে বসে মদ খাচ্ছে, কেউ কেউ বিলিয়ার্ড খেলছে কিংবা সুইমিংপুলে ডাইভ দিচ্ছে। রয়েছে চিত্রগ্রাহক, চিকিৎসক ও নৌকার মাঝিও। সার্কাস দেখিয়ে বিনোদন দিচ্ছে একদল। দেখে ক্ষণিকের জন্য হলেও জীবনের মানে খুঁজে পাওয়া যাবে। ডায়াগ্রামে দেখা মিলবে বিভিন্ন পেশার। দেখা যাবে, কাঠ কেটে আসবাব বানাচ্ছে এক দল মিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রির পাশাপাশি চোখে পড়বে রাজমিস্ত্রির দিকেও। ১৯২৭ সালে বর্তমান সার্বিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘর দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ক্রোয়েশিয়ার আইভান মেডভেসেক নামক এক ব্যক্তির কাছে। ৫০ বছর আগে তাঁর বাবা এগুলো কিনে সংরক্ষণ করে রাখেন। প্রতিদিন উৎসুক দর্শক চমৎকার এ দৃশ্যগুলো দেখতে আসেন। ২০১৯ সালে জাদুঘরটিতে এসেছিল প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক। তাদের মধ্যে স্থানীয়দের সংখ্যা কম। 'তাদের কাছে ব্যাঙের চিত্র দেখার চেয়ে ব্যাং খাওয়াটা বেশি আনন্দের'-আশপাশের মানুষদের নিয়ে মজা করে এমনটাই বলছিলেন মেডভেসেক।তবে করোনার কারণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিনিয়োগকারীর কাছে ২১টি ডায়াগ্রামের সবগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন মেডভেসেক। অচিরেই সেগুলো চলে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নিরাপত্তায় থাকা কোনো হলরুমে। হাজার হাজার চোখ তাদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে। মমির মতো ব্যাঙগুলো শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দেবে। নীরবে আন্দোলিত করবে বিমর্ষ চিত্তকে। | ব্যাঙের জাদুঘর |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় মারার ঘটনায় পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌরসভা-২ শাখার উপ-সচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামালপুর জেলাধীন দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সরকারি দায়িত্ব পালনরত মো. মেহের উল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় পৌর মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ'র বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে মেয়রের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় মারলেন মেয়র প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহনেওয়াজ শাহানশাহ'র আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত ও অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল যা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে সরকার মনে করে। এ কারণে তাকে স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩১-এর উপ-ধারা (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্দেশক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড়: দেওয়ানগঞ্জের পৌর মেয়রকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এবং অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এর আগে একইদিন মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় দেওয়ায় মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় ঘোষণা মঞ্চ থেকে পৌরসভার মেয়র মো. শাহনেওয়াজ শাহানশাহ'র নাম দেরিতে ঘোষণা করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও তাকে চড় মারেন।। এ ঘটনায় পৌর মেয়রকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ বলেন, "জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের পরামর্শ অনুযায়ী আমি থানায় মামলা করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামির গ্রেপ্তার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।" | শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড়: দেওয়ানগঞ্জের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ির মধ্যেই টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে জম্মু-কাশ্মীরে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা আংশিক চালু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়। ঈদুল আযহা উপলক্ষে কর্তৃপক্ষের নেওয়া ওই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি শুক্রবার জুমার নামাজ উপলক্ষে মানুষের চলাচলেও কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি বলছে, টানা কয়েদিনের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়; তবে তা পুরোপুরি নয় আংশিক। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের জন্য সকাল থেকে মানুষের চলাচলের ওপর কিছুটা ছাড়া দেওয়া হয়। বড় বড় মসজিদগুলোতে না হলেও ছোট মসজিদগুলোতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। মসজিদের সামনে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছেন তারা। ভারতের রাজ্যসভায় সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়। ৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইমরান খান। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন জাতিগত নিধন চালানো হবে। ৩৭০ ধারা বাতিল করায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত সপ্তাহ থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিল পাসের পর উপত্যকার বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। শহর ও গ্রামগুলোর আশপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুরো অঞ্চলে টিভি চ্যানেল, ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। | কাশ্মীরে আংশিক চালু ফোন-ইন্টারনেট সংযোগ |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। আজ বুধবার বিকেল ৫টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যাবেন তিনি। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনরা দেখা করেছেন। স্বজনদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, 'তার শরীরের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক নাজুক। তিনি একা হাঁটতে পারছেন না। আমরা আজকের মধ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।' বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অবনতি ঘটেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ওনার দুই হাঁটু প্রতিস্থাপন করা। এটাকে নরমাল এক্স-রে মেশিনে, নরমাল সিটিস্ক্যানে ও নরমাল এমআরআইতে হবে না। এ জন্য স্পেশাল এমআরআই, স্পেশাল সিটিস্ক্যান ও স্পেশাল হসপিটালাইজেশন প্রয়োজন হবে। এই জিনিসগুলো দিতে সরকার কোনোভাবেই রাজি হচ্ছে না।' গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। | বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন আজম খান |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | কলেরা-ডায়রিয়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের পেটের অসুখ। একসময় এগুলো মহামারি আকারে ছড়াত এবং শহর-গ্রামের মানুষ দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত। একসঙ্গে কয়েকটি গ্রামের মানুষ কলেরার আক্রমণে উজাড় হয়ে যাওয়ার কথা এখন শুধু গল্প। দূষিত পানি পান পরিহার ও সামান্য স্যালাইন পানির আবিষ্কারে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। সরাসরি হাওর, পুকুর, নদীর পানি পান করা থেকে মানুষ সাবধান হয়েছে। তারপর এর প্রতি মানুষের ভীতি কমে গেছে।কিন্তু কলেরা-ডায়রিয়ার সংক্রমণ থেমে যায়নি। এখনো বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর এসব রোগে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে সারা বছর কোথাও না কোথাও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যেতে দেখা যায়। গরম শুরু হলে এর প্রকোপ শুরু হয় এবং বড় বড় শহরের দরিদ্র ও জনবহুল এলাকায় এর সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ বছর মার্চের শুরু থেকে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বস্তি এলাকাগুলোতে এর প্রকোপ প্রবল হয়ে উঠতে থাকে।মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে মহাখালীর আইসিডিডিআরবির কলেরা হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হতে থাকে। সেখানে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকার রোগী বেশি এসেছে বলে জানা গেছে। এসব রোগী শরীরে মারাত্মক পানিশূন্যতা নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন পাতলা পায়খানা, ঘন ঘন বমি, জ্বর, অবশ শরীর নিয়ে এসেছে অনেকে। তাদের পরপর চারটি করে স্যালাইন দিতে হচ্ছে। গত ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন হাজারের বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। সাত দিনের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ প্লাস হতে থাকলে হাসপাতালে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় চিকিৎসা নিয়ে সংকট তৈরি হতে থাকে। এ অবস্থায় দুটি বড় তাঁবু টানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হলেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।মার্চের ২০ তারিখ ছিল বিশ্ব পানি দিবস। সেদিন আইসিডিডিআরবির কলেরা হাসপাতালে প্রতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ জন রোগী মারাত্মক পানিশূন্যতা নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। সুজলা-সুফলা পানির দেশ বাংলাদেশ, বন্যার সময় দেশটির সিংহভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি উধাও হয়ে যায়। মিঠাপানির উৎস নদী, খাল, বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ টিউবওয়েলের পানি পানে অভ্যস্ত হলেও শহরের মানুষ ওয়াসার পাইপে সরবরাহকৃত পানি পান করে। ওয়াসার অতি পুরোনো পানির পাইপলাইনে ত্রুটি থাকায় সেই পানিতে ময়লাসহ মারাত্মক দূষণ পাওয়া গেছে। অধুনা গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পানি ফুটিয়ে পান করার প্রবণতা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কমে গেছে। বস্তিতে বসবাসরত মানুষ কোনোমতে সংগ্রহকৃত পানি না ফুটিয়েই পান করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।গরমকাল শুরু হলে শহরগুলোতে মশা বেড়ে যায়। সারা দেশে কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদি অসুখের প্রকোপ বাড়ে। আড়াই বছর ধরে করোনার কারণে মানুষের এসব অসুখের কথা কেউ ফোকাস করেনি। হয়তো করোনার ভয়ে এগুলোর কথা মানুষ পাত্তা দেয়নি। এ ছাড়া করোনার সময় মানুষ ঘরবন্দী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় বাইরের খাবার ততটা খায়নি।এ বছর করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়ে পড়ে। খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে চরম অসতর্ক হয়ে যায়; বিশেষ করে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা পুনরায় খোলা খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ে; বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চারা ভ্যানে খোলা দোকানের খাবার-আচার, নকল আইসক্রিম, জুস, বেলের শরবত, চটপটি, আখের রস, ঝালমুড়ি ইত্যাদি খেতে খুব পছন্দ করে। শরবতের মধ্যে দূষিত পানি দ্বারা তৈরি বরফ ব্যবহার করা হয়। পুরোনো বোতলে ট্যাপের দূষিত পানি ভরিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা করে নকল লেবেল লাগিয়ে ফেরি করে বিক্রি করে একশ্রেণির অসাধু মানুষ। জীবিকার তাগিদে এটাই তাদের ব্যবসা।নিম্ন আয়ের মানুষ রাস্তার পাশের খোলা দোকানের ভাত, বাসি-পচা খাবার, অ্যালোভেরা ভেষজ পাতার পিচ্ছিল শরবত, লেবুর শরবত, বেলের শরবত ইত্যাদিতে অভ্যস্ত। সেসব দোকানে একই গ্লাস না ধুয়ে সবাইকে পরিবেশন করা হয়। অথবা ময়লা বালতির পানিতে একবার চুবিয়ে গ্লাস, থালাবাটি ধোয়া হয়। বাসস্ট্যান্ডে, ফেরিঘাটে, অনেক জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টে পানির অভাবে একই পদ্ধতিতে গ্লাস, থালাবাটি ধোয়া হয়।বর্তমানে করোনার ভয় কমে যাওয়ায় বিত্তবান পরিবারের মানুষ ভ্রমণে বের হয়ে পুনরায় দোকানের ফাস্টফুড খেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সমুদ্রসৈকত, পর্যটনকেন্দ্র ও শহরের দামি রেস্তোরাঁগুলোতে পার্সেল অর্ডার এবং সশরীরে গ্রাহকদের ভিড় দেখে তা-ই মনে হয়। এগুলোতেও ভাজাপোড়া খাবার বিক্রি হয় বেশি, যা অস্বাস্থ্যকর।হঠাৎ বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ ও নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া-কলেরার মতো পেটের পীড়া বেড়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ ছাড়া শহরের দরিদ্র এলাকাগুলোতে সুপেয় পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে দূষিত পানি ব্যবহার করছে। দ্রব্যের মূল্যস্ফীতির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমে গেছে। পথের পাশের কম মূল্যে পাওয়া যায়-এমন খাদ্য তারা গ্রহণ করছে। ফলে বহুদিন ধরে নোংরা ড্রামে রক্ষিত পানি ও নিম্নমানের ভাজা-পোড়া, পচা, বাসি খাবার খেয়ে তারা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।তাই সভ্যতার উন্নত শিখরে ওঠার ধ্বজাধারীদের একটু পাশেই দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও বিশুদ্ধ পানি, সুখাদ্য, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত আট দিনে আইসিডিডিআরবির কলেরা হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিরা রিকশাচালক, শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের ক্ষুদ্র পেশার মানুষ। আর সঙ্গে সচ্ছল কিন্তু অসচেতন পরিবারের স্কুলগামী অবাধ্য বা অবুঝ শিশু।এদের সবাইকে পথের পাশের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখাও বেশ কঠিন কাজ। তবে ভাসমান খাদ্যের দোকানগুলোকে বিকল্প ব্যবস্থায় সরিয়ে দিতে হবে। নতুবা মানসম্মত খাবার বিক্রি না করার জন্য জরিমানা করে সজাগ করে দিতে হবে। তাদের বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি বিক্রি অথবা বিনা মূল্যে সরবরাহ করার জন্য বাধ্য করতে হবে। হজের সময় যেভাবে আরব সমাজের বিত্তশালীরা পানি ও জুসের বোতল বিনা মূল্যে সরবরাহ করে, আমাদের সমাজের ধনীরা সেভাবে বস্তিবাসী ও পথমানুষদের পেটের অসুখ ঠেকানোর জন্য সুপেয় পানি, স্যালাইন প্যাক, জুসের বোতল ইত্যাদি সরবরাহ করার জন্য উদার হতে পারে; বিশেষ করে আসন্ন রমজান মাসে এ কাজটি করতে পারলে অতি উপকার হবে এবং ক্রমবর্ধমান কলেরা-ডায়রিয়ার সংক্রমণ ঠেকানো সহজ হতে পারে। এত উন্নত যুগে বাস করেও আমাদের দেশে বারবার কলেরা-ডায়রিয়ার মারাত্মক প্রকোপ কেন ঘটে? তা তো আমাদের চলমান হতদরিদ্র অবস্থা নিরূপণের একটি বড় সূচক হিসেবে বিবেচিত হতে দেরি হবে না।ড. মো. ফখরুল ইসলাম, অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | এত উন্নত যুগে কলেরা-ডায়রিয়া কেন? |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | পূর্ণিমা কাঁধে ব্যথা পেয়েছেন, ফেরদৌস বাঁ পায়ের হাঁটুতে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে গেছে। গতকাল সকালে তারা দুজনই বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। তাই ছবির শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল বিকালে ঢাকায় ফিরেছেন দুজন। তাদের সুস্থতার ওপর পরবর্তী শুটিং ডেট নির্ভর করবে।' এমনটি জানিয়েছেন, 'গাঙচিল' ছবির নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। রবিবার শুটিং চলাকালে নায়ক ফেরদৌস ও নায়িকা পূর্ণিমা বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন। পরে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাদের নেওয়া হয়। এক্স-রে করার পর শঙ্কামুক্ত বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আ ফ ম আবদুল হক জানান। বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব | কেমন আছেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা? |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটসবার্গে ইহুদি উপাসনালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় হতাহত ইহুদিদের জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়। এরই মধ্যে কয়েক লাখ ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুসলিম নেতারা। অর্থ সংগ্রহ অভিযানটি শুরু হয় মুসলিম নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত ওয়েবসাইট 'লঞ্চগুড' এর পক্ষ থেকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, 'হামলায় আহত ব্যক্তি অথবা স্বজন হারিয়েছে এমন পরিবার-সবাইকেআমরাসাহায্য করবো।' মুসলিম কমিউনিটি নেতা তার্ক আল মেসিদি জানান, প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই ৪৩ হাজার ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। এত দ্রুত এত টাকা উঠবে সেটা ভাবেননি তারা। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের পিটসবার্গে ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগে বন্দুকধারীর হামলায় ১১ জন নিহত হয়। এতে আহত হয় ৬ জন। হামলা চলাকালে উপসনালয়ে বহু মানুষের উপস্থিতি ছিল। সবাই তখন উপাসনালয়ে প্রার্থনারত ছিলেন। আকস্মিক এক বন্দুকধারী চিৎকার করে গুলি করতে থাকে এবং বলতে থাকে, 'সব ইহুদিকে মরতে হবে'। হামলার পর তিনটি পিস্তল ও একটি রাইফেলসহ হামলাকারীরবার্ট বাওয়ার্সকে গ্রেফতার করে পুলিশ। | পিটসবার্গে হতাহত ইহুদিদের আর্থিক সাহায্য করছে মুসলমানরা |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | আবেদন করেছিলেন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রশ্নপত্র হাতে পেলেন। আপত্তির পরও এই প্রশ্নপত্রেই দিতে হলো পরীক্ষা। তবে আশার কথা হলো কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করেছে। তারা বলেছে, ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীদের 'সঠিকভাবে' মূল্যায়ন করা হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা দিতে আসা কয়েক শ চাকরিপ্রার্থী এই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি খিলগাঁও গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘটেছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন, বেলা তিনটায় এমসিকিউ পরীক্ষা শুরু হলে তাদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের প্রশ্ন দেওয়া হয়। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা পরীক্ষককে জানান। পরীক্ষক বিকেল চারটার পর আবার পরীক্ষা হবে বলে আশ্বস্ত করলেও আর পরীক্ষা নেননি। | মৎস্য অধিদপ্তরে নিয়োগ: এক পদে আবেদন, অন্য পদে পরীক্ষা |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | জাতীয় পার্টি কারো দয়া বা ভিক্ষার রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এ উপনেতা বলেন, জাতীয় পার্টি মহাজোটে নেই, জাতীয় পার্টি কোনো জোটেই নেই। পেশীশক্তি, কালোটাকা আর প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত করা হয়েছে। ফলে একটি দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনে জিতছে। তাই রাজনীতির মাঠে অন্য দলগুলোর টিকে থাকাই দুরুহ হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আনুষ্ঠানিকভাবেই দেশে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। যারাই সরকার গঠন করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে রাজনীতি করছে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বি-টিম নয়। নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় কখনোই আপস করছে না। কারো করুণা নয়, সম্মানের জন্য রাজনীতি করছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে মানুষের ভোটের অধিকার নেই। দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে, তাই ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ নেই। দুর্নীতি, দুঃশাসন আর লুটপাটের রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির সংগ্রাম চলবে। এসময় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও মহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের, উপদেষ্টা ও মহিলা পার্টির সদস্য সচিব হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল হোসেন, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সদস্য সচিব মো: নিজাম উদ্দিন সরকার, জাতীয় তরুন পার্টির আহ্বায়ক মো: জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় শ্রমিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো: ইব্রাহিম খান জুয়েল, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজাহার ইসলাম সরকার, জাতীয় তাঁতী পার্টির সদস্য সচিব মো: আক্তার হোসেন, জাতীয় হকার্স পার্টির সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন আনু, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, পল্লীবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মো: মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব একেএম আশরাফুজ্জামান খান, যুবসংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন। | জাতীয় পার্টি মহাজোটে নেই : জিএম কাদের |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভলিবল খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবাউল সরকারের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাজহাট থানায় পাঁচ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মেজবাউল মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন-ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুব্রত ঘোষ, বাংলা বিভাগের রুবেল হোসেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ফজলে রাব্বী, আকাশ আহমেদ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ হয়ে মারপিট, গুরুতর জখম ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইজার আলী প্রথম আলোকে বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থী মেসবাউল সরকার বাদী হয়ে গতকাল তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় দলবদ্ধ হয়ে মারপিট, গুরুতর জখম ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা হয়। মামলার তদন্তসহ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে, তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তবিভাগ ভলিবল টুর্নামেন্ট চলাকালে গত ২৯ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী, আকাশ আহমেদ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবাউল সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকা থেকে মুখতার ইলাহী হলের দিকে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু হলের কাছে পৌঁছালে তাঁরা আবারও মেজবাউলের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা রড, লাঠি, হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে মেজবাউল জ্ঞান হারান। পরে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণিত বিভাগের অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়কে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখারও আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। এদিকে গতকাল মামলা হওয়ার পর ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকলেও ক্যাম্পাস ও প্রধান ফটকের সামনের পার্ক মোড় এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীদের সবার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। | শিক্ষার্থীকে হামলার ঘটনায় মামলা, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক হামলায় চারটি মেয়েকে হারিয়েছিলেন ইজেলদিন আবুয়েলাইশ। ১২ বছর ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন ফিলিস্তিনি এই চিকিৎসক। সন্তান হারানোর চেয়ে বড় কষ্ট আর কী আছে? ইজেলদিন আবুয়েলাইশ এক রাতেই হারিয়েছেন নিজের তিন কন্যাসহ চারজনকে। নিজের মেয়ে মায়ার (১৫), আয়াহ (১৩) এবং বেসান (২১) আর ভাতিজি নূর (১৫) এর হত্যার বিচার চেয়ে ইসরায়েলের আদালতে মামলা করেছিলেন ডা. ইজেলদিন আবুয়েলাইশ। আদালতের নির্দেশে ঘটনা তদন্ত করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তদন্ত শেষে তারা দাবি করে, যুদ্ধপরিস্থিতিতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত। আদালত সেই ব্যাখ্যা মেনে নেয়ায় মামলা হেরে যান ইজেলদিন আবুয়েলাইশ। কিন্তু নিম্ন আদালতের এ রায় মেনে নেননি ইজেলদিন আবুয়েলাইশ। ইসরায়েল সরকারের ক্ষমা প্রার্থনা এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে আপিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে তিন সন্তান এবং আরেক সন্তানতুল্যকে হারানোর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ডা. ইজেলদিন। গত সোমবার নিহত চারজনের ছবি দেখিয়ে আদালতে ডা. ইজেলদিন বলেন, ''আশা করি বিচারকরা সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে থেকে আমার মেয়েদের ও ভাতিজির জন্য সুবিচার পেতে সহায়তা করবেন'' এ সময় বিচারক বলেন, ভীষণ দুঃখজনক এক ঘটনার শিকার ইজেলদিনের প্রতি তিনি পূর্ণ সহানুভূতিশীল। আপিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনো জানানো হয়নি। ২০০৯ সালের ওই সময় ইসরায়েলের এক হাসপাতালে চাকরি করতেন ডা. ইজেলদিন। কিন্তু গাজার সেই বাড়িতে আর থাকা হয়নি। বাড়ি ছেড়েছেন, দেশও ছেড়েছেন। এখন তিনি কানাডা প্রবাসী। মেয়েদের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে 'ডটার্স ফর লাইফ' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় সহায়তা করে 'ডটার্স ফর লাইফ'। মামলায় ক্ষতিপূরণ পেলে সেই টাকাও সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানের পেছনেই খরচ করতে চান ডা. ইজেলদিন আবুয়েলাইশ। সূত্র: ডয়েচে ভেলে। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২ বছর ধরে লড়ছেন 'এক লড়াকু' ফিলিস্তিনি পিতা |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন নিয়ে পাবনার বেড়া উপজেলার ৪ নম্বর চাকলা ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিসে ককটেল হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে ওই ইউনিয়নের পাচুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহম্মদ (৩০) ও সিমান্ত (২৫) নামের দুই নৌকাসমর্থক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করছে বেড়া থানার পুলিশ।এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী সরদারকে দায়ী করছেন। অন্যদিকে ইদ্রিস আলী সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে।জানা যায়, আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে চাকলা ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দুবারের নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী সরদার ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাওন আহম্মেদ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। গত সপ্তাহে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় পত্রে এই দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিনই রাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাচুরিয়া গ্রামে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে একদল দুষ্কৃতকারী রাতের অন্ধকারে আগুন দেয়। এ ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করে অভিযোগ দেওয়া হয়।নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা ফারুক হোসেন বলেন, 'গতকাল রাত ৯টার দিকে পাচুরিয়া বাজারসংলগ্ন দাখিল মাদ্রাসা এলাকার নির্বাচনী অফিসে সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সভা শুরুর পূর্বমুহূর্তে চারটি মোটরসাইকেলে করে একদল মুখোশধারী তাঁর সভায় ককটেল হামলা চালায়। তারা সেখানে পরপর চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়ে আমার দুই সমর্থক আহত হন।ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা ইদ্রিস আলী সরদার বলেন, 'শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনকে মাঠ দখলের নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিতে চেয়ারম্যান ফারুক ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে নানা ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। ইউনিয়নবাসী ভোটের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেবেন।'বেড়া থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছে। সেখান থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। | বেড়ায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল হামলার অভিযোগ, আহত ২ |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নতুন করে কোনো সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার। বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তুরস্ক নতুন করে কোনো সেনা না পাঠালেও বর্তমানে যে তুর্কি সেনারা ন্যাটো জোটের সাথে আফগানিস্তানে আবস্থান করছে তারা কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি এ কথাও বলেন যে তুকি সেনারা তখনই কাবুলের এ বিমানবন্দর পাহাড়া দিবে যখন তাদের শর্তগুলো পূরণ করা হবে। তবে তুরস্ক থেকে অতিরিক্ত কোনো সেনা আফগানিস্তানে পাঠানো হবে না। তিনি আরো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন প্রতিনিধি তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকি সুলেভান বলেন, 'গত সপ্তাহে বাইডেন ও রজব তাইয়্যেব এরদোগান ন্যাটো সম্মেলনের এক বৈঠকে একমত হয়েছেন যে ন্যাটো সেনারা চলে যাবার পর তুরস্ক কাবুল বন্দরের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালনে মূল ভূমিকা পালন করবে। ওই বৈঠকের পর রজব তাইয়্যেব এরদোগান এ বিষয়ে বলেন, 'কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কূটনীতিক, আর্থিক ও রসদ (সামরিক ও বেসামরিক) সাহায্য চায় তুরস্ক। এছাড়া তুরস্ক চায় হাঙ্গেরি আর পাকিস্তানও কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তায় থাকবে। অবশ্য তালেবান বলছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা চুক্তি অনুসারে অন্যান্য বিদেশী বাহিনীর সাথে তুর্কি বাহিনীর প্রত্যাহার করতে হবে। সূত্র : ডেইলি সাবাহ | 'কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্ক নতুন করে কোনো সেনা পাঠাবে না' |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার চাঁদপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন পিকআপ ভ্যানের চালক বেলাল হোসেন ও তাঁর সহযোগী উজ্জ্বল। বেলাল হোসেন পাবনার ভাঙ্গুরার রফিকুল গাজীর ছেলে। আর উজ্জ্বলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে।শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সঞ্জয় কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে আম নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান বরিশালে যাচ্ছিল। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বালুভর্তি একটি ট্রাক পেছন থেকে পিকআপ ভ্যানটিতে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানের চালক ও তাঁর সহযোগী গুরুতর আহত হন।সঞ্জয় কুমার দেবনাথ বলেন, খবর পেয়ে শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। | শৈলকুপায় ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ২ জন নিহত |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | পঞ্চগড়ে চলতি বছর ভুট্টার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খুশি চাষিরা। গত বছর ৮০ কেজি ভুট্টার বস্তা ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এবার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। এ ছাড়া কৃষকেরা ভুট্টার ফলন ভালো পেয়েছেন।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ভুট্টার দাম বাড়ায় সামনের মৌসুমে চাষ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ অনেকটাই কম হয়। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ১৫০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ২৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। আর গত বছর আবাদের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ১২০ হেক্টর।সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, অনেকে খেত থেকে ভুট্টার মোচা তোলা শেষ করেছেন। আবার কেউ মোচা সংগ্রহ করছেন, কেউ কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ভুট্টা মাড়াইয়ের কাজে।কৃষকেরা জানান, গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ দামে এবার ভুট্টা বিক্রি করতে পারছেন। ফলনও হয়েছে প্রতি একরে ৩ মেট্রিক টনেরও বেশি। এ বছর ভালো ফলনের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় আগামীতে ভুট্টা চাষ বাড়াবেন।পঞ্চগড় সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার কৃষক সুজন মিয়া বলেন, '৭ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে ভুট্টার আবাদ করেছি। জমির ভাড়া দিতে হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এর বাইরে বিঘা প্রতি খরচ ৮ হাজার টাকার মতো। এরপরও দাম ঠিক থাকলে সব মিলিয়ে লাভ হবে ১ লাখ টাকা। জমি নিজের হলে লাভ হতো আরও বেশি। তবে আশা করছি যে দাম তাতে এবার অনেকটাই লাভবান হতে পারব।'একই ইউনিয়নের পৌটিয়াপাড়া এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ ও আমিরুল ইসলাম বলেন, '৩ একর জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি। খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হয়েছে।'কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, 'দেশে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ ও গবাদিপশু লালন-পালন বেড়েছে। মাছের ও গবাদিপশুর খাবার তৈরিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ছে ভুট্টার। এ কারণে দামটা বেড়েছে। চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। ভুট্টা চাষে আগ্রহও বাড়ছে।'পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদেক বলেন, 'আমরা সব সময় ভালো উৎপাদনের জন্য চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। চাষিরা যেন ভালো বীজ পান, সেটা কৃষি বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। চলতি বছর ভুট্টার বাজারও ভালো, উৎপাদনও হয়েছে ভালো।' | ভুট্টার দ্বিগুণ দামে খুশি কৃষক |
এই সংবাদ নিবন্ধটির জন্য একটি উপযুক্ত শিরোনাম প্রস্তাব করুন। |
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা কমেছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর সিলেটে পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩৫৬ জন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সামছুল ইসলাম ফলাফল প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, চলতি বছর এই বোর্ডের অধীনে ২৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৩ হাজার ৯৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪৩ হাজার ৮৭০ জন। শতভাগ পাসের সাফল্য অর্জন করেছে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের বছরগুলোতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফলাফল করলেও এবার তাতে-ও পরিবর্তন এসেছে। এবার ছেলেদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৩১ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে ছেলেরাই। এক হাজার ৩৩০ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে এবার ৭৯৪ জন ছেলে ও ৫৩৬ জন মেয়ে।
| সিলেটে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের সাথে গতকাল প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন তার বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান।দুপুরে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে কারাকর্মকর্তা ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের দু'জনের মধ্যে সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিআইজি মিজান তার বডিগার্ডকে বলেন, 'মাঝেমধ্যে এসে দেখা করে যাবি, কোনো কিছু লাগলে দিয়ে যাবি'। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে গত ৩ জুলাই সোমবার হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান। এ সময় আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পুলিশ কাস্টডিতে নেয়ার নির্দেশনা দেন। ওই মামলায় শাহবাগ থানা পুলিশ পরদিন মঙ্গলবার তাকে জজকোর্টে হাজির করলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৪ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টায় ডিআইজি মিজানের সাথে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে প্রবেশ করেন তার বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান। কারা কর্মকর্তারা ডিআইজি মিজানকে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে প্রধান গেটের দোতলায় কনফারেন্স রুমে নিয়ে যান। সেখানে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে তাদের সাক্ষাৎ পর্ব। এরপরই সিদ্দিকুর রহমান কারাগার থেকে বের হয়ে যান বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। দেখা সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, ডিআইজি মিজানের পরিবারের কোনো সদস্য এ মুহূর্তে ঢাকায় নেই। তারা বিদেশে অবস্থান করায় মিজান কারাগারে আসার পর তার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন তারই বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান। তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে ওই সূত্রটি জানায়, তাদের মধ্যে খুব অল্প সময় কথাবার্তা হয়েছে। এ সময় ডিআইজি মিজান সাহেব তার বডিগার্ডকে শুধু বলেছেন, শার্ট প্যান্ট, ট্রাউজার, জুতা দিয়ে যেতে। সাক্ষাৎ শেষে ওই বডিগার্ড কারাগারের ভেতরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কেনার জন্য প্রিজনারস ক্যাশে নগদ কিছু টাকা দিয়ে গেছেন। সাথে আপেল কমলাসহ কিছু খাবার বাইরে থেকে কিনে দিয়ে গেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে দায়িত্বশীল সূত্রটি আরো জানিয়েছে, কারাগারে আসার পরই তাকে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদায় চম্পাকলি সেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চম্পাকলি সেলটি ডিভিশনপ্রাপ্ত সেল হিসেবে পরিচিত। সেখানে তার সাথে আরো সাতজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাক্ষাতের সময় ডিআইজি মিজান তার বডির্গাডকে বলেছেন, 'আমার তো এ মুহূর্তে দেশে পরিবারের কোনো সদস্য নাই। সবাই বিদেশে আছেন। তাই আমার কখন কি লাগবে না লাগবে সেটা তুই এসে দেখা করে জেনে যাবি। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার স্বজনদের সাক্ষাতের নিয়ম রয়েছে কারাবিধিতে। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত বন্দী হিসেবে ডিআইজি মিজানকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। যেকোনো সময় তাকে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে। | কারাগারে কেমন আছেন ডিআইজি মিজান? |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | বড়াইগ্রাম (নাটোর): নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে সপরিবারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।অধ্যক্ষ আবুল আছর মোহাম্মদ শফিউজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঈদুল ফিতরের তিন দিন আগে এবং এর আগে রোজার শুরুতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে হাতে লেখা দুটি চিঠি রাতের অন্ধকারে তার বাড়ির ব্যালকনিতে ফেলে রাখা হয়। চিঠিতে তিনিসহ তার ছেলেমেয়েদের মাথা কেটে নেয়ার হুমকি দেওয়া হয়।তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী চৌমুহন গ্রামের তয়জাল হোসেন ও মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানের ছেলে মাসুম জানায় যে, আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এসব চিঠি সে-ই আমাকে দিয়েছে। আমি যেন তার কাজে বিঘ্ন না ঘটাই। পরবর্তীতে ঈদের দিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে মাসুমসহ তার সহযোগীরা আমার ওপর চড়াও হয় এবং সন্তানসহ আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে আমি রক্ষা পাই।লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবুল আছর মোহাম্মদ শফিউজ্জামান আরও বলেন, হুমকিদাতাদের সঙ্গে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি তারা আমার ভাইয়ের জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে আমি বাধা দেই। এসব ঘটনার জের ধরেই তারা সন্তানসহ আমাকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এতে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।এ ঘটনায় মাসুমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুম আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার সঙ্গে আমার কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে চিঠি দিয়ে হুমকি দেয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। | 'আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' পরিচয়ে কলেজ অধ্যক্ষকে হুমকি |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের মতো বুদ্ধিজীবীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কথা বলেন। তাঁরা বর্তমান সময়ের মতো শাসকগোষ্ঠীর তোষণ করেন না। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টার এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ এমাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে বলেন, তাঁর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আবদুর রউফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। ক্ষমতা জনগণের কাছে দিতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ভোট প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচনব্যবস্থায় ভোটার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে তৃতীয় কোনো হাত থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র নিয়ে পড়ানোর কথা নতুন করে ভাবতে বলেন বিচারপতি আবদুর রউফ। এ ছাড়া মেধা বিকাশ ও দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একনায়কতন্ত্রের উন্মেষ ঘটেছে। এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে স্বল্পসংখ্যক বুদ্ধিজীবী সোচ্চার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অন্যতম। আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমানে বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ শাসক শ্রেণির স্বার্থ হাসিল করে চলেছে। তারা শাসকগোষ্ঠীর সন্তুষ্টিবিধান করেই তৃপ্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অল্প কিছু বুদ্ধিজীবীই ন্যায় ও সত্যের পক্ষে অবস্থান নেন। এমাজউদ্দীনের মতো বুদ্ধিজীবীরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল বলেন, এমাজউদ্দীন মানুষ ও দেশ নিয়ে চিন্তা করতেন। তিনি একজন বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবী ছিলেন। অনেক বুদ্ধিজীবী এখন পদলেহনে ব্যস্ত, কিন্তু তিনি তা ছিলেন না।এমাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা বলেন, তাঁর বাবা সারা জীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। দেশ এখন বন্দী অবস্থায়, এই বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তাঁর বাবা। সেমিনারে কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, বাংলাদেশে এখন মানবিকতার ছিটেফোঁটা নেই। দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দরকার, সেটি না আনতে পারলে আরও দুর্ভোগ আছে। এমাজউদ্দীন আহমদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারতেন। কোনো চাতুরতা তাঁকে স্পর্শ করেনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, এমাজউদ্দীন আহমদের ছেলে জিয়া হাসান ইবনে আহমদ, লেখক আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ। | বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশ শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিল করছে |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ডিজেল, কেরোসিন, সয়াবিন, এলপিজি গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে শহরের পায়রা চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট।মানববন্ধনে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন সিপিবি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড স্বপন বাগচী, বাসদ জেলা শাখার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আসাদুল ইসলাম, ওয়ার্কাস পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড শহিদুল এনাম পল্লব, যুব ইউনিয়ন জেলা শাখার নেতা আবু তোয়াব অপুসহ আরও অনেকে।এ সময় বক্তারা সম্প্রতি বৃদ্ধি হওয়া জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত তা আগের দামে নির্ধারণ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। | নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে মানববন্ধন |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি সৃজনশীল শিরোনাম তৈরি করুন। | নিজ এলাকার মুসল্লিদের জন্য টেলিভিশনে তারাবি নামাজ সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক লাইভে এ উদ্যোগের কথা জানান তিনি। সাংসদ সাবের হোসেন বলেন, সৌদির গ্র্যান্ড মুফতিও মানুষজনকে ঈদ এবং তারাবির নামাজ বাড়িতে আদায় করতে বলেছেন। আমরাও এ ব্যাপারে আগাম চিন্তা করে রাখছি। আমার এলাকায় বড় ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আসন্ন রমজানে আমরা টেলিভিশনে সরাসরি তারাবি নামাজ সম্প্রচার করবো। এলাকায় যারা আছেন, বাড়িতে বসে যদি টেলিভিশনের মাধ্যমে ইমামকে ফলো করতে চান, সেভাবে আদায় করতে পারবেন। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে সাবের হোসেন বলেন, যাদের সহায়তা বেশি প্রয়োজন, ওয়ার্ডভিত্তিক ত্রাণ কমিটি করছি, যেন সঠিক মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে যায়। ওয়ার্ডে ত্রাণ কমিটির কাছে বিকাশ-নগদ নম্বর পাঠাবেন। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বিকাশ-নগদের মাধ্যমে সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে। যাদের ত্রাণ দেয়া হবে, তাদের নাম-ঠিকানা-মোবাইল নম্বর সংরক্ষিত থাকবে। এতে একই ব্যক্তি বারবার ত্রাণ নিতে পারবেন না। যারা পরিচয় প্রকাশে লজ্জা পান, তাদেরও আমরা সহায়তা দেবো। বাসা ভাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, বাড়ি ভাড়া দিতে অসুবিধা হচ্ছে, তারা আমাদেরকে যদি জানান। মালিকদের সঙ্গে কথা বলবো, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো। সরকার এতো সহায়তা করছে, আমরা নিশ্চয়ই বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে একটু সহায়তা প্রত্যাশা করতে পারি। এপ্রিল-মে মাসের বাড়ি ভাড়ার বিষয়ে বাড়িওয়ালারা কিছুটা নমনীয় থাকবে সে আশা করবো। যাদের সমস্যা হয় তারা ০১৭৩০-৭৩০৭৭৭ হটলাইনটিতে জানাবেন। ওয়ার্ডের নেতারা আছেন তাদের জানাবেন। থানা প্রশাসনও সহায়তা করবে। এটা তো এমন না যে বাড়িওয়ালারা ভাড়া পাবেন না, হয়তো একটু দেরিতে পাবেন। এই দুই মাস নমনীয় থেকে যেন কিস্তির মাধ্যমে বাড়ি ভাড়াটা পরিশোধ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করবো। | টেলিভিশনের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়ের আহবান |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | ঢাকা: সময়টা এখন রাফায়েল নাদালের। কদিন আগে বার্সেলোনা ওপেনের ১২তম শিরোপা ঘরে তুলেছেন এই টেনিস সুপারস্টার। গত বছর সর্বোচ্চ ২০ গ্র্যান্ড স্লাম জেতায় ভাগ বসিয়েছিলেন কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের সঙ্গে। এবার নাদাল জিতলেন লারিয়াসের বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কারটি হাতে নিলেন তিনি। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন জাপানি টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। বর্তমানে নাদাল ও ওসাকা দুজনই টেনিস র্যাংকিংয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছেন।গতকাল পুরস্কার জয়ী দুই তারকা সিক্ত হয়েছেন ভক্তদের শুভেচ্ছা বার্তায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্য তারকারাও। নাদালকে উদ্দেশ্য করে ফুটবল সুপারস্টার লিওনেল মেসি লিখেন, তুমি সবার জন্য উদহারণ। আমি তোমার গুণমুগ্ধ একজন।''অন্যদিকে টেনিস কোর্টের বাইরেও ওসাকা বেশ আলোচিত ব্যক্তিত্ব। বর্ণবাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার কণ্ঠ হিসেবেও ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন।এ দুজনের বাইরে বর্ষসেরা দলের পুরস্কার জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী বায়ার্ন মিউনিখ। বর্ষসেরা অনুপ্রেরণাদায়ী ক্রীড়া তারকা নির্বাচিত হয়েছেন মোহামেদ সালাহ। | নাদাল ও ওসাকার লারিয়াস পুরস্কার জয় |
প্রদত্ত সংবাদ নিবন্ধের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে একটি শিরোনাম দিন। | সাকিব আল হাসান ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট। দিনকয়েক পরেই দক্কিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। কিন্তু সেই সফরে যেতে চান না দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গত রোববার দুবাইতে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাকিব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত নন। দেশের বাইরে যেকোন সিরিজের সিরিজের আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সাকিব। যেন বেছে বেছে খেলাটাই সাকিবের পছন্দ। দল ঘোষণার পর হুট করে সাকিবের খেলতে না চাওয়ায় অসন্তুষ্ট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দুজনের পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যেই সাকিব ইস্যুতে ক্ষোভ ঝাড়লেন বিসিবির পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মঙ্গলবার মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, 'দেশের ক্রিকেটের প্রয়োজনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের না পাওয়াটা দুঃখজনক। সাকিব ফিরলে তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলা হবে। কারো জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট বসে থাকবে না।' সম্প্রতি টেস্ট থেকে ছুটি চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর জানিয়েছেন, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগ্রহই পাচ্ছেন না। যদিও সাকিবের ঘোষণার আগে প্রোটিয়া সফরের দল সাজানো হয়েছে সাকিবকে নিয়েই। সুজন বলেন, সাকিব না খেললে না খেলুক। তবে সেটা স্পষ্ট করুক। সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদ, ওরা চারজন তো বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন ধরেই আজকে এত বড় ক্রিকেটার হয়েছে। ওদের পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক বিনিয়োগ। বাংলাদেশ দলের যখন প্রয়োজন তখন তো তাদের পাওয়ার কথা।' তবে কাউকে জোর করে খেলানোর পক্ষে না সুজন। তার মতে, বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশের হয়ে খেলার তাড়না কম। তিনি বলেন, 'আমি তো কারও মনের মধ্যে যেতে পারব না। আমি এখনও খেলতে চাই। আমার বয়স ৫১, এখনও মন চায় বাংলাদেশের জার্সি পরে খেলি। জুনিয়র একটা ছেলেকে জোর করতে পারেন। ৩৭-৩৮ বছরের একজন খেলোয়াড়কে জোর করতে পারবেন?' কোনো সিরিজের আগে খেলা না খেলা নিয়ে সাকিব আল হাসানের টালবাহানার ইতি টানতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সুজন জানালেন, বারবারই এমন করতে পারে না সাকিব। আমার মনে হয় এবার ফুলস্টপ করা উচিত। এটা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।কেউ যদি খেলতেই চায় তাহলে ঠিকমতো খেলতে হবে। যদি খেলতে না চায় তাহলে বলে দিতে হবে। যদি বিরতি চায়, তাহলে একবারে বিরতি নিক। কেউ তাকে আটকাবে না।' সব ফরম্যাটে খেলার জন্য লিখিত দিয়েও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন ক্রিকেটাররা। শুধু সাকিব আল হাসান নন এই তালিকায় আছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও! | সাকিব ইস্যুতে ক্ষোভ ঝাড়লেন সুজন |
প্রদত্ত নিবন্ধের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট শিরোনাম লিখুন। | যশোরের ঝিকরগাছা পৌর শহরের কাটাখাল বঙ্গবন্ধু পার্কটির পাড় ভেঙে কপোতাক্ষে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে পৌরসভার মধ্যে একমাত্র খোলাস্থান হওয়ায় শিশুদের কোলাহলে মুখরিত পার্কটিতে এখন ভয়ে আর কেউ আসতে চায় না।জানা গেছে, ঝিকরগাছা পৌর সদরের কাটাখালে দুই পাশের স্লুইসগেট গেটের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা কপোতাক্ষ নদের তীরে বটগাছ ঘিরে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু পৌর পার্ক। এক যুগ আগে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ স্থানটি বঙ্গবন্ধু পৌর পার্ক হিসেবে ঘোষণা দেয়। সে সময় স্লুইসগেট গেটের দুই পাশ ও বটগাছের গোড়া গোলাকৃতি করে কংক্রিটের ওপর স্টিলের পাইপ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন করা হয়। আশপাশে আর কোনো খোলা জায়গা না থাকায় স্থানটিতে প্রতিদিন বিকেলে এবং ছুটির দিনে সারা দিন শিশুদের কোলাহল ছিল।কিন্তু মাসখানেক আগে বটগাছের গোড়ার পশ্চিমাংশ ভেঙে নদে পড়েছে। এর পর থেকে শিশুরা সেখানে খেলতে যেতে পারছে না। শুধু শিশুরা না বয়স্করা এখানে অবসরে সময় কাটান। সারা বছর নানা সামাজিক ও মুক্তমনা মানুষের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে পার্কটিতে। পাড় ভেঙে পড়ায় এখানে বাৎসরিক যেসব অনুষ্ঠান করা হয় তাঁরা চিন্তা পড়েছেন।ঝিকরগাছা সরকারি এম এল মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফারদিন হোসেন বলে, 'আমাদের গ্রামে (কৃষ্ণনগর) খেলাধুলা করারা মতো আর কোনো খোলা জায়গা নেই। তাই এ পার্কে আসতাম খেলতে। কিন্তু পাড় ভাঙা ভয়ে আর আসছি না।'ঝিকরগাছা সাহিত্য পরিষদের পরিচালক কবি সাইফুদ্দীন সাইফুল বলেন, 'পৌর পার্কটি আমাদের মুক্ত বিচরণের স্থান। এখানে আমরা সাহিত্য সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি করি সারা বছর। শীত মৌসুমে এখানে নানা অনুষ্ঠান লেগে থাকে। তাই দ্রুত মেরামত না করলে এসব অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে না।'ঝিকরগাছার পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা বলেন, 'বিষয়টি জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে। পার্কের যে অংশ ভেঙে গেছে তা দেখাশোনার দায়িত্ব জেলা পরিষদের। তবে স্থানটি দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।' | পৌরপার্কের পাড় ভেঙে নদীতে |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ২৩ বছর নিজেকে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের বেডফোর্ড লেনে একটি ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে রাখা বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর আরো তথ্য বেরিয়ে আসছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর পার্ক স্ট্রিটসহ গোটা কলকাতার পুলিশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে। নতুন বিয়ে করে বেডফোর্ড লেনে মাস্টারমশাই পরিচয় নিয়ে সংসার করা মাজেদ ভেতরে ভেতরে সুদের কারবারও করতেন। তবে সম্প্রতি মাজেদ সেখানকার তালতলা এলাকায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে এই টাকা তিনি কোথায় পেয়েছিলেন? সামান্য টিউশনি করে তো এত টাকা জোগার করার কথা নয়। গোয়েন্দারা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে টাকা আসত মাজেদের কাছে। তবে মাজেদের কাছে এই টাকা কে পাঠাতেন? কীভাবেই বা পাঠাতেন? যিনি পাঠাতেন তিনি কি তার কলকাতার জীবন সম্পর্কে জানতেন না? তাহলে কি তার প্রথম স্ত্রী-ই কলকাতায় তার কাছে টাকা পাঠাতেন? গোয়েন্দারা মাজেদের কলকাতার দ্বিতীয় স্ত্রীর দুটি নম্বর খুঁজে পেয়েছেন। যে নম্বর দুটি দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত বাংলাদেশে কারো সঙ্গে বলতেন। এতদিন ধরে মাজেদ নিয়ম করে বাংলাদেশে কথা বলতে থাকলেন আর কারো নজরেই পড়লো না। বিষয়টা রহস্যজনকই বটে। কে কীভাবে, কখন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কলকাতায় মাজেদের কাছে ২৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। কেননা, এই উত্তরের সূত্র ধরে হয়তো বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদেরও সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। | মাজেদের ফ্ল্যাট বুকিং করার টাকার উৎস কী? |
এই সংবাদ নিবন্ধের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লিখুন। | ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম শেষে প্রথমবারের মতো প্রফেশনালস ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার চালু করা হয়। তবে শুরুর পর থেকে ম্যানচেস্টার সিটির কোনও ফুটবলারই এই পুরস্কার জিততে পারেনি। প্রথমবারের মতো এই মৌসুমে এসে ইংল্যান্ডে খেলা ফুটবলারদের ভোটে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা। এই পুরস্কার জেতার পথে ডি ব্রুইনা পেছনে ফেলেছেন সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা গতবারের বিজয়ী লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইক, ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আর্নল্ড, সাদিও মানে, জর্ডান হেন্ডারসন ও ক্লাব সতীর্থ রাহিম স্টার্লিংকে। এদিকে ম্যানসিটির হয়ে প্রথম পিএফএ বর্ষসেরা ফুটবলার পুরস্কার জিতে ২৯ বছর বয়সী ডি ব্রুইনা বলেন, 'এটি অনেক বড় সম্মান। সতীর্থ, অন্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী, যাদের বিপক্ষে মাঠে সবসময় খেলি তারা আমাকে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য ভোট দিয়েছে, এটি অসাধারণ ব্যাপার।' তিনি আরও যোগ করেন, 'এটি কিছুটা আশ্চর্যের যে সিটির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আমি এই পুরস্কার পেলাম। এখানে দারুণ সব খেলোয়াড় খেলেছে এবং এখনও খেলছে। তবে ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে ভালো লাগছে।' বিডি প্রতিদিন/কালাম | ফুটবলারদের ভোটে ম্যানসিটির প্রথম বর্ষসেরা ডি ব্রুইনা |